ঝড়ো সূচনার পর দ্রুতই দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজের পর নিজের টানা দুই ওভারে জোড়া আঘাত হেনেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। উইকেট শিকারের উৎসবে পরে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান আর শরিফুল ইসলাম।
বিনা উইকেটে ছিল ৪৬ রান। সেখান থেকে আর বাকি রান যোগ করতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৭ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৫ রান।
সিরিজে ১-১ সমতা। সেঞ্চুরিয়নে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি তাই পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। আজ যে দল জিতবে, তারাই ট্রফি হাতে তুলবে।
এমন এক ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। টাইগারদের ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিং জুটিতে ভালো একটি সূচনাও পেয়েছিল স্বাগতিকরা।
কুইন্টন ডি কক আর জানেমন মালান ঝড়ো সূচনা করেন। ৪১ বলে তাদের ৪৫ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। টাইগার অফস্পিনারকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅফে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন ডি কক (৮ বলে ১২)।
১৩তম ওভারে এসে কাইল ভেরনানকে (৯) তুলে নেন তাসকিন। এই উইকেটে অবশ্য কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও ছিল। তাসকিনের ওয়াইড ডেলিভারি টেনে উইকেটে এনে বোল্ড হন ভেরনান।
এক ওভার পর এসে তাসকিন আরও এক উইকেট শিকার করেন। এবার আর ভাগ্যের সাহায্য নয়, দারুণ এক ডেলিভারিতে মালানকে (৩৯) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান টাইগার গতিতারকা।
তার পরের ওভারে আরও এক উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে (২) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। তার আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে বাভূমা যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি।
১৯তম ওভারে প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ের আরেক ভরসা ভ্যান ডার ডাসেনকে (৪) আউট করেন শরিফুল। পয়েন্টে দারুণ এক ক্যাচ নেন মিরাজ। পরে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাসকিন।