অপ্রত্যাশিতভাবে বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্ন-সমাধি ঘটেছে ইতালির। উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে আজ্জুরিরা। ফলে প্লে-অফের ফাইনালে উঠে গেল পর্তুগাল ও উত্তর মেসিডোনিয়া। ফাইনালে এই দুই দলের মধ্যে বিজয়ী যাবে বিশ্বকাপে।
পুরো ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ইতালির হৃদয় ভেঙে দেওয়া গোলটা করেন উত্তর মেসিডোনিয়ার স্ট্রাইকার আলেকসান্দর ত্রায়কোভস্কি।
ওদিকে প্রথম থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলা শুরু করেন রোনালদোরা। ম্যাচের ২ মিনিটেই গোলের সুযোগ পান রোনালদো, কিন্তু গোল করতে পারেননি। ১১ মিনিটে সহজ একটা সুযোগ নষ্ট করেন লিভারপুলের ফরোয়ার্ড দিওগো জোতা। কিন্তু বেশিক্ষণ হতাশায় থাকতে হয়নি পর্তুগালকে। ১৫ মিনিটেই তরুণ ফরোয়ার্ড ওতাভিওর গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। বক্সের খানিক বাইরে থেকে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভার জোরালো শট পোস্টে লাগে, বল চলে যায় ওতাভিওর কাছে।
ওতাভিওর শট আরেকটু হলে আটকেই দিয়েছিলেন তুরস্কের গোলকিপার উরজান চাকির, কিন্তু পরে চাকিরের গায়ে লেগেই বল জড়ায় জালে।
৪২ মিনিটে আবারও দৃশ্যপটে ওতাভিও, এবার সহায়তাকারীর ভূমিকায়। ওতাভিওর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ৪২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জোতা।
গোল খাওয়ার পর থেকেই তুরস্কও একের পর এক আক্রমণ করে যায়, কিন্তু ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ছিল না। অবশেষে ৬৫ মিনিটে চেঙ্গিজ উনদেরের সহায়তায় ব্যবধান কমান স্ট্রাইকার বুরাক ইলমাজ। ৮২ মিনিটে পর্তুগালের অভিজ্ঞ সেন্টারব্যাক হোসে ফন্ত বক্সের মধ্যে তুরস্কের ফরোয়ার্ড এনেস উনালকে অন্যায়ভাবে ফেলে দিলে ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পায় তুরস্ক। কিন্তু সেখান থেকে পাওয়া সুযোগটা হেলায় হারান ইলমাজ, বল মারেন পোস্টের ওপর দিয়ে।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বলে পা লাগাতে পারেননি রোনালদো। ম্যাচের একদম শেষদিকে গোল করে পর্তুগালের জয় নিশ্চিত করেন ম্যাথিউস নুনেস।
প্লে-অফের ফাইনালে পর্তুগাল লড়বে উত্তর মেসিডোনিয়ার সঙ্গে। সেই সাথে ইতালির বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ও শেষ হয়ে গেল।