গত দুইদিন ধরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাশিয়ান বিমান বাহিনীর হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পায় যখন ঘোষণা আসে এই যুদ্ধের মাঝেই কিয়েভ সফরে যাবেন ইইউর তিনদেশের প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ার হামলার তীব্রতায় ইউক্রেনের রাজধানীতে জারি করা হয় ৩৫ ঘণ্টার কারফিউ। আর এর মাঝেই ট্রেনে কিয়েভে পৌঁছুলেন পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান আর ট্যাংক থেকে অনবরত গোলা আর বোমা বর্ষণ হচ্ছে ইউক্রেনের শহরগুলোতে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিক থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকির সতর্কবাণী সত্ত্বেও তিন প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের উদ্যোক্তা ছিলো পোল্যান্ড।
তিন প্রধানমন্ত্রীর ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারণ পোলিশ সামরিক জেটের উড্ডয়ন রাশিয়ার কাছে বিপজ্জনক উস্কানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে তখনও এটা পরিষ্কার ছিলো না যে কখন তাদের বহনকারী ট্রেন ওয়ারশতে ফেরত আসতে পারবে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতিউস মোরাভিয়েস্কি বলেছিলেন নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানীতে।
মঙ্গলবার বিকেলে কারফিউ বলবৎ হবার পর কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিন প্রধানমন্ত্রী।
পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্রিফিং করেন তারা। উভয় নেতা তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তবে ইউক্রেন তিন প্রধানমন্ত্রী সুস্থতার মাঝে পৌছুতে পারলেও জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন সংবাদ কর্মীরা। যুদ্ধের ২০তম দিনে এসে গোলাবর্ষণের মাঝে আটকা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ফক্স নিউজের একজন ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিক।
ফক্স নিউজ চীন এক্সিকিউটিভ সুজানে স্কট এই দুজনের মৃত্যুকে 'হৃদয় বিদারক' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাদের সহকর্মী বেনজামিন হালও আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন।
এর আগে রবিবার ৫০ বছর বয়সী মার্কিন সাংবাদিক ব্রেন্ট রেন্যঁ গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। সূত্র: বিবিসি