ইনসাইড পলিটিক্স

রাজনীতির মাঠে আবারও পরাস্ত বিএনপি?


প্রকাশ: 16/03/2022


Thumbnail

গত এক যুগ ধরে রাজনীতির মাঠে পরাজিত বিএনপি। অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও নেতৃত্বের সংকটে কোনোভাবেই মাঠের আন্দোলনে দাঁড়াতে পারছে না দলটি। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা ১১ দিনের আন্দোলন-সমাবেশে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। এমনকি বিএনপির তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীও সমাবেশগুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেনি। এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা এবং মুক্তির দাবিতে করা আন্দোলনও সফলতার মুখ দেখেনি। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে জনগণসহ অধিকাংশ নেতাকর্মীর অনাগ্রহের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ১১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন কর্মসূচি শেষ হয়েছে গতকাল ১৫ মার্চ। বিএনপির আহ্বানে জনগণসহ বিএনপির নেতাকর্মীরাই খুব একটা সাড়া দেয়নি। গুটিকয়েক যে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করছে তারা তাদের দলীয় পদ-পদবী অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যই অংশ করছে বলে মনে করছে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একাংশ।

এটি যে শুধু এবারের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ডাকা কর্মসূচিতে হয়েছে, এমনটি নয়। এর আগেও খালেদা জিয়ার ইস্যু নিয়েও আন্দোলন করতে চেয়েছিল বিএনপি। সে সময় সিনিয়র নেতারা মুখে আন্দোলন বলে ফেনা তুললেও বাস্তবে তেমন কিছুই দেখা যায়নি। বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে চাইলেও অবোধ বালকের মতো গালে হাত রেখে দিন পার করছে কেন্দ্রীয় নেতারা। দেশের রাজনীতিতে কি হচ্ছে কিংবা আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে কি না বা আসতে পারবে কি না, এ সব নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। ইতোমধ্যে বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে আন্দোলনের মাধ্যমে কর্মীদের চাঙ্গা করার যে উদ্যোগ বিএনপি গ্রহণ করেছিল, তা হতাশায় রূপ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এই দলটি বর্তমানে চরম সংকটে রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপির নেতাদের অনেকে এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বহিষ্কারের অপরাজনীতি দলের সাংগঠনিক অবস্থাকে আরও দুর্বল এবং ক্ষতবিক্ষত করেছে। এর পাশাপাশি দলের নেতারা মনে করেন, এভাবে সংগঠন চলতে থাকলে এই সংগঠন দিয়ে আর যাই হোক সরকারবিরোধী আন্দোলন করা যাবে না। বিএনপির অবস্থা এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কেউই আন্দোলন করতে আগ্রহী নয়। উল্টো জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাসহ নানা বিষয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক করতে অস্বস্তিবোধ করছে। এমনকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা এবং জঙ্গিবাদের মদদাতা তারেক জিয়াকেই বিএনপির আন্দোলনের অন্তরায় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭