রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে। সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা তরুণ, যোগ্য, দু:সময়ের সাহসী, সৎ ও নিষ্ঠাবানদের নেতা বানানো হয়। মাঝে মাঝে কিছু দুষ্টচক্র কখনো কখনো হাইব্রিড, কখনো কিছু সুবিধাবাদী লোক দলে ঢোকার চেষ্টা করে এবং ঢোকেও। তারাই শৃঙ্খলা নষ্ট করে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দ্বন্দ্ব,-কোন্দল, হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানো, স্থানীয় নেতাদের সম্মেলনে অনীহাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।
অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড ঠেকানোর বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড ঠেকানোর ক্ষেত্রে আমরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমাদের গঠনতন্ত্রের বিধিবিধানের মাধ্যমেই এগুলোকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শকে ভিত্তি করেই নেতা-কর্মীরা এখানে সমাবেত হয়। সে জায়গায় দলের প্রতিশ্রুতিটিই বড় পরিচয়। এগুলোকে আমরা বিবেচনায় নিয়ে কেউ যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করার পায়তারা করে, সেগুলোকে আমরা কখনো প্রশ্রয় দেই না। প্রয়োজনে বহি:ষ্কারও করা হয়। আওয়ামী লীগে এই প্রক্রিয়া সবসময় চলে আসছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ এ দ্বন্দ্ব-কোন্দল তো ব্যাপক আকার ধারণ করেনি। দুই একটি জায়গায় অনেক সময় ঘটে যায়। কিন্তু এগুলো একেবারেই ঠুনকো এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে আমরা রাষ্ট্রীয় আইনে ধরার জন্য আমাদের যে সাংগঠনিক বিধি-বিধান, সেই অনুযায়ী প্রয়োগ করবো। দুই একটি জায়গায় এরম ঘটনা ঘটেছে। এটি মারাত্বক কোনো ঘটনা না। এগুলোকে সহজেই আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। কারণ এই সক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে।
তৃণমূলে নিয়মিত সম্মেলন করতে নেতা-কর্মীদের অনীহার বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সব জায়গায় অনীহা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এটি ঘটে। হয়তো নেতৃত্বে নিজের জায়গাটি ধরে রাখতে চেষ্টা করে। যেহেতু নতুন সম্মেলন হলে যদি নেতা আগের জায়গাটি হারানোর একটি ভয় থাকে, সেই আশঙ্কা থেকে এটি হয়। আবার অনেকে মনে করে আমি তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি, এক বছর পরে হলে অসুবিধা কি! এই এক বছর দলের জন্য আরেকটু কাজ করি। কাজ করার আগ্রহ থেকেও হয় অনেক সময়। কখনো নিজের স্বার্থেও এটি হয়ে থাকে।