ইনসাইড এডুকেশন

হিজাব নয়, স্কুল ড্রেস না পরার জন্যই মেরেছিলেন শিক্ষিকা


প্রকাশ: 12/04/2022


Thumbnail

হিজাবের জন্য নয়, স্কুলেন ড্রেস না পরার জন্যই মেরেছিলেন শিক্ষিকা আমোদিনী পাল। এমনটি জানা গেছে নওগাঁয় হিজাব ইস্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে।

সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক। যেখানে ৭টি সুনির্দিষ্ট কারণ ও সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল হিজাবের জন্য নয়, নির্ধারিত স্কুল ড্রেস না পরার কারণেই শিক্ষার্থীদের মেরেছিলেন। একই দিনে বদিউল আলম নামে আরেক শিক্ষকও মেরেছিলেন শিক্ষার্থীদের। অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করেন। এ ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

এছাড়া প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ধরনী কান্ত, শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দীর্ঘদিনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব চলছিল। যা গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুজব ছড়ানোর পেছনে স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নামও উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। যেটি ৭ এপ্রিল হিজাব গুজবে রুপ নেয়, অথ্যাৎ গুজব ছড়ানো হয় যে- হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন এক শিক্ষিকা। পরে ভাঙচুর চালানো হয় দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭