ইনসাইড টক

‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে’


প্রকাশ: 26/03/2022


Thumbnail

তীব্র গরম ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ রেকর্ড সংখ্যক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং গরম বেড়েছে। তীব্র গরমের কারণে তৃষ্ণার্ত, পরিশ্রান্ত মানুষ বাইরে গিয়ে আজেবাজে শরবত, আখের রস, গুড়ের শরবত খাচ্ছে। এগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কি না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কি না, সেদিকে কারও লক্ষ্য নেই। এর পাশাপাশি বাহিরের খাবার খেয়েও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া বাড়িতেও পানি ফুটিয়ে খাচ্ছে না অনেকেই। ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ তো বাড়বেই।

ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, ঢাকার বাতাসের দূষণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় স্কুল-কলেজ সবকিছু খুলে যাওয়ায় মানুষ বাইরে যাচ্ছে বেশি এবং খোলা খাবার খাচ্ছে। ঠিক মতো হাত ধুচ্ছে কি না, কেউ জানে না। এসব কারণে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এরপর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায়ও ত্রুটি থাকতে পারে। এমনকি ঘরের খাওয়া-দাওয়ায়ও অনেকসময় ডায়রিয়ার জীবাণু বহন করে। যেমন ঘরের খাবার অনেক সময় ধরে বেড়ে রাখলে তা বাসি-নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো যদি খায়, তাহলেও ক্ষতি হতে পারে। খাওয়ার আগে সুন্দর করে হাত না ধুলেও হতে পারে। এসব কারণে বিশেষ করে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। 

ডায়রিয়া প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কখনোই বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না। পানি ফুটিয়ে খেতে হবে। শিশুদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। খাওয়ার আগে অবশ্যই সুন্দর করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ঘরেও বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। ঘরের খাবারও স্বাস্থ্যকর হতে হবে। খাবার দীর্ঘক্ষণ বাইরে রেখে তারপর ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে না। খাবার রান্নার পর ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। 

ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডায়রিয়া হলে শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা দেখা দেয়। ফলে এ সময় স্যালাইন ও ডাবের পানি খেতে হবে। তা না হলে ডিহাইড্রেশনের কারণে কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ডায়রিয়া হলে নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে। আর ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে বারবার মায়ের বুকের দুধ খেতে দিতে হবে।

ঢাকার বাতাসের বিপদজনক অবস্থা ও জেনারেশনের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বাতাস একদিনে তো এই জায়গায় পৌঁছেনি। আমরা সবাই মিলে এই জায়গায় নিয়ে এসেছি। এর কারণে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিডনির সমস্যা হচ্ছে। হার্টের সমস্যা হচ্ছে। ব্রেইনের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা, গর্ভবতী মহিলারা, গর্ভস্থ বাচ্চা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বলতে গেলে বাতাসের সমস্যার কারণে পুরো শরীরেই এর প্রভাব পড়ছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭