ইনসাইড আর্টিকেল

আবহাওয়া দিবস: সচেতন না হলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বিশ্ব


প্রকাশ: 23/03/2022


Thumbnail

বেশ কয়েক মাস আগে পশ্চিমাঞ্চল গুয়েতেমালা কেপে উঠেছিলো ভূমিকম্পে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো ৩১ হাজার ৩০০ মানুষ এবং হার্ট অ্যাটাকে ৩ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ভূমিকম্পের কারণে রাস্তায় ভূমিধস, বাড়িঘরের ক্ষতি এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। আবার ভূমিকম্প ছাড়া গত বছর ভারতের পরে বাংলাদেশের উপর আঘাত হেনেছিল 'ইয়াস' নামের ঘুর্ণিঝড়। এর ফলে ১৫টি জেলার ৭৭টি উপজেলা ও ১৩টি পৌরসভায় ক্ষয়ক্ষতি হয়, মৃত্যু হয় ৭ জনের। 

শুধু গুয়েতমাল, বাংলাদেশ বা ভারত নয়, পুরো বিশ্বেই ক্রমান্বয়ে এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর মূল এবং প্রধান কারন বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন। যার মধ্যে ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা, নদীভাঙন এবং ভূমিধ্বসের মাত্রাবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য।

আজ (২৩ মার্চ) বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলসমূহ এই  তারিখ অনুসারে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালন করে আসছে। আবহাওয়া সংস্থার পক্ষ থেকে দিবসটির এবারের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ-দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আবহাওয়া,পানি ও জলবায়ুর তথ্য’। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই আবহাওয়া অধিদফতর বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ  পৃথক বানী রেখেছেন এবং ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেছেন।

বিশ্ব আবহাওয়া দিবসটি পালন করার কারণ মূলত পরিবেশ রক্ষা করা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, বিশ্ব উষ্ণায়নের বাস্তবতায় তাপমাত্রাকে স্থিতাবস্থায় নিয়ে আসা, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, সমুদ্রের উপরিতলের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সতর্ক এবং সসচেনতা তৈরি করা। 

এছাড়াও, বিশ্ব উষ্ণতার কারণে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বেহাল অবস্থা। সমুদ্র পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলবর্তী দেশগুলো দিনের পর দিন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ফলে বেড়ে যায় ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাসের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ। এসব সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই প্রতিবছর এই দিবসটি মূলত পালন করা হয়।

গত বছরে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ ২০২১-৩০ পর্যন্ত সময়কে সমুদ্র দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে। পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় সমুদ্রকে। তাই গত বছর বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘সমুদ্র আমাদের জলবায়ু ও আবহাওয়া।’

মানুষের সৃষ্ট নানা কর্মকান্ডের কারনে পৃথিবীতে প্রশমিত হচ্ছে অতিরিক্ত তাপ, ফলে ব্যপক হারে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। ফলে টর্নেডোর আভির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমান্বয়ে বেড়েই যাচ্ছে। টর্নেডো আভির্ভাবের ফলে সুমুদ্রের পানি আয়তনে ফুলে উঠবে। পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দূর্যোগের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমার থেকে আরও বেড়ে যাবে। এমনিতেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দিনের পর দিন পৃথিবীতে বেড়েই চলেছে।

এমতাবস্থায়, যদি সকলে সচেতন এবং আগাম সতর্ক না হই তাহলে আগামীতে পৃথিবী ধ্বংসের মুখোমুখিতে পরবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে হলে সকলকে আজ থেকেই সচেতন হয়া প্রয়োজন। তানাহলে একদিন শুধু আমাদের দেশই নয়,কোনো দেশই রেহাই পাবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে পুরো বিশ্ব।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭