অর্থনৈতিক মন্দায় রিজার্ভ সংকটের কারণে সৃষ্ট জটিলতায় একেবারে দৈন দশায় উপনীত হয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। অর্থনৈতিক সংকটে পণ্য আমদানি ব্যাহত হওয়ার দেশজুড়ে শুরু হওয়া সহিংস বিক্ষোভ দমনে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপক্ষে।
শুক্রবার (০১ এপ্রিল) রাতে সরকারি গেজেটে জরুরি অবস্থা জারির কথা জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপক্ষে বলেছেন, জননিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ এবং জরুরি সেবা ঠিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ২৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। তবে কতজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন সেই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হন সরকারের একজন কর্মকর্তা। এছাড়াও সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি গতকাল শুক্রবার কলম্বো ও এর আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করেছিল পুলিশ।
এদিকে, সহিংসতার সাথে জড়িত সব পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানিয়ে দেশটিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি হানা সিঙ্গার-হামদি টুইটারে লেখেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করছি। পাশাপাশি সহিংসতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন।
গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। ব্যাপক জ্বালানি সংকটের মধ্যে চুলা জ্বালানোর কেরোসিন নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
তেল সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দৈনিক ১৩ ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। কাগজ না থাকায় স্কুলগুলোতে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে দৈনিক পত্রিকা ছাপানো।