র্তমানে বাংলাদেশের গেমিং সম্প্রদায় জনপ্রিয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মোবাইল ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের গেমাররা এখন অ্যারেনা অব ভ্যালর ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-এ দক্ষিণ এশিয়া থেকে কোয়ালিফাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিযোগিতাটিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীরা অংশ নিচ্ছেন। এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আর্থিক পুরস্কার বেশ আকর্ষণীয়, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়া ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এসসহ আরও কিছু লোভনীয় পুরস্কার রয়েছে। ইনফিনিক্স মোবাইল বাংলাদেশে ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এসের মাধ্যমে বৃহত্তম ই-স্পোর্টস অফলাইন গেমিংয়ের স্পন্সর হয়েছে।
প্রতিযোগিতাটি প্রথমে ১১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত আঞ্চলিকভাবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দেশ থেকে বিজয়ী ৮টি দল এবার একটি ল্যান (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) ইভেন্টে ফাইনাল প্লে অফে অংশ নেবে, যা আয়োজন করবে বাংলাদেশ। এর গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জয়ের জন্য বাংলাদেশের বিজয়ী দলগুলো এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়াই করবে।
গ্র্যান্ড ফাইনালে বিজয়ী দলটি এরপর বৈশ্বিক পর্যায়ের অ্যারেনা অব ভ্যালর ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার টিকিট পাবে। একটি সুখবর হলো, চলতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসে একটি পদক ইভেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে অ্যারেনা অব ভ্যালর।
অ্যারেনা অব ভ্যালর হলো মাল্টি-প্লেয়ার ই-স্পোর্টস গেম, যা স্মার্টফোনে নির্বিঘ্নে খেলা যায়। এ গেমে ব্যাটারির স্থায়িত্ব ও কার্যক্ষমতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে না।
অ্যারেনা অব ভ্যালরের (এওভি) সঙ্গে ইনফিনিক্স মোবাইল বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এদেশের গেমারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি করেছে। এওভি এমন একটি মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন ব্যাটল বা লড়াই, যা গভীর দলগত কৌশলে খেলতে হয়। আর ইনফিনিক্স হট ইলেভেন এস একটি অলরাউন্ডার ডিভাইস, যেটি অত্যন্ত উন্নতমানের প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক ও ছিমছাম ডিজাইনে তৈরি। এটি কার্যক্ষমতায়ও বেশ শক্তিশালী, যা এওভির মতো ‘ভার্চুয়াল ব্যাটলফিল্ড’ তথা অনলাইনভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিজয় অর্জনের জন্য প্রয়োজন।