রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শিশুসহ ২২৮ জন নিহত হয়েছেন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির কিয়েভ অঞ্চলে রুশ সেনাদের সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তারা প্রাণ হারান। শহর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
কিয়েভের শহর কর্তৃপক্ষ শনিবার (১৯ মার্চ) জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানীতে ২২৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে। এছাড়া কিয়েভ শহর প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আরও ৯১২ জন আহত হয়েছেন।
কিয়েভ শহর প্রশাসনের দাবি করা হতাহতের এই পরিসংখ্যান অবশ্য স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
টানা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ হামলা জোরদার হয়েছে রাজধানী কিয়েভ অঞ্চলেও। অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি কিয়েভের আবাসিক ভবনগুলোও এখন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যমগুলো।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন-রাশিয়ার লড়াই গড়িয়েছে ২৫তম দিনে। বেসামরিক লোক হতাহতের পাশপাশি ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও থামতে নারাজ পুতিন সরকার। হামলা বন্ধে সোচ্চার বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো। তবে শর্ত না মানা পর্যন্ত রুশ সরকার হামলা অব্যাহত রেখেছে।