ইনসাইড টক

'খাদ্যে ভেজাল রোধে সরকারি সংস্থাগুলোকে তদারকি করতে হবে'


প্রকাশ: 06/04/2022


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, যারা রিক্সা চালক, দিনমজুর তারা কিন্তু রাস্তাঘাটের খাবারটাই খায়। এই বিষয়ে তদারকি করতে হবে। সরকারি যে সংস্থাগুলো আছে, যেমন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা খাদ্য অধিদপ্তর তাদের তদারকি করতে হবে। তাদের দেখতে হবে যাতে খাদ্যের মানটা রক্ষা হয়। যদিও রাস্তাঘাটের খাবার এটা আমরা বাদ দিতে পারবো না, কিন্তু সেই জায়গাটাতে আরও যেনাে স্বাস্থ্যবিধি সবাই মেনে চলে এবং খাবারটা যেনো উন্মুক্ত না থাকে সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। উন্মুক্ত থাকলেই মাছি বসে বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ায়। সে করাণেই সংশ্লিষ্টরা যেনো পরিদর্শনের জায়গাটাতে শক্ত করতে হবে। ভেজাল খাবার, পচা খাবার বা দূষিত খাবার মানুষ যেনো না খায় সেই দিকে নজর রাখতে হবে। আবার যারা এই খাবারগুলো বিক্রি করছে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে, মানুষ তাদের যে খাবারগুলো খাচ্ছে সেটাতে মানুষ যেনো ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। অন্যদিকে যারা খাচ্ছে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে, খাবারটা ভালোমতো দেখে নেওয়া। 

রোজায় বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ, ডায়রিয়ার প্রকোপ, খাদ্যে ভেজাল রোধে করণীয়সহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান। 

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, গরমের সময় যেহেতু মানুষের শরীরে পানিস্বল্পতা হয়, সেটা থেকে নানান ধরনের অসুখ-বিসুখ হতে পারে। সেহেতু পানি খাওয়ার বিষয়ে সবাই যেনো সচেতন হয়। শরীরে পানি কম হলে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ, বিশেষ করে কিডনী সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেকারণে যারা রোজা রাখবেন, তারা ইফতারের পর থেকে পর্যাপ্ত পানি খাবেন। সাধারণত ৩ লিটার পানি খেতে হবে। যেহেতু এবার গরমটা অনেক তীব্রভাবে পড়েছে এবং মানুষের হাসফাস অবস্থা। আমাদের লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ তো আর এসি তে থাকতে পারে না। তাদের জন্যই প্রথম পরামর্শ হলো পর্যাপ্ত পানি যেনাে সবাই খায়। যারা রোজা রাখছেন, ইফতারের পর থেকে সেহরীর পর্যন্ত যতবার পারা যায় তারা যেনো ততবার পানি খায়। 

তিনি বলেন, গরমের সময় শরীরে পানি কমে গেলে বা নানা কারণে অসুখ-বিসুখ হয়। বিশেষ করে ডায়রিয়া, চর্মরোগ এগুলো বেশি হয়। এছাড়াও ঠান্ডা জনিত রোগ, ফুসফুসের রোগ এ সমস্ত রোগগুলোও হয়। ডায়রিয়ার পাশাপাশি বদহজম জনিত রোগও হয়। সেকারণে আমাদের খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। পুষ্টিকর খাবার শুধু খেলেই হবে না, তারা যেনো পচা খাবার না খায়। রোজায় মানুষ ভাজা-পোড়াটা খুবই পছন্দ করে, কিন্তু যাদের পেটের সমস্যা আছে তারা যেনো ভাজা-পোড়াটা না খায়। এরপর যেটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, রাস্তাঘাটের যে খাবারগুলো, যেহেতু তারা কোনো পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা মেইনটেইন করতে পারে না, সেই জায়গায় আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, বাহিরে যে সমস্ত চটকদার খাবার পাওয়া যায়, সেগুলো অনেক সময় দূষিত বা পচা হতে পারে। সেই কারণেই এই বিষয়গুলির ওপরে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আশা করবো যারা বিক্রি করছে তারা এই বিষয়গুলোর কথা চিন্তা করবে এবং খাদ্যে ভেজালমুক্ত রাখতে যে নিয়মগুলো রয়েছে, সেগুলোর দিকে নজর রখবেন। কেউ যদি নিতান্তই অসুস্থ হয়, দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবে বা হাসপাতালে যাবে। বিশেষ করে ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে সবাই যেনাে সব সময় স্যালাইন রাখে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭