ইনসাইড থট

ভাষা সৈনিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান


প্রকাশ: 17/03/2022


Thumbnail

প্রতিবছর একুশে বইমেলা থেকে বই কেনা একটা নেশা নয়- অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বইমেলা থেকে কেনা এবং উপহার হিসেবে পাওয়া বা কোন লেখকের শুভেচ্ছা হিসেবে প্রাপ্ত বই, এই সব বই মিলে গড়ে উঠেছে আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা। আর এই বইগুলো বুক সেলফে সাজিয়ে রাখা, মাঝে মাঝে বইয়ের নাম পড়তে পড়তে দুই একটি পছন্দনীয় নামের বা পছন্দের লেখকের বইয়ের মলাট খুলে দুই/এক পৃষ্ঠা পড়ার মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি রয়েছে। এমনি একদিন আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় উপরের মলাট হারিয়ে যাওয়া একটি বই পেয়ে কভার পেজ উল্টাতেই চোখে পরলো এর নাম- ‘ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা’। বইটির লেখক রাজশাহীর অজিত কুমার দাস। বইটি ২০০৬ সালের ২৮ জুলাই লেখকের নিজ স্বাক্ষরে শুভেচ্ছাকপি হিসেবে প্রাপ্ত। আমি তখন  সুধাসদনে তৎকালীন মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলাম। হয়তো লেখক তৎকালীন মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে বইটি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন।

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে লেখা বই সচরাচর চোখে পড়ে না। তাই আগ্রহ সহকারে বইটি পড়লাম। লেখক ঐ বইটা লিখতে, এ সম্পর্কে লেখা আরও অনেক বই ও প্রবন্ধ রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেই সকল রেফারেন্স ঘাটতে গিয়ে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। সেই সকল তথ্যসমূহ নিয়েই আমার আজকের লেখা। 

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকা নিয়ে ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু‘ গ্রন্থে চমৎকার বর্ণনা রয়েছে- ‘জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে বিবৃতি দেন। সোহরাওয়ার্দী সাহেব এই অবস্থানে দৃঢ় থাকলে ভাষা আন্দোলন ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারতো। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দীর এই মত পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে সমর্থন আদায় করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি নিজেই বলেন, ‘সে সময় শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভাষা সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা বেশ অসুবিধায় পড়ি। তাই ঐ বছর জুন মাসে আমি তার সঙ্গে দেখা করার জন্য করাচি যাই এবং তাঁর কাছে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বাংলার দাবীর সমর্থনে তাঁকে একটি বিবৃতি দিতে বলি‘। (বদরুদ্দীন ওমর, পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা. ৩৯৬)।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু একে অপরের পরিপূরক। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ঘিরে বাংলাদেশ সৃষ্টির মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ইতিহাস লেখা হয়েছে, অসংখ্য বই সারা বিশ্ব ছড়িয়ে আছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিদেশী পাবলিশার্স থেকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অসংখ্য বই প্রকাশিত হয়েছে। যেমন:  ১। BLOOMSBURY (London * New Delhi * Oxford * New York * Sydney) থেকে প্রকাশিত Dr. Faisal Khosa রচিত Making of Martyrs in India, Pakistan &  Bangladesh Indira, Bhutto and Mujib. ২। চন্দ্র শেখর দাশগুপ্ত রচিত India and the Bangladesh Liberation war, ৩। Niyogi Books (New Delhi) প্রকাশিত মানস ঘোষ রচিত Bangladesh War, ৪। একই পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত সৈয়দ বদরুল আহসান রচিত Sheikh Mujibur Rahman.

কিন্তু ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে তেমন লেখালেখি হয়নি বা হলেও বইগুলো তেমন প্রচার পায়নি। ধানমন্ডির বিভিন্ন গলির মুখে অসংখ্যজনের ছবি সিরামিক টুকরো দিয়ে আকর্ষণীয় করে তৈরি করা হয়েছে, টাইলস্ দিয়ে বেদি বানিয়ে নামফলক তৈরি করে ‘ভাষাসৈনিক’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার বিপক্ষের লেখকগণ পক্ষপাতিত্ব করে নিজ নিজ পছন্দনীয় কিছু ব্যক্তিকে ‘ভাষা আন্দোলনের নায়ক’ বানানোর অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। অথচ ‘বাংলা ভাষা আন্দোলনে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ  এমন অনেককেই সুকৌশলে পর্দার আড়ালে রেখেছেন।

ভাষা আন্দোলন হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম সিঁড়ি। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একদিন পূর্ব বাংলায় যে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা হয় পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের পথ পেরিয়ে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ছাত্রাবস্থায় ‘স্বাধীনতার অপর নাম, শেখ মুজিবুর রহমান’ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করেছি শিক্ষাঙ্গণ, পাড়া-মহল্লা। প্রকম্পিত করেছি ঢাকার পিচঢালা রাজপথ, বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে দেওয়ালে নিজ হাতে লিখেছি- ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’।

ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় মূলত পূর্ব বাংলার গণতন্ত্রমনা ও প্রগতিশীল ছাত্রদের দ্বারা এবং পরবর্তীতে তাতে সম্পৃক্ত হয় বাংলার শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী শ্রেণি। একজন ছাত্রনেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং নেতৃত্ব প্রদান করেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত লেখক মনোজ বসু তাঁর ‘চীন দেখে এলাম’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘১৯৫২ সালে চীনের পিকিং এ অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে’ ৩৭টি দেশের চার শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। চীন সরকারের আমন্ত্রণে সেই শান্তি সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করে সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন‘। বাংলা ভাষায় দেওয়া এই বক্তৃতাই বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালী সাংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধু মুজিবের শ্রদ্ধার সাক্ষ্য বহন করে।

ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে তারুণ্য নির্ভর ও স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মহান ভাষা আন্দোলনহ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সবকটি আন্দোলনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত সেই সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার লেখা ‘কারাগারের রোজনামচা‘ বইয়ের ২০৬ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘প্রথম ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (এখন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ) ও তমুদ্দন মজলিসের নেতৃত্বে। ঐদিন ১০ টায় আমি, জনাব শামসুল হক সাহেব সহ প্রায় ৭৫ জন ছাত্র গ্রেফতার হই‘।

১৫ মার্চ ১৯৪৮ সাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুসহ সকলেই মুক্তি পায়। বঙ্গবন্ধু তাঁর কারাগারের রোজনামচা‘য় আরও লিখেছেন, ‘(একই সালে) ২১মার্চ বা দুই/একদিন পরে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রথম ঢাকায় আসবেন। সেজন্য আন্দোলন বন্ধ করা হলো। ... তিনি এক সভায় ঘোষণা করলেন, ‘উর্দুই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে‘। বাঙ্গালী জাতি অধিষ্ঠিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানসহ সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা উর্দু ঘোষণা করলে তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্ররা প্রতিবাদ করলো। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ প্রতি বছর ১১ মার্চকে ‘ভাষা দিবস‘ পালন করেছে। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ ঐ একই দিনে ‘ভাষা দিবস‘ পালন করেছে। 

১৯৪৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামীলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে বাংলা ভাষা আন্দোলনসহ অন্যান্য আর্থ-রাজনৈতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বারবার গ্রেফতার হয়েছেন এবং ১৯৫২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারারুদ্ধ ছিলেন। বন্দী অবস্থায় তিনি বাংলা ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আন্দোলনের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনে নিজের ভূমিকা ও তৎকালীন ঘটনাপ্রবাহ নিজেই মূল্যায়ন করে জেলখানায় বসে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭, ডায়েরীতে যে সব কথা লিখেছেন তার ইতিহাসের এক অমূল্য দলিল। তিনি লিখেছেন, ‘আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। ঠিক পনের বছর আগে ইংরেজি ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন পল্টনের জনসভায় ঘোষণা করলেন, ‘উর্দুই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে‘। বঙ্গবন্ধু তখন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘রাতের অন্ধকারে মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের সহায়তায় নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে ১৬ ই ফেব্রুয়ারি অনশন শুরু করার এবং ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদের দিন স্থির করা হয়, কারণ ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজেট সেশন শুরু হবে। কাজী গোলাম মাহবুব, অলি আহাদ, মোল্লা জালালউদ্দিন, মোহাম্মদ তোয়াহা, নঈমুদ্দিন, খালেক নেওয়াজ, আজিজ আহমেদ, আব্দুল ওয়াদুদ ও আরও অনেকে গভীর রাতে আমার সাথে দেখা করতো‘। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ‘মাতৃভাষা বাংলা’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন। এবং ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিলে গুলি হয়, সালাম, জব্বার, বরকত, রফিক শহীদ হন, আহত হন অনেকেই। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের চাপে প্রাদেশিক সরকার ‘বাংলা ভাষা’কে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং শেখ মুজিবুর রহমান কারামুক্ত হন। 

শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট কর্তৃক প্রণীত নির্বাচনী ইশতেহারের এক নম্বরে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবী জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৫৫ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে গণপরিষদে গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দেন। ১৯৫৬ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা সম্পর্কিত অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ আরোপ করে সংবিধান অনুমোদনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের নেতারা বাধ্য হলো শাসনতন্ত্রে বাংলা ও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে। এবং আওয়ামীলীগ এর নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট সরকার ২১ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস‘ ও সরকারী ছুটি ঘোষণা করলো। 

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী যখনই বাংলা ভাষার ষড়যন্ত্র করেছে তখনই বঙ্গবন্ধু মুজিব প্রতিবাদ করেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পরিক্রমায় বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি প্রদান করা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর অবদান বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা  আন্দোলনে একজন অকুতোভয় সৈনিক ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭