বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর আঘাতের পর দ্রুত সময়ের মাঝে ভাইরাসটির টিকা উৎপাদনের শেষে যে কটি দেশ স্বল্প সময়ের মাঝে নিজ দেশে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়েছিলো তার মাঝে অন্যতম বাংলাদেশ। টিকা কার্যক্রম শুরুর পর টিকা প্রদান কিছুটা ধীর লয়ে এগোলেও আবারো পূর্ণদমে দেশের সকল মানুষের মাঝে টিকা পৌঁছে দেওয়ার কাজটা সরকার খুব ভালোভাবেই সামলে নিয়েছে। সরকারের দ্রুত দায়িত্বশীল পদক্ষেপের ফলে দেশে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের আওতায় চলে এসেছে ১১ কোটি ৫১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৭ জন মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে আরো জানানো হয়, এই সংখ্যা করোনার টিকা প্রয়োগে টার্গেট করা জনসংখ্যার প্রায় ৯৭ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬৫ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ৫১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৭ জন এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন এক কোটি ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৪ জন মানুষ।
গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭২ লাখ ৯৮ হাজার ৩২ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৭ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৩ জনকে। প্রথম ডোজ পাওয়াদের মধ্যে এখনও দ্বিতীয় ডোজ টিকা পায়নি ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৯ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, সোমবার (১১ এপ্রিল) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে চার হাজার ৯২৮ জন শিক্ষার্থীকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১১ হাজার ৬৮৭ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এই পর্যন্ত ২ লাখ ১২ হাজার ৬৯১ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।