কালার ইনসাইড

আজো গড়ে উঠেনি খালিদ হাসান মিলুর অপরিহার্য কেউ


প্রকাশ: 29/03/2022


Thumbnail

কালজয়ী অনেক গানের শিল্পী খালিদ হাসান মিলু। ২৯ মার্চ তার চিরবিদায়ের দিন। ২০০৫ সালের এই দিনে প্রয়াত হন জনপ্রিয় এই গায়ক। বাংলা ইনসাইডারের  পক্ষ থেকে রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।

১৯৮০ সালে মাত্র বিশ বছর বয়সে খালিদ হাসান মিলু তার সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন। এই স্বল্প সময়ে তিনি ১২টি অ্যালবামে গান করেছেন। খালিদ হাসান মিলু তার প্রথম 'ওগো প্রিয় বান্ধবী' অ্যালবামের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো হচ্ছে- প্রতিশোধ নিও, নীলা, শেষ ভালোবাসা, আয়না, মানুষ ইত্যাদি।


৯০ দশকের শুরুর দিকে এন্ড্রু কিশোরের পর যে পুরুষ কণ্ঠশিল্পী ধীরে ধীরে নিজেকে অপরিহার্য করে তোলেন, তিনি খালিদ হাসান মিলু। প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯৮২ সালে ‘কালো গোলাপ’ চলচ্চিত্রে; কিন্তু সেই সময় নিজেকে প্লেব্যাকে ব্যস্ত করতে পারেননি। মিলু প্রযোজক, পরিচালক ও সংগীত পরিচালকদের নজর কাড়েন এহতেশামের সাড়া জাগানো সুপার ডুপার হিট ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রে। নবাগত নাঈমের কণ্ঠের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে গিয়েছিলেন খালিদ হাসান মিলু, পরবর্তীতে নাঈমের প্রায় সব চলচ্চিত্রে মিলুর কণ্ঠ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এভাবে ধীরে ধীরে খালিদ হাসান মিলু প্লেব্যাকে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন।

মধুমাখা কণ্ঠ কিংবা স্বর্ণকণ্ঠের গায়ক খালিদ হাসান মিলু ২৫০ বাংলা চলচ্চিত্রে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সেসব গানের বেশির ভাগই ছিল তুমুল শ্রোতাপ্রিয়।


তার মধ্যে আজও মুখে মুখে বাজে ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ সিনেমার ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’ সিনেমার ‘জীবন ফুরিয়ে যাবে’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’ সিনেমার ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘বাবা কেন চাকর’ সিনেমার ‘আমার মতো এত সুখী’ ইত্যাদি গান। অসংখ্য গানের এই শিল্পী আজও মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থানে অবস্থান করছেন।

শ্রোতাদের ভালোবাসার পাশাপাশি মিলু ১৯৯৪ সালে ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন।



খুব দ্রুতই এন্ড্রু কিশোর যুগের পরবর্তী প্লেব্যাকে খালিদ হাসান মিলুর যুগ শুরু হলো কিন্তু ২০০৫ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে তার অকাল মৃত্যু সবকিছু শেষ করে দেয়, যা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে থাকলো। বলতে গেলে মিলুর পর প্লেব্যাকে গত ১৭ বছরে কেউ আর অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেনি।

খালিদ হাসান মিলুর উল্লেখযোগ্য প্লেব্যাকগুলো হলো,  কন্যার বয়স যে ষোল (চাঁদনী), চাঁদনী রাতে বাঁশির সুরে (চাঁদনী রাতে), চোখে চোখে চোখ রেখে (চোখে চোখে), ওগো মা তুমি যে শুধু মা (দিল), ঘর নাই বাড়ি নাই, বড় মিষ্টি লাগে তুমি কাছে এলে (লাভ), সেই মেয়েটি আমাকে, চারিদিকে শুধু তুমি (মৌসুমী), ও ও রুবি (হিংসা), প্রেম কখনও মধুর (মহৎ), পৃথিবীর জন্ম যেদিন থেকে (জ্যোতি), পৃথিবীকে ভালোবেসে, অন্তর আগুনে অন্তর (হৃদয় আমার), তুমি আমার হৃদয়ে যদি থাকো, ভালোবাসা মানে না কোন (হৃদয় থেকে হৃদয়), শুধু একবার বলো ভালোবাসি (দেনমোহর), চিঠি লিখলাম, তুমি যেখানেই থাকো (স্নেহ), অন্তরে অন্তরে পীরিতি (অন্তরে অন্তরে), জনম জনম ওয়াদা আমার (শাসন), শোন শোন ও প্রিয়া প্রিয়া গো (রাক্ষস), এসো এসো কাছে এসো (লজ্জা), আমি নই ফেরেশতা নই দেবতা (আব্দুল্লাহ), এক দুই তিন চার আমরা সবাই (ঘাত প্রতিঘাত), কত ভালোবাসি কী যে ভালোবাসি (কে অপরাধী), এতো সুখী বলো কে আছে (শান্তি চাই), সাথী তুমি আমার জীবনে (চাওয়া থেকে পাওয়া), আমার মতো এতো সুখী (বাবা কেন চাকর), আমার ভালোবাসা সত্যি যদি হয় (জনম জনম), অনেক সাধনার পরে আমি (ভালোবাসি তোমাকে), প্রাণের চেয়ে প্রিয় ( প্রাণের চেয়ে প্রিয়) এবং মায়ের একধার দুধের দাম (বর্তমান)।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭