ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

‘ই-নিডজ’ ই-কমার্সের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


প্রকাশ: 10/04/2022


Thumbnail

‘ই-নিডজ’ নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় গত ১ এপ্রিল মামলা করেছেন আবদুল্লাহ আল নোমান নামের এক গ্রাহক।

মামলায় ই-নিডজের চেয়ারম্যান ওয়াহিদ ইকবাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাহিদ ইকবাল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবদুল কাইয়ুম, চেয়ারম্যানের স্বজন নওমী আশরাফ, সায়মা আফরিন, আইরিন পারভীন ও হোসেইন রাহী।

মামলায় বলা হয়েছে, গ্রাহকের টাকা ফেরত না দিয়ে ই-নিডজের চেয়ারম্যান ওয়াহিদ ও এমডি নাহিদ দেশ থেকে পালিয়েছেন। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ই-নিডজের অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে।

জানতে চাইলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ই-নিডজ নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক গ্রাহক। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গুলশান থানায় দায়ের হওয়া মামলার অভিযোগ অনুসারে, ই-নিডজ নামের প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

মামলায় বাদী আবদুল্লাহ আল নোমান তিনিসহ আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহকের নাম উল্লেখ করেছেন। তাঁরা হলেন হাবিবুরের রহমান, ছাদিয়া আফরিন, রাশেদ খান, আবুল হাসান, মাহাবুবুর রহমান, সাদেক হোসেন, আবদুল আজিজ, ইমরান দেওয়ান, শাহাদাত হোসেন, নেয়ামুল হক, আবদুল হালিম, মশিউজ্জামান।

মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল নোমান গণমাধ্যমকে বলেন, টাকা নিয়ে শতাধিক গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে ই-নিডজের চেয়ারম্যান ওয়াহিদসহ অন্য আসামিরা টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা সরাসরি ই-নিডজের অফিসে যান। তখন কোনো কোনো গ্রাহককে টাকা ফেরতের চেক দেওয়া হয়। চেক নগদায়নের তারিখ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে জানা যায়, ই-নিডজের ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা নেই।

আবদুল বারেক নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে বলেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ই-নিডজের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কিনতে উৎসাহী হন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে ৯ লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন কেনার জন্য ক্রয়াদেশ দেন তিনি। টাকাও পরিশোধ করেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি কোনো পণ্য বুঝে পাননি।

আবদুল্লাহ আল নোমানের করা মামলার এক নম্বর আসামি ই-নিডজের সিইও আবদুল কাইয়ুম গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল গ্রেপ্তার হলে তিনি ই-নিডজ সম্পর্কে খোঁজ নেন। তাঁর কাছে প্রতিষ্ঠানটির কিছু অসংগতি ধরা পড়ে। এরপর তিনি এই প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে দেন। পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

আবদুল কাইয়ুম বলেন, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তথ্য তিনি জানেন না। ই-নিডজের মালিকদের সঙ্গে এখন আর কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭