ইনসাইড টক

'কলেরা টিকা ভাইরাস প্রতিরোধে নিশ্চয়ই কার্যকর হবে'


প্রকাশ: 15/04/2022


Thumbnail

ডায়রিয়া প্রকোপ মোকাবিলায় রাজধানীর ২৩ লাখ মানুষকে সরকারের কলেরা টিকা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, এটা দিলে তো নিশ্চয়ই কার্যকর হবে। টিকা যদি দেওয়া হয়, সেখানে প্রতিরোধের জায়গাটা হবে। টিকা তো একটা ভ্যাকসিনের মধ্যে পড়ে। যদি ভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ রাখা হয় শরীরে তাহলে অতটা ক্ষতি করতে পারবে না। সেখানে অবশ্যই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং ডায়রিয়া থেকে মুক্ত হতে পারবে। 

বর্তমান ডায়রিয়ার প্রকোপ, ডায়রিয়া রোগীদের তীব্র পাণিশূন্যতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি, সরকারের কলেরা টিকা দেওয়ার উদ্যোগ সহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান। 

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ডায়রিয়ার কারণেই তো পানির শূণ্যতা হচ্ছে। ডায়রিয়া হলে প্রধান সমস্যা যেটা হয়, ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায় তো, সেখানে পানি বেরিয়ে গেলেই শরীরের স্বাভাবিক যে পানিটা দরকার সেটা কমে যায়। যে কারণে তখন যদি পানি রিপ্লেস করা না হয় সেকারণেই স্যালাইনগুলো খাওয়ানো হয় এবং নিয়মটা হলো যতবার যতটুকু পানি পড়বে ততবার ততটুুকু পানি শরীরে ঢুকাতে হবে। শুধু পানি না তো, পানির সাথে লবণ যায়, ইলেক্ট্রোলাইট যায়। যে কারণে এটা যদি রিপ্লেস না হয় তখন সমস্যা সৃষ্টি হয়। সারা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটগুলোর তো নানান কাজ আছে শরীরের ফিজিওলজি রক্ষা করার জন্য। ফলে সেগুলো যদি কম হয়ে যায় এবং যথা সময়ে যদি রিপ্লেস করা না যায় তাহলে রোগী খারাপ হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, সেকারণে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যদি দ্রুত চিকিৎসা না দেওয়া যায়, বিশেষ করে স্যালাইনটা যদি শরীরে ঢুকানো না যায় তাহলে মৃত্যুবরণ করে। কারণ হচ্ছে তখন সমস্ত শরীরের অর্গানগুলো অকেজো হয়ে যায়। বিশেষ করে কিডনীগুলোর ক্ষতি হয়। সমস্ত অর্গানগুলোতে রক্ত চলাচল বিঘ্নিত হয়, রক্ত শূণ্যতা হয়। রক্ত চলাচল করতে পারে না বলেই সমস্ত অর্গানগুলো অকেজো হয়ে যায়। রক্তের সাথে আবার অক্সিজেন যায়। অক্সিজেন প্রবাহটা বন্ধ হয়ে যায়, কমে যায় সেকারণেই পনি,লবণ, ইলেক্ট্রোলাইট অর্গানগুলোকে সচল রাখে। যে কারণে মানুষকে বলা হয় যে, প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ লিটার পানি শরীরের ওজন অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান বিষয়টা হলো যে, ডায়রিয়া মানেই তো শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। তরল অংশটুকু বেরিয়ে যায়। যেহেতু এখন ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি ঘরে স্যালাইন রাখতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে সাথে সাথে যতবার যতটুকু পানি বের হবে ততবার ততটুকু পানি শরীরকে দিতে হবে। এটা হলো একটা স্বাভাবিক বিষয়। এটা সবাই যদি খেয়াল রাখে তাহলে কিন্তু অসুবিধা হবে না। সেজন্য প্রথমত ওরস্যালাইন দিতে হবে। কারো ডায়রিয়ার শঙ্কা যদি বেশি হয়, পরিমাণ যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ ডাক্তার বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। দ্রুত যদি না নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে যেকোনো বয়সের রোগী কিন্তু খারাপ হয়ে যায়, অনেক রোগী তখন মৃত্যুবরণ করে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭