ইনসাইড ট্রেড

খাতুনগঞ্জে আমদানি বেড়েছে, দাম কমেছে পেঁয়াজের


প্রকাশ: 18/03/2022


Thumbnail

রমজান এলেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে কিন্তু এবার ব্যতিক্রম দেখা গেল চট্রগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তে। ১০ দিন আগে খাতুনগঞ্জের আড়তে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫২ টাকা পর্যন্ত। এখন একই পেঁয়াজ সেই আড়তেই বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ২৯ টাকায়।

সব পেঁয়াজই ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা। ১০ দিনের ব্যবধানে প্রায় অর্ধেক দামেই বিক্রি হচ্ছে এই পেঁয়াজ অনেকটা আশ্চর্য হওয়ার মতোই। পাইকারির মতো খুচরায়ও কমেছে পেঁয়াজের দাম। ১০ দিন আগে ৫৫ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ী খুচরা দোকানে ৩৮ টাকায়।

ভোজ্য তেল নিয়ে ভোক্তাদের শঙ্কার মধ্যে কাটলেও পেঁয়াজ নিয়ে রমজানে এবার বেশ স্বস্তিতে থাকবে তারা। তবে ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে সরাসরি যাঁরা পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তাঁরা বেশ লোকসান গুনছেন।

পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছে, ‘ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়তির দিকে ছিল। সেই সুবাদে রমজানে চাহিদা বেশি থাকে বলে আমরা মিয়ানমার থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি করেছি। যেই টেকনাফ দিয়ে পেঁয়াজ আসতে শুরু করল অমনিই ভারত থেকেও বিপুল পেঁয়াজ আসতে লাগল। ফলে বাজারে ধস নামল। ’

তিনি বলেন, এখন আড়তে ভারতের পেঁয়াজ ২৮-২৯ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এই পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে কিনে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আসতে খরচ হয়েছে কেজি ৩৬-৩৮ টাকা দরে। এখন কেজিতে ১০ টাকা লস দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে চললে তো পথে বসতে হবে।

জানা গেছে, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে এক হাজার ৬০০ টন পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় আছে। ইঞ্জিন বোটে করে সেই পেঁয়াজ স্থলবন্দরে অপেক্ষায় আছে। সেই পেঁয়াজ বাজারে এলে আরো দাম কমবে বলে ধারণা খাতুনগঞ্জ আড়তদারদের।

খাতুনগঞ্জের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস বলছেন, ‘অনেক বছরে এবারই মনে হয় ব্যতিক্রম। পেঁয়াজের দাম না বেড়ে উল্টো কমছে। ব্যবসায়ীরা লোকসান দিচ্ছেন। এত দিন ভারত থেকে আসছিল পেঁয়াজ। ১০ দিন আগেও আমরা আড়তে ৫০ টাকার ওপরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলাম। এখন সেই পেঁয়াজ ২৯ টাকায় নিচ্ছেন না খুচরা দোকানিরা। আরো দাম কমবে, এই শঙ্কায় ক্রেতা নেই পেঁয়াজের। অথচ শবেবরাতের এই সময়েই পাইকারি বাজার জমজমাট বিক্রির কথা। ’

ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়েও প্রচুর পেঁয়াজ আসছে দেশে। সড়কপথে সেগুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম বলেন, শিলাবৃষ্টি, বন্যা মিলিয়ে সংকটের ধারণা করেছিলাম আমরাও, কিন্তু ঘটনা দেখি উল্টো। প্রথম দিকে সরবরাহ কিছুটা কম থাকলেও এখন ইচ্ছামতোই আসছে পেঁয়াজ। দাম আরো কমবে এই শঙ্কায় অনেকেই আমদানির ঝুঁকি নিচ্ছেন না।

কাজীর দেউড়ীর খুচরা দোকানি হক ভাণ্ডার স্টোরের মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রমজানে পেঁয়াজের দাম এত কমা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। ১০ দিন আগে ৫৫ টাকার বিক্রীত পেঁয়াজ এখন ৩৮ টাকায় বিক্রি করছি সত্যিই সত্যিই। কমে যাওয়া পেঁয়াজ আনলে আরো কম দামে বিক্রি করতে পারব। এটা ঠিক পেঁয়াজ নিয়ে এই রমজানে স্বস্তিতে আছে ভোক্তারা। ’


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭