প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৬ বছরেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ফলে মাঝে মাঝেই বিদ্যুৎ এর তীব্র সংকটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এক্ষেত্রে তাদের দাবি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবস্টেশন স্থাপন করা হোক। সাবস্টেশন স্থাপন করা হলে বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত ১৮ মার্চ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য নবাব ফয়জুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীরা বালতি,মগ নিয়ে আন্দোলন করেন ভিসির বাস ভবনের সামনে। এরপর এই মাসের ৭ এপ্রিল থেকে আজ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে কোনো বিদ্যুৎ নেই। হল গুলোতেও ভোল্টেজ উঠা নামা করতে দেখা গেছে। ফ্যান চললে বাতি জ্বলে না আবার বাতি চালালে ফ্যান চলে না। রমজানে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। সেহেরিতে মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে সেহেরি করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান জামান বলেন, কয়েকদিন আগেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে বিদ্যুৎ ছিল না। এর জন্য আন্দোলন করে বিদ্যুৎ আনতে হয়েছে। আর কত আন্দোলন করবো। আমরা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাবস্টেশন চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, কয়দিন আগেও শবে বরাতের দিনে আমাদের হলে বিদ্যুৎ ছিল না। ঐদিন পানিসহ নানা সংকটে আমাদেরকে পরতে হয়েছে৷ আমরা চাই না ক্যাম্পাসে এমন সংকট সামনে আর তৈরি হোক। তাই বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাবস্টেশন স্থাপন করুক।
সাবস্টেশন স্থাপনের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, এখন অর্থবছরের শেষের দিকে৷ আমরা সামনে ইউজিসির চেয়ারম্যানের কাছে সাবস্টেশনের জন্য বাজেট চেয়ে আবেদন করবো।