ইনসাইড গ্রাউন্ড

আম্পায়ারিং বিতর্কে দিশেহারা টাইগাররা


প্রকাশ: 04/04/2022


Thumbnail

ওয়ানডে সিরিজে ইতিহাস গড়া জয়ের পর ফুরফুরে মেজাজে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু এই টেস্টে আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে হারের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও ইতিহাস গড়া থেকে একটু একটু করে পিছিয়ে পড়ছে। ফলে এখন সংশয় দেখা দিয়েছে কি হতে চলেছে বাংলাদেশের ভাগ্যে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের এই আম্পায়ারিং বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটাররা। তাদের মতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্টে আম্পায়ারিং চোখে লাগছে। আম্পায়ারিং ভালো হলে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও কম রান করতে পারতো। যেটা বাংলাদেশের জয়ের জন্য সহজ হতো। কিন্তু বাজে আম্পায়ারিং এ তা সম্ভব হয় নি। ফলে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে টাইগাররা।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেছেন, আম্পায়ারদের নেওয়া সিদ্ধান্তে ধারাবাহিকতা ছিল না। সেটি থাকলে ২৭৪ এর পরিবর্তে ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতো বাংলাদেশ দল। আম্পায়াদের সম্মান রয়েছে। তারা মাঠে বিচারক। আমাদের মেনে নিতে হবে সব সময়ই। আমরা একটা রিভিউ নিলে উইকেট পেতাম, ভয়ে নেওয়া হয়নি আসলে। এত ইনকন্সটিন্টেন্স আম্পায়ারিং অনেক দিন পর দেখলাম সত্যি কথা বলতে। তিনি বলেন, অবশ্যই আমি মনে করি আম্পায়ার একটা বড় ভূমিকা পালন করেন একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য। একটা সিদ্ধান্ত অনেক কিছু নির্ভর করে আসলে। সবাই দেখেছেন আম্পায়ারিং, এটা তো লুকানোর কিছু নেই। কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে, যেটা পক্ষে যদি পেতাম, তাহলে হয়ত ২৭০ তাড়া না করে এখন ১৮০ তাড়া করতাম।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। তিনি মনে করেন, নিরপেক্ষ আম্পায়ারে ফিরে যাওয়া উচিত। টুইটারে এই তারকা লিখেছেন, আমার মনে হয় আইসিসির আবারও নিরপেক্ষ আম্পায়ারে ফিরে যাওয়া সময় হয়েছে। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোতে অনেকটাই ঠিকঠাক। নিজের অসন্তুষ্টি চেপে রাখতে পারেননি ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। ফেসবুক বার্তায় ফাহিম লিখেছেন, ‘আম্পায়ারদের নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্ত স্পষ্টতই স্বাগতিকদের পক্ষে। লজ্জা!!!’

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন পর্যন্ত আম্পায়ারদের নেওয়া ৪টি এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত ‘আম্পায়ার্স কল’ হয়েছে, যার তিনটিই ছিল বাংলাদেশের করা চ্যালেঞ্জে। এমনকি চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ২টি উইকেটই বাংলাদেশ পেয়েছিল রিভিউ নিয়ে। যদিও রিভিউ নিলে আরো একটি সিদ্ধান্ত আসতো পক্ষে। এমনকি বেশ কয়েকটি রিভিউ ‘আম্পায়ার্স কল’ হওয়ায় উইকেট পায়নি অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল। এরকম পরিস্থিতিতে বাজে আম্পায়ারিং এর ফলে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে। 

ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা খুবই দুঃখজনক। একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই ধরনের বাজে আম্পায়ারিং মেনে নেওয়া যায় না। দেখে মনেই হচ্ছে আম্পায়ারাও বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে খেলছেন। এই পরিস্থিতিতে সুজন, ফাহিম, সাকিবের প্রশ্ন তোলা দোষের কিছু না। করোনাভাইরাস অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। বাদ যায়নি ক্রিকেটও। টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের বদলে এখন দায়িত্বে থাকেন স্বাগতিক দেশের আম্পায়াররা। তবে এ নিয়ে অসন্তুষ্টি যেন দিন দিন বাড়ছে। স্বাগতিক দেশের আম্পায়ারা যে স্বাগতিকদের পক্ষে বেশি ঝুঁকবে এটা অনেকটা স্বাভাবিক। যদিও আইসিসি তাদের নিরপেক্ষ থাকার দায়িত্বই দিয়েছিল। তারপরও তারা সেটা পারছে না। ফলে সফরকারী দেশ বিপদে পড়ছে। এই অবস্থার শিকার এখন বাংলাদেশও। এখন দেখা যাক পঞ্চম দিনে কি হয়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭