দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে আজই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শিগগিরই এটি প্রজ্ঞাপন আকারে জানাবে।
এর আগে ১১ মার্চ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে সমালোচনার মুখে সাহিত্যে প্রয়াত আমির হামজার পুরস্কারটি বাতিল করে সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ‘বিদ্যুৎ বিভাগ।’
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ বিষয়ে বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি বিরাট ঘটনা। এককভাবে এ কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত, সাহসিকতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দলগতভাবে কাজ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এসব সমালোচনা ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। ভুলগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করেছেন। এটা বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য অনেক বড় সাফল্য।
১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।