ইনসাইড গ্রাউন্ড

দক্ষিণ আফ্রিকার পাতা ফাঁদেই পা দিলো টাইগাররা!


প্রকাশ: 11/04/2022


Thumbnail

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচে খেলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথম টেস্টে মতো এই টেস্ট ম্যাচেও বাজে আম্পায়ারিং এর তকমা লেগেছে দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পারদের বিরুদ্ধে। লাগবে নাই বা কেনো? তাদের একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মানুষের চোখে লাগছে। রিভিউ নেওয়া ছাড়া যেনো কোনো গতি নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ দলের হতশ্রী পারফরমেন্স। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হার যেনো এক প্রকার নিশ্চিতই। দ্বিতীয় টেস্টে টসে হেরে ফিল্ডিং করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্কের উইকেট মোটামুটি ব্যাটিং বান্ধব হওয়ায় প্রথম ইনিংসেই ৪৫৩ রানের বিশাল স্কোরের নিচে চাপা পড়ে বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য তারা করতে নেমে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরমেন্স দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। মাত্র ২১৭ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। এরপর ফলোঅনে পরে বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশ দলকে আবার ব্যাটিং এ না দিয়ে ব্যাটিং শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে ডিক্লিয়ার করলে প্রোটিয়াদের মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪১২ রান। দুই দিন হাতে রেখে মূলত ওই সময় ইনিংস ডিক্লিয়ার করাটাকেই দক্ষিণ আফ্রিকার ফাঁদ মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

তারা মনে করছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ফাঁদ ছিল বাংলাদেশ দলকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে নিজেরা আবার ব্যাটিং এ দাঁড়ানো। তারা যখন দেখেছিল যে বাংলাদেশ সকালের মধ্যেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তখন তারা বাংলাদেশকে আবার ব্যাটিং এ না পাঠিয়ে একটি লড়াকু স্কোর দাঁড় করানো জন্য আক্রমণাত্মকভাবে খেলেছে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৬ রান করে মোটা লক্ষ্য দিয়েছে ৪১৩ রানের। অর্থাৎ বাংলাদেশ দলকে দুইদিন ধরে এই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। তারা লক্ষ্য করছিল যে, যখন বাংলাদেশের স্পিনাররা উইকেট পাচ্ছিল এবং উইকেট স্পিন সহায়ক হয়েছিল তখনই তারা ডিক্লিয়ার করেছে। কারণ মাহারাজের মতো তাদের স্পিন এ্যাটাক রয়েছে। তারা খেলা শেষ হওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা আগেই ডিক্লিয়ার করেছে। যাতে করে তারা যদি তৃতীয় দিনেই বাংলাদেশের কিছু উইকেট ফেলতে পারে, তাহলে তাদের উপকার হবে। আর বাংলাদেশ দলও সেই পাতা ফাঁদে পা দিলো।

একে উইকেটে প্রচুর টার্ন ছিল এরপর আবার নতুন বল। বাংলাদেশ দল মাঠে নেমেই যেনো মহারাজের তোপের মুখে পড়লো। নতুন বলেন ঘুর্ণিতে প্রথমে জয়ের উইকেটে তুলে নিলো প্রোটিয়ারা। এরপর এক একে তামিম এবং শান্তর উইকেট তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। প্রোটিয়াদের সামনে অকাতরে উইকেটে বিলিয়ে দিকে থাকে বাংলাদেশের খেলােয়াড়রা। দেখেই মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে। বাংলাদেশ তখন অসহায়ের মতো অবস্থা। পিচে দাঁড়াতেও পাড়ছিলো না। আবার খেলতেও পাড়ছিলো না। সব কিছুই যেনো বাংলাদেশের বিপক্ষে চলছিল। এই বুদ্ধিটাই এঁটেছিল প্রোটিয়ারা। 

ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের এইখানে তেম কিছুই করার ছিলো না। বাংলাদেশ শুধু ব্যাটিং টাই ঠিক করে করতে পারতো। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ দল পরাস্ত হয়েছে। নইলে সবই ছিলো প্রোটিয়াদের হাতে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭ রাস ৩ উইকেটে। বাংলাদেশের সামনে ৩৮৬ রানের একটি বিশাল লক্ষ্য। এখন দেখাই যাক কি করে বাংলাদেশ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭