ইনসাইড টক

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে কাজ করছে’


প্রকাশ: 02/04/2022


Thumbnail

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সারা দেশে মানুষকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা করা, হাওর অঞ্চলের মানুষকে একেবারে ফসল ঘরে তোলার ব্যবস্থা করার কাজগুলোও আমরা স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে করে যাচ্ছি। এই প্রকল্পগুলো আস্তে আস্তে বাস্তবায়িত হতে থাকলে যেহেতু এটি শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান, সেহেতু একটা কাজ করলাম, তারপর আরেকটা কাজ করতে থাকলে দেখা যাবে অটোমেটিক্যালি একসময় কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে যাবে। হয়তো কোনো জায়গায় কোনো সমস্যা হলে শুধু ওই জায়গাটুকু দেখলেই আমাদের চলবে। তবে সারা দেশে এত পরিমাণ নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস যুক্ত এলাকা আর থাকবে না। সব জায়গাতেই স্থায়ী প্রকল্পগুলো নিচ্ছি আমরা।

ডেল্টা প্ল্যান, নদী ভাঙন, ইত্যাদি বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য এ কে এম এনামুল হক শামীম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।

এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ডেল্টা প্ল্যান তো একেবারে ২১০০ সালে পর্যন্ত করা। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন একজন ব্যতিক্রমধর্মী সরকারপ্রধান। তিনি তো শুধু আগামী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না, তিনি পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল হবে সেটা আগে ঠিক করে রেখেছিলেন, ৪১ সালে কেমন হবে বাংলাদেশ সেটা উনার ঠিক করা আছে। আর ২১০০ সালে যখন আমরা কেউ থাকবো না তখন বাংলাদেশ কেমন হবে, এটা একেবারে শতবর্ষী প্ল্যান, ডেল্টা প্ল্যান যাকে বলে, এটা আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবো। আমরা সেই লক্ষে কাজ করছি। ২০১৪-১৫ তে নদী ভাঙ্গন ছিলো সাড়ে ৯ হাজার হেক্টরের মতো। এখন সেটা সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে চলে এসেছে কাজ করার কারণে। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী যদি সরকার প্রধান থাকেন এবং এভাবে আমরা কাজ করি তাহলে একটি পর্যায়ে নদী ভাঙ্গন শূন্যতে চলে আসবে।

তিনি আরও বলেন, হাওর অঞ্চলে স্থায়ী সমাধান আমরা দিয়েছি, ফসল ঠিকই এখন কৃষক ঘরে তুলতে পারে। আমরা সব বাঁধগুলোকে উঁচু করছি, প্রশস্ত করছি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং বাঁধগুলো যেন টেকসই হয় সেই লক্ষে বনায়ন করছি। নদী শাসন করছি, ড্রেজিং করছি। এখন আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ছে। আমরা বেশি করে বড় বড় প্রকল্প নিতে পারি। প্রতিটি একনেকের বৈঠকে আমাদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থাকেই। পরবর্তী একনেকের বৈঠকে থাকবে ৪টি প্রকল্প। প্রথমে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো নির্ধারণ করছি এরপর পরিদর্শন করছি, আমি নিজে গত ৩ বছরে দুইশতর বেশি জায়গা পরিদর্শন করেছি। আমাদের মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, কর্মকর্তারা আমরা এলাকাগুলোতে যাই এবং নিয়মিত পরিদর্শন করে বাস্তবতার ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করি। 

উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রকল্পগুলো যাতে টেকসই হয় তার জন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটা শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য আমরা সাথে সাথেই পিডি নিয়োগ করে দেই। অনেক বড় বড় প্রকল্প যেমন সাতশ, আটশ কিংবা হাজার কোটি টাকা মূল্যর প্রকল্পগুলো আমরা প্যাকেজ করে দেই। কিছুদিন আগেই আমার এলাকায় একটা সাড়ে তিনশ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হলো। সেই প্রকল্পকে আমরা ২২টা প্যাকেজে ভাগ করে দিয়েছি। অনেকগুলো কন্টাকটার কাজ করলে দ্রুততার সাথে প্রকল্পগুলো উঠে যায়। কারণ দেখা যায় একজন ব্যক্তি একাই হাজার কোটি টাকার কাজ করতে গেলে নানা রকমের সমস্যার মুখে পড়ে। এর ফলে কাজ শেষের সময়সূচী বেড়ে যায়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭