‘অস্বাস্থ্যকর খাবার, দূষিত পানি, বায়ু দূষণ, সব মিলিয়ে পরিস্থিতিকে জটিল করছে’

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ডায়রিয়া হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। অনেকে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধিও মানেনা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, যে যা খুশি তাই করছে। আবহাওয়া তো হঠাৎ করে খারাপ হয়েছে, প্রচণ্ড গরম। গরমের কারণে মানুষ পিপাসার্ত হয়, তৃষ্ণার্ত হয়। রাস্তাঘাটে হাবিজাবি যা পায় সব খেতে চায়। শরবত খায়, যেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত না। ডায়রিয়া হয় মূলত দূষিত পানি খাওয়ার ফলে। আর অস্বাস্থ্যকর খাবার, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার, এগুলো খায়। বিশেষ করে নিম্নআয়ের লোকজন বাহিরে যা পায় তাই খাচ্ছে।

ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, স্কুলের ছোট বাচ্চারা স্কুলের সামনে রাস্তায় আচার, চটপটি, ফুচকা, ঝালমুড়িসহ কত রকমের খাবার খায়। এর ফলেও ডায়রিয়া হচ্ছে। আর বায়ু দূষণ তো আছেই। ঢাকা তো বায়ু দূষণের শীর্ষে। এর ফলে রোগজীবাণু তো ঢুকছেই শরীরে। মূলত অস্বাস্থ্যকর খাবার, দূষিত পানি, বায়ু দূষণ, সব মিলিয়ে পরিস্থিতিকে জটিল করছে। আবার করোনার কারণে অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তো কমে গেছে, রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তাই পারতপক্ষে কেউ বাহিরে কিছু খাবে না, পানি বিশুদ্ধ করে ফুটিয়ে খাবে, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার খাবে না, এমনকি বাসার খাবারও যদি অনেকক্ষণ বাহিরে রাখা হয়, সেটাও কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো খেলে সমস্যা হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কারও যদি ডায়রিয়া হয়েই যায়, পানিশূন্যতা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যায় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ডেঙ্গু প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, সামনে কিন্তু ডেঙ্গুর সময়। বর্ষা আসবে, পানি জমবে। এখন থেকে মশা নিধনের কাজ শুরু করতে হবে। দেখা যায় যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়, তখন তোড়জোড় শুরু হয়, সারা বছর খবর থাকে না। এটা যেন না হয়। এখন থেকেই সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে মশার প্রকোপ বেশি, প্রজনন হয় সেগুলো ধ্বংস করতে হবে।