ইনসাইড থট

জনগণ সরকারের একশন দেখতে চায়


প্রকাশ: 20/03/2022


Thumbnail

আমাদের দেশের যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্যই নিবন্ধন আছে কি নেই, এটি একটি বড় প্রশ্ন। এ কারণে ঠিক কয়টি দল রাজনীতিতে আছে, তা বলাও খুব দূরহ। তবে আইন অনুযায়ী দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকেই সাধারণত গণনায় রাখেন বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এ ক্ষেত্রে আমার উপলব্ধি হচ্ছে দল গঠনের জন্য দেশে যদি নিবন্ধনের বিষয়াদি না থাকতো, তাহলে যে পরিমাণ রাজনৈতিক দল আছে, যেকোনো বিচারে এটি অবশ্যই গিনেজ বুক অব রেকর্ডে স্থান পেতো। কথিত এইসব দলগুলোর সাথে আমি রেলের সেই বগি ছাড়া ইঞ্চিনের সাদৃশ্য খুঁজে পাই। যেখানে নেতা একজন আছেন ঠিকই, কিন্তু কোনো ধরণের সমর্থকগোষ্ঠী হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যেহেতু এখন দেশে মিডিয়ার বিস্তৃতি ব্যাপক, সেহেতু এই সমর্থকহীন নেতারা একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমেই আজকাল নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম দিচ্ছেন। দিনে দিনে এর ভয়াবহতা এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে, এখন একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রী, ছেলের বউ এবং মেয়ের জামাই থাকলেই একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ প্রথমে তারা একটি এডহক কমিটি করেন। বাড়িওয়ালা হন সেই কমিটির আহ্বায়ক। জামাই হয়তো সদস্য সচিব। বাদবাকি কয়েকজনকে বিভিন্ন পদে বসিয়ে দিলেই একটি সুন্দর রাজনৈতিক দল হয়ে যায়। এরকম রাজনৈতিক দলের সংখ্যা অসংখ্য। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা এসব দলগুলোর কর্মী-সমর্থক যে নেই, যেকোনো নির্বাচনের ফলাফলেই এ চিত্র স্পষ্ট এবং এদের অনেকেই ১০০ ভোটও পান না। খুব অল্প কয়জনই আছেন যারা হাজারের লাইন ক্রস করতে পারেন। এরা হচ্ছেন রেলের সেই ইঞ্জিন, যাদের কোনো বগি নেই। সাধারণত রেলের বগিতে থাকে অনেক লোকজন অথবা মালামাল। আর বগি টানার জন্য প্রয়োজন ইঞ্জিনের। ইঞ্জিন যেদিকে যাবে বগি সেদিকে যাবে। কিন্তু দেশের বিরোধী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শুধু ইঞ্জিনই দেখতে পাচ্ছি, বগির দেখা নাই। 

দেশের প্রায় ১৭ কোটি লোকের ভিতরে এখনও একটি ইঞ্চিনই বগিসহ সচল এবং এ ইঞ্চিনকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব দাম দিতে বাধ্য। সেটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগের ইঞ্জিন হচ্ছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তাঁর কেন্দ্র থেকে পরিধি পর্যন্ত অগণিত সমর্থক রয়েছেন। অর্থাৎ ইঞ্চিনের পেছনে বগি সংখ্যাও অসংখ্য। আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি এখন হিসাব করি, তাহলে আমাকে বলতেই হবে যে, তারা শুধুই বগিহীন ইঞ্চিন। বর্তমান বিশ্বে হয়তো বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে বিরোধী দলগুলো যদি ঠিকমতো সংগঠিত হতে চায়, তাহলে পরে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকেই এগিয়ে আসতে হবে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য। প্রযোজনে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী-সমর্থকদের দিয়েও তাদের যেকোনো সভা-সমাবেশ সফল করা যায়! কারণ তারা তো কর্মী-সমর্থক খুঁজে পাচ্ছে না। কর্মী-সমর্থক না থাকলেও এসব দলের নেতারা কিন্তু বড় বড় কথা বলেন প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে। কিন্তু পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এই দলগুলোর নেতারা বিভিন্ন ইস্যুতে হরতালসহ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির ডাক দিয়ে নিজেরাই উধাও হয়ে যান। তবে একজন রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আমি এখনও মনে করি শতধা বিভক্ত হওয়া স্বত্বেও বামদলগুলোসহ বাম রাজনীতিতে বিশ্বাসী লোকেরা যদি একতাবদ্ধ হন, তাহলে আস্তে আস্তে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। আমার এ মতামতের পেছেনে একটি যৌক্তিক কারণ আছে। বামদলগুলোর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র তত্ত্ব আওড়ায় বলে তোপ দাগেন অনেকে। কিন্তু আমি তাদের সাথে একমত নই। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আমার থেকে বয়সে ছোট এবং ছোটভাইও বটে। সদ্য গঠিত কমিউনিস্ট পার্টির কমিটিতে তিনি নেই। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কিন্তু কখনোই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। এই কারণে তাকে আমি সব সময়ই শ্রদ্ধা করি। বিশেষ করে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের কিন্তু একটি ভূমিকা ছিল। সেটি অনেকেই হয়তো ভুলে যায়। কিন্তু আমি ভুলিনি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ভুলেননি। তার প্রমাণ হচ্ছে অনেক অনুষ্ঠানে দেখেছি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে প্রধানমন্ত্রী ডাকেন। আমি জানি না, তিনি হয়তো রাজনৈতিক হতাশায় কিংবা অন্য কোনো কারণে রাজনীতি থেকে দূরে চলে গেলেন। বয়স যাই হোক না কেন, আমি মনে করি তিনিসহ তার মতো নীতিবান অনেক রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশে এখনও আছেন। আবার নীতিহীন রাজনীতিবিদও ভুরিভুরি। তারা একের পর এক বগিহীন ইঞ্চিন চালু করছেন। এরা কেন এটি করেই চলেছেন, জানি না। গবেষকরা ভালো বলতে পারবেন। এখন সমর্থক ছাড়া রাজনৈতিক দল হয় কিভাবে? আর এতে দেশের কোনো লাভ হয়? আমার তো মনে হয়, লাভ হয় না। কারণ বগি ছাড়া শুধুমাত্র ইঞ্চিন নিয়ে ট্রেন যেভাবে চলতে পারে না, তাকে অবশ্যই বগি ব্যবহার করতে হয়। ঠিক তেমনিভাবে সমর্থক ছাড়া রাজনৈতিক দলও হতে পারে না। একের পর এক এই ইঞ্জিন সৃষ্টির যে প্রবণতা আমাদের দেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে, এটি অর্থহীন। সব চেয়ে বড় কথা বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ বিরোধী সবগুলো শক্তি একতাবদ্ধভাবে নির্বাচন করেও বিশেষ কিছু করতে পারবে না। তবে নিজেদের দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে যদি তারা একতাবদ্ধ হতে পারেন। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামের মতো চরমপন্থীদেরকে বাদ দিয়ে এমনকি দক্ষিণপন্থী দলগুলোও যদি বাম দলগুলোর সাথে এক হয়, আমি মনে করি এ দেশের গণতন্ত্রের উপকার হবে।

বর্তমান অবস্থায় কার্যকরী বিরোধী দল, যে বিরোধী দল দেশের উপকারে আসবে, দশের উপকারে আসবে, এবং সরকারকে সমালোচনা করতে পারে, ভুলভ্রান্তি করলে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে পারে, সেরকম কোনো দলের লক্ষণ আমি দেখতে পাচ্ছি না। কারণ একেকজন কথা বলেন একেকভাবে। কথা বলেই শেষ। আর আমাদের মিডিয়ারও কাজকর্ম কম, তারা এগুলো দেখায়। কিছুদিন আগে বলেছিলাম, বাংলাদেশে এখন বিনোদনের সুযোগ খুব কম। সুতরাং এই ধরনের ইঞ্জিন তৈরির ফলে তারা অনেক বিনোদনমূলক কথাবার্তা পায়। এটা একটা বিনোদনের মাধ্যম হয়ে গেছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন গ্রামে যাত্রা হতো এবং আমরা যাত্রা দেখতাম। যাত্রা খুবই জনপ্রিয় ছিলো তখন। এখন যাত্রাটা নাই। আমার মনে হচ্ছে যাত্রার আধুনিক ভার্সনই হচ্ছে এই তথাকথিত ইঞ্জিনওয়ালা রাজনৈতিক দল। তারা যাত্রার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কথাবার্তাই বলবে। এতে আসলে দেশের কোনো মঙ্গল হবে না। আমি মনে করি এতে ভবিষ্যতে দেশের বরং ক্ষতি হবে। এসব না করে আপনারা যারা আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করেন, সকলে মিলে একটি ইঞ্জিন ঠিক করেন এবং সমর্থকরা ওই ইঞ্চিনের বগি হিসেবে কাজ করেন। তাহলে যদি কিছু হয়। কেননা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। নির্বচনেও তারা সফলতা অর্জন করতে পারবে না। বিদেশীদের বুঝানোর জন্য হয়তো নির্বাচন বয়কটের ভাব দেখাবে। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঠিকই দাঁড়াবে। দাঁড়িয়ে হয়তো কয়েকটা আসন পাবে। কিন্তু নাচতে নেমে ঘোমটার কী দরকার? বরং আমি বিরোধী দলগুলোকে অনুরোধ করবো, আপনারা সকলে মিলে একসাথে হয়ে তারপর না হয় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরোধিতা করুন। 

জনগণের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা কোনো সরকারের পক্ষেই পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বিশেষ করে কোনো সরকার যদি দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করে, তাহলে তাদের কিছু ভুলভ্রান্তি তো হবেই। কিন্তু সেই ভুলভ্রান্তিগুলোকে আপনারা জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়ে একের পর এক ইঞ্চিন সৃষ্টি করে চলেছেন। কিন্তু একতাবদ্ধ হতে পারছেন না। যেমন, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম এমনিতেও জনপ্রিয়তার তলানিতে। সেটাও আবার দুই ভাগ হয়ে গেছে। এটি কিন্তু অনেকের কাছে একটি হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। ফলে আমি মনে করি দেশের রাজনীতিতে আর ইঞ্জিনের প্রয়োজন নেই। এখন প্রয়োজন শুধু বগি। বগি ঠিক করুন। তাদের সমর্থন এবং সরকারের যত ভুলভ্রান্তি আছে, সেগুলোকে জনগণের সামনে তুলে ধরুন। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যারা এখন রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তারা তো দেখাতে পারেন পদ্মা সেতু হয়ে গিয়েছে। কর্ণফুলী টানেল তৈরি করেছে। তারা দেখাতে পারছেন এখানে মেট্রোরেল হচ্ছে, বিদ্যুৎ আর যায় না এবং শতভাগ বাড়িতে বিদ্যুতায়ন হয়েছে। জনগণের ইনকামও অনেক বেড়ে গেছে। অনেকগুলো কারণে এখন অবশ্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বিশ্বে দাম বেড়েছে। তারসাথে আমাদেরও কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যারা সরকার চালাচ্ছেন, তারা অবশ্যই অতি দ্রুত করণীয় পদক্ষেপ নিবেন। কারণ শুধুমাত্র বিশ্বের কথা বললে তো হবে না। জনগণ সরকারের একশন দেখতে চায়। অনেকে নতুন করে বলতে শুরু করেছেন যে, সকলকে স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনতে হবে। অথচ অনেক আগেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রত্যেকের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে এর থেকেও উন্নতর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং এর পর জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেই চিকিৎসা নিতে পারছেন। এখন আর রোগীকে ঢাকা আসতে হয় না। ঢাকাসহ সারাদেশে যতগুলো স্পেশালাইজড হাসপাতাল আছে, সবগুলোই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা। এখন তাঁকে পরিবর্তন করে আপনারা যদি অন্য কাউকে আনতে চান, আনতে পারেন। গণতন্ত্রে তো নিষেধ নেই। কিন্তু জনগণের ভোটে তো আসতে হবে। বিদেশিরা তো আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে না। এছাড়া বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগের মতো নেই। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের অবস্থাও আগের মতো নেই। সুতরাং এখন যতই লাফালাফি করুন না কেন, সেটি দেশি হউক কিংবা বিদেশি, কয়দিন পর থেকে দেখা যাবে তারা আস্তে আস্তে মুখে কলুপ এঁটে সড়ে যাবেন। আবারও ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসার মতো অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। আবারও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকেই সমর্থন দিতে বাধ্য হচ্ছে বহির্বিশ্ব। 

সম্প্রতি কিছু কাজের প্রেক্ষিতে ইউরোপে গিয়েছিলাম। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় আলাপ করে দেখলাম যে, তাদের আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খুব একটা প্রতিক্রিয়া নেই। ইউরোপ বরং স্পষ্টভাবে বলছে যে, র‌্যাব, পুলিশ এবং বিভিন্ন বাহিনী মিলে যেভাবে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করতে পেরেছে, সে জন্য তাদের পুরস্কৃত করা উচিত। এখানে বিরোধীতা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে তাদের অনেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কিছু কিছু কথা বলেছেন। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যাদের এটি বুঝানোর দায়িত্ব ছিল, তারা ঠিকমতো বুঝাতে সক্ষম হননি। এই একটি বিষয় ছাড়া সব বিষয়েই তারা মনে করছেন যে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। চরমপন্থী জঙ্গীদের দমন করতে সক্ষম হওয়ার কারণে র‌্যাবকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে তারা। তাদের কারণে লোকজন রাতের বেলায় নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছে। কিন্তু এগুলো না দেখে বিরোধীরা বিভিন্ন পত্রিকার এটাসেটা মিলিয়ে মিডিয়ায় উপস্থাপন করছে। আবার অন্যদিকে, আমরা যে কাজগুলো করি, সেগুলোকে দেশে এবং বিদেশে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা আছে। আমাদের এই দুর্বলতা কাটাতে হবে। তাহলেই নতুন নতুন ইঞ্জিন তৈরি বন্ধ হয়ে নতুন বগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আমি আমার বক্তব্য শেষ করবো এই কথা বলে যে, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি এতটাই শক্তিশালী ইঞ্জিন যে, ১৭ কোটি লোককেই তিনি বগি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আর অন্যান্য যারা ইঞ্জিন তৈরি করেছেন, তারা ১০ থেকে ১৫ জনের ভারেই ভেঙে পড়েন। আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে ওইসব বিরোধী দলগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ। বিরোধী দলগুলোকে আমি শক্তিশালী দেখতে চাই এবং তার জন্য তারা সঠিক পদক্ষেপ যেন দলগুলো গ্রহণ করেন, এটিই আমার চাওয়া।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭