সুনামগঞ্জে হাওরে বাঁধ ভাঙার বিষয়ে কারও দায়িত্বে গাফিলতি রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, এই বাঁধ নির্মাণে যদি কারও গাফিলতি থাকে তাহলে আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিব। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে যদি কারও গাফিলতি থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জে হাওরাঞ্চলে বাঁধ ভেঙে জমির ফসল প্লাবিত, নদী ভাঙন, ডেল্টা প্ল্যান ইত্যাদি বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য এ কে এম এনামুল হক শামীম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
সুনামগঞ্জের হাওরে বাঁধ ভেঙে ফসল প্লাবিত হওয়ার বিষয়ে এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, তিন জায়গায় ৫০ মিটার করে মোট ১৫০ মিটার বাঁধ ভেঙেছে। এরই মধ্যে আমরা একটি জায়গায় মেরামত করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি দুটি জায়গায় মেরমতের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে আর দুটি ভাঙনও মেরামত সম্পন্ন হয়ে যাবে। এজন্য আমি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি।
তিনি বলেন, হাওরের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী প্রকল্প হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন, হাওরাঞ্চলের মানুষ যেনো তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারে সেজন্য আমরা স্থায়ী প্রকল্প নিচ্ছি পর্যায়ক্রমিকভাবে। এখন পর্যন্ত ১২১ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫৩৫ কিলোমিটার বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
এ কে এম এনামুল হক শামীম আরও বলেন, আমরা এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে স্থায়ী সমাধানের দিকে হাঁটছি। আমরা হাওরাঞ্চলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। এইভাবেই আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সারা দেশে মানুষকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা করা, হাওর অঞ্চলের মানুষকে একেবারে ফসল ঘরে তোলার ব্যবস্থা করার কাজগুলোও স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে করে যাচ্ছে। সারা দেশে এত পরিমাণ নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস যুক্ত এলাকা আর থাকবে না। সব জায়গাতেই স্থায়ী প্রকল্পগুলো নেওয়া হচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।