আজ পয়লা বৈশাখ। বঙ্গাব্দ ১৪২৯-এর প্রথম দিন। পুরনো গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন বছরে নতুন উদ্দীপ্ততায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সব না পাওয়া, ব্যর্থতা, ব্যথা-বেদনা ও হাহাকারকে বিদায় জানিয়ে সাফল্য ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। বিদায়ী বছরের সব ব্যর্থতা ভুলে নতুন বছরে এগিয়ে যাওয়ার দীপ্ত প্রত্যয়ের প্রথম দিন আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন।
বাঙালি নববর্ষের প্রথম দিনে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বের হয়। এই শোভাযাত্রা স্মৃতি চিরন্তন হয়ে আবারও টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়েছে।
ইউনেস্কো ঘোষিত ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান হচ্ছে- ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ টিএসসি এলাকায় এসেছেন। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা নারীদের অনেকের পরনে শাড়ি আর মাথায় নানা রঙের ফুল। পুরুষদের পরনে পাঞ্জাবি। তবে সবারই চোখে-মুখে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রার তহবিল সংগ্রহের জন্য চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে গত এক সপ্তাহ ধরে ‘আর্ট ক্যাম্প’ হয়। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি বিক্রি করে সংগৃহীত অর্থ খরচ হচ্ছে শোভাযাত্রার ব্যয় নির্বাহে। শোভাযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয় তারও এক সপ্তাহ আগে। মুখোশ, টেপা পুতুল, মাছ ও পাখির প্রতিকৃতিসহ লোকসংস্কৃতির নানা উপাদান থাকছে এবারের শোভাযাত্রায়।
শোভাযাত্রায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছে পুরো এলাকা।