ইনসাইড থট

পশ্চিমা মিডিয়া পবিত্র থেকে পবিত্র নয়, তারা পক্ষপাতদুষ্ট


প্রকাশ: 25/03/2022


Thumbnail

আমি জানি না আপনি পশ্চিমা মিডিয়ার বিভিন্ন পরিস্থিতি, স্থান এবং সময়ের বিবেচনায় ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করা, তাদের মুখ বদলানো এবং তাদের ইচ্ছানুসারে সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়ানো লক্ষ্য করেছেন কিনা? তারা প্রায়ই তাদের মতামত পরিবর্তন করে এবং তাদের আয়ের উৎস, শ্রোতা এবং আগ্রহ অনুযায়ী তাদের তথ্যের বিধান নির্ধারণ করে। বেশিরভাগই তারা তাদের মালিক বা দেশের বা গোষ্টির স্বার্থ এবং মতামত পরিবেশন করে। অনেক সময় তারা সেই অনুযায়ী মতামত এবং বিকল্প তৈরি করে। যখন ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ইরানের বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় যুদ্ধ শুরু করে, যখন মিঃ রামসফিল্ড ইরাক সফর করেন এবং সাদ্দামকে তার নেতৃত্বের জন্য প্রশংসা করেন ( সাদ্দাম তখনও একজন নৃশংস স্বৈরশাসক ছিলেন, আর বিষাক্ত গ্যাস দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল), তখন তিনি পশ্চিমা মিডিয়ার একজন নায়ক ছিলেন। কিন্তু কুয়েত আক্রমণ করার সাথে সাথেই তাকে হিটলার বানায় সেই একই মিডিয়া। মিডিয়া পশ্চিমের অস্ত্রের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাকে মহিমান্বিত করেছিল যখন কুয়েত থেকে পিছু হটা ইরাকি সৈন্যদের কলাম এবং যানবাহন মরুভূমি অতিক্রম করে বাড়ি যাচ্ছিল, তখন তাদের নির্মম ভাবে গণহত্যা করা হয়েছিল। তখন একজন পশ্চিমী পাইলট তার বিমানে আরো হত্যা করার জন্য পর্যাপ্ত বুলেট ছিল না বলে দুঃখ করেছিল, তা পশ্চিমা মিডিয়া ব্যাপক ভাবে গর্বের সাথে প্রচার করে। জেনেভা কনভেনশনের বিরুদ্ধে ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সেই পশ্চিমা মিডিয়া নীরব ছিল। মিডিয়া কীভাবে মিথ্যাভাবে আমাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল যে সাদ্দামের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল বা তিনি ৪৫ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সক্ষমতা তৈরি করেছিলেন - টনি ব্লেয়ারের বিখ্যাত মিথ্যাগুলির মধ্যে একটি তা মিডিয়া সত্য করে তুলে। যে রাতে ক্রুজ মিসাইলগুলি বাগদাদে পড়তে শুরু করেছিল, পশ্চিমা মিডিয়া পশ্চিমা আগ্নেয়াস্ত্র শক্তিকে মহিমান্বিত করেছিল, বলেছিল যে বাগদাদের আকাশ আতশবাজি প্রদর্শনের মতো আলোকিত হচছে। কিন্তু হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মারা যাওয়ার কথা কখনও উল্লেখ করেনি। কুয়েত যুদ্ধের পর ইরাককে তাদের পেট্রোল জাতিসংঘের মাধ্যমে বিক্রি করে সেই অর্থ খাদ্য কেনার জন্য এবং জাতিসংঘ দ্বারা তা বিতরন এবং ব্যবহার করতে বাধ্য করে। ২০০৩ সালে যখন পশ্চিমা দেশ ইরাক আক্রমণ করে দখল করেছিল, তখন সেই পেট্রোল বিক্রি থেকে অবশিষ্ট প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার দখলদার বাহিনী নিয়ে গিয়েছিল। সেই টাকা কোথায় গেল তা খুঁজে বের করতে গণমাধ্যম কোনো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেনি।

পশ্চিমা মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামিক সন্ত্রাসী থেকে পরিত্রাণ পেতে যুদ্ধের ন্যায্যতা দেওয়ার কথা আমরা কতবার শুনেছি। অথচ ইয়েমেনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের ধ্বংস ও হত্যার কথা আমরা ততবার শুনিনি। কারণ যেসব দেশ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে তারা পশ্চিমা দেশগুলো থেকে অস্ত্র কিনতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে আর দাম কমিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত পেট্রোল উৎপাদন করছে তাই মানবতা, গণতন্ত্র এবং বাক ও তথ্যের স্বাধীনতা তখন পশ্চিমা মিডিয়ার মাধ্যমে গণনা করা হয় না।

ইউক্রেন সম্পর্কে কথা বলা যাক। আমি কিয়েভ, ইউক্রেনে কাজের জন্য গিয়েছি, এটি একটি সুন্দর শহর। আসুন দেখি জেলিনস্কি প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে এবং পরে পশ্চিমা মিডিয়া কীভাবে ইউক্রেন সম্পর্কে তাদের সংবাদ/গল্প প্রতিফলিত করেছিল। সেখানে সিআইএ এবং পশ্চিমা দেশগুলি একটি অভ্যুত্থান শুরু করতে সক্রিয়ভাবে সাহায্য এবং এটির ইন্ধন দিয়েছিল এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে উৎখাত করেছিল। পশ্চিমা মিডিয়া কি তখন গণতন্ত্র নিয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার করেছিল? না তারা তা করেনি বরং অভ্যুত্থানকে ইউক্রেনীয় জনগণের অভ্যুত্থান বলে প্রশংসা করে প্রচার করে। তারপরে আমরা দেখেছি বিভিন্ন আমেরিকান প্রেস জেলিনস্কি সম্পর্কে কি কথা বলতো। তাদের প্রচার জেলিনস্কি সম্পর্কে চাটুকারি নয় বরং তাকে একজন কৌতুক অভিনেতা থেকে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে রূপান্তর হওয়ার কথা প্রতিফলিত করে। রাশিয়া যখন সীমান্তের পাশে তার বাহিনী জড়ো করা শুরু করে, তখন মিডিয়া তাকে যুদ্ধ নায়ক, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং মানবতার চ্যাম্পিয়ন বানাতে শুরু করে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার আগে, জেলিনস্কি তিনটি রাষ্ট্রপতির কার্যক্রমের বিষয়ে সমালোচনামূলক মিডিয়া টিভি স্টেশন নিষিদ্ধ করে, পশ্চিমা মিডিয়া কি তখন বাক ও তথ্যের স্বাধীনতার দমন নিয়ে কান্নাকাটি করেছে? এই সংবাদ কোন মিডিয়ায় শিরোনাম হয়ে ওঠেনি। কিছু দিন আগে জেলিনস্কি ১১টি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে, তাদের মধ্যে একটি দলের সংসদে ৪০ জন নির্বাচিত এমপি রয়েছে এবং সমস্ত টিভি এবং মিডিয়া স্টেশন বন্ধ করে দিয়েছে এবং শুধুমাত্র একটি মিডিয়া এখন সরকারী তথ্য সরবরাহ করতে পারে। পশ্চিমা মিডিয়া বা পশ্চিমা সরকারগুলিকে এর বিরুদ্ধে কথা বলেছে বা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা বলছে? আপত্তি উত্থাপন করা তো দুরের কথা, এমনকি কোন মিডিয়া একটি শিরোনামও লিখেনি। কিন্তু রাসিয়ার মিডিয়া নেতিবাচক কথা বলতে সময় নস্ট করছে না। বাক-স্বাধীনতা প্রচারকারীরা সেই সব মিডিয়া রাসিয়ান মিডিয়া বন্ধ করার জন্য জোর করে প্রচার এবং চাপ তৈরি করে এবং রাশিয়ান মিডিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বিস্ময়কর না যে জেকেনস্কি এখন পশ্চিমা মিডিয়া বা পশ্চিমা সরকারগুলোর বাধীনতা ও গণতন্ত্রের নায়ক ও রক্ষক। আমরা কি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী, সহিংস, ডানপন্থী সামরিক গোষ্ঠীর কথা শুনি যারা ক্রিমিয়া বা ইউক্রেনের অন্য দুটি স্বঘোষিত অঞ্চলে নৃশংসতা চালিয়েছে। আমরা কি দেখি ইউক্রেন এবং রাশিয়া কেন পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যস্থতায় করা মিনস্ক চুক্তিকে সম্মান না করার কথা বলতে? না তা করেনি।

আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, পশ্চিমা মিডিয়া কি ভাবে ইউক্রেন থেকে খবরের প্রতিফলন করছে? ইউক্রেন সরকার যা-ই দাবি করছে, গণমাধ্যম তা সত্য ছাড়া আর কিছুই নয় নামে প্রচার করছে। কিনতু অন্য পক্ষের দ্বারা যা কিছু বলা হয়, পশ্চিমা মিডিয়া সবসময় বলবে "আমরা স্বাধীনভাবে সেই তথ্য বা দাবি যাচাই করতে পারিনি"। গতকাল একটি সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক কিয়েভ মেয়রকে জিজ্ঞাসা করেন, রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ তাদের কাছে সরবরাহ করতে। মেয়রের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখলাম, “আমরা আপনাদের বলেছি কত শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, আপনাদের আর কী তথ্য দরকার?” সুতরাং, তাদের দাবি তারা যাই বলবে তা যাচাই করা উচিত নয় তবে সত্য হিসাবে নেওয়া উচিত।

আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি অন্য সকলের সাথে ইউক্রেনে যে নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তার নিন্দা জানাই। এই আগ্রাসন এবং নৃশংসতাকে কিছুতেই সমর্থন করা যায় না বা উচিত নয়। আমি যুদ্ধ ও যুদ্ধের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধকে কারো স্বার্থের প্রচার ও সুরক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না এবং করা উচিত নয় বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে এখানে আমি আরেকটি হিপোক্রেসি/কপটতার কথা উল্লেখ করতে চাই। যখনই কেউ পশ্চিমা দেশগুলোর ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়ায় যুদ্ধাপরাধ করেছে বা ফিলিস্তিনে এখনও যা চলছে তা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে, তখনই আপনাকে বলা হবে "একজনের বা দলের ভুলের উধারন দিয়ে, অন্যের দ্বারা একই ভুল করাকে সমর্থন করা যায় না বা তার ন্যায্যতা দেয়া যায় না”। আমি জানতে চাই আর কতদিন পশ্চিমা দেশগুলো বারবার একই ভুল করতে থাকবে এবং আমাদেরকে চুপ থাকতে বলা হবে এবং সেই একই যুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকা তাদের নৃশংসতার ন্যায্যতা চালিয়ে যেতে দেওয়া হবে? ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে ভেটো দিতে আমরা কতবার দেখেছি। কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত মানতে বা কার্যকর করতে অস্বীকার করছে? আমাদের বলা হল ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে বার বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের ভেটো রাশিয়ানদের ইউক্রেন রেজুলেশনে ভেটো বা চীন ও ভারতের বিরত থাকার ন্যায্যতা দেয় না। রাশিয়ান রুবেল দিয়ে গ্যাস কেনার কথা বা চীন ও সৌদি আরব পেট্রোল বাণিজ্যের জন্য ইয়েন ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী কিন্তু আফগানিস্তানের ৭ বিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত করা বা কিছু লোকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা আন্তর্জাতিক আইন বা নিয়মের পরিপন্থী হতে পারে না। ইসরায়েলের অসম্মতি, ভুল, ধ্বংস এবং নৃশংসতা ফিলিস্তিনিদের উত্থানের ন্যায্যতা দেয় না। পশ্চিমা দেশগুলো ড্রোন হামলা এবং নিরপরাধ নারী ও শিশুদের হত্যা করা বা ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী বা জেনারেলকে হত্যা করা অন্যদের একই কাজ করা সমর্থন করে না বা ন্যায্যতা দেয় না। ন্যাটো দেশগুলি ইউক্রেনকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে তবে এটি চীন বা অন্যান্য দেশগুলির রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করা সমর্থন বা ন্যায্যতা দেয় না। “এক অন্যায় অন্য অন্যায়ের যৌক্তিকতা দেয় না” পশ্চিমা দেশগুলোর নীতি নির্ধারকদের তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আড়াল করা বা এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ না দেওয়ার এটা একটি অলৌকিক সুবিধাজনক যুক্তি হয়ে গেছে!!

বাংলাদেশের কথা ভাবুন। আজকের সরকার যদি ১১ বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করে বা সমস্ত মিডিয়া আউটলেট বন্ধ করে দেয় তবে পশ্চিমা মিডিয়া কীভাবে তা প্রতিফলিত করবে? এই মিডিয়াগুলো তখন বাংলাদেশকে নৃশংস স্বৈরাচারী দেশে পরিণত করবে এবং বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ শাসন/শাসক দল পরিবর্তনের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। পশ্চিমা মিডিয়া তাদের নিজস্ব স্বার্থের উপর নির্ভর করে আজকে আপনাকে একজন নায়ক এবং পরের দিন একজন অপরাধী বানানোর ক্ষমতা রাখে বা আছে এবং তারা সেই ক্ষমতা ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না। গণতন্ত্র বা বাক বা তথ্যের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বা মানবতা রক্ষার জন্য তাদের উচ্চ মাত্রায় কান্না কতটা আন্তরিক তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আজ সবাই, পশ্চিমা দেশগুলোর মতের বিপরীত কিছু বলতে ভয় পায় কারণ তাদের কে, ব্যক্তি বা দেশকে অগণতান্ত্রিক, অমানবিক, বিশ্বাসঘাতক, অপরাধী বা হিটলারের সমর্থক বলে আখ্যা দিয়ে অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে পারে বলে।

আমি আবার একটি ইউনিপোলার বা একক সুপার পাওয়ার বিশ্বে ফিরে যেতে ভয় পাই। কারন আমরা দেখেছি সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন ভেঙে যাওয়ার পর, পশ্চিমা দেশগুলি কীভাবে আন্তর্জাতিক নিয়ম, আইন বা মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করে তারা তাদের ইচ্ছা, স্বার্থ এবং আধিপত্য চাপিয়ে দিতে দ্বিধা করেনি, তারা কয়েকটি দেশকে ধ্বংস ও দখল করেছে। এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস কারো ছিল না এবং ভবিষ্যতে তারা আবার একই কাজ করতে দ্বিধা করবে না। পশ্চিম এবং পূর্ব উভয় দ্বারা জাতিসংঘ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মতো দেশ তার জনগণের জীবনকে উন্নত করতে চায়, আশা ও সমৃদ্ধি আনতে চায়। আমরা কোনো পক্ষ নিতে চাই না। আমরা অন্যদের মতো কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের স্বার্থ রক্ষা করতে চাই। আমরা শান্তি, আর মানব উন্নয়ন চাই যুদ্ধ চাই না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭