ইনসাইড টক

‘করোনাভাইরাস এখন আর প্যান্ডামিক নয়, এন্ডামিক’


প্রকাশ: 17/04/2022


Thumbnail

স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, চীনে গত কয়েকদিন আগে আরেকটা ফ্লু এসেছিলো ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সংমিশ্রণে ডেল্টাক্রন নামে। এর কয়েকমাস আগেও পৃথিবীর কোন দেশে এটা শুরু হয়েছিল, এরপর এটা আর আমরা শুনিনি। কিন্তু চীনে কিছুদিন আগে ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সংমিশ্রণে ডেল্টাক্রনের নামে শুনেছি, যার দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে এটার বিস্তার হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়ে জানা নেই। চীন, কর্ণাটক, দক্ষিণ কোরিয়া- এই তিন জায়গায় নতুন করে দেখা দিয়েছিলো। কিন্তু এখন এটা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যার ফলে এর ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে না। করোনাভাইরাস এখন আর প্যান্ডামিক নয়, এন্ডামিক আকারে হয়তো কোন কোন দেশে পাবে, কিন্তু আস্তে আস্তে এটা চলে যাবে। এছাড়াও যে পরিমাণ টিকা দেওয়া হয়েছে, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে, ফলে মহামারি আকারে ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি না।

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের শঙ্কা, সারাদেশে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, শীতের পরে যখন গরম আসে এবং গরমের পরে যখন শীত আসে, এই সময়গুলোতে সবসময় ঋতু পরিবর্তনে কিছু রোগ আছে সবসময় হয়। বিগত সময়েও আমরা লক্ষ করেছি, বছরের শুরুতে ডায়রিয়া, বমি এসব হয়। আমাদের দেশে ডায়রিয়াগুলো সাধারণত বয়স্কদের ইনফেকটিভ ডায়রিয়া বলে এবং বাচ্চাদের ভাইরাল ডায়রিয়া হয়। এটা সাধারণত খাওয়া-দাওয়া, গরম ইত্যাদি কারণে হয়। সকলেরই খাওয়ার ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকতে হবে, পানি ফুটিয়ে খেতে হবে। এটা যেহেতু পানিবাহিত রোগ।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলছে ঢাকার ওয়াসার পানিতে নোংরা আসছে। কিন্তু সারাদেশেও তো ডায়রিয়া হচ্ছে। সারাদেশে তো ওয়াসার পানি সাপ্লাই নাই। সুতরাং বিষয় সেটা নয়, পানি যে যেখান থেকেই পান করুক না কেন সতর্কতার সাথে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে খেতে হবে, পানির ব্যবহারও সতর্কভাবে করতে হবে। শুধু খাওয়া না, অনেক সময় মুখ ধোঁয়া, গ্লাস ধোয়ার পানিতে যদি জীবাণু থাকে তাহলে সেটাতেও ডায়রিয়া হতে পারে। এক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি ডায়রিয়া হলে, আমরা নিজেরাই তো বুঝি যে স্যালাইন খেতে হবে। আমাদের ওআরএস স্যালাইন বাসায় রাখা উচিৎ। পায়খানা হওয়ার সাথে সাথে যদি স্যালাইন খায়, তাহলে কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, কিংবা তখন যদি বর্তমানে জনপ্রিয় ব্যবস্থা টেলি মেডিসিন প্রক্রিয়ায় ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে তাহলে হাসপাতালের চাপ কমে যায় এবং বাসায় এটির চিকিৎসা হয়।

ডায়রিয়া হলেই আইসিডিডিআর’বিতে যেতে হবে এটি ঠিক নয় জানিয়ে অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, পাশাপাশি ঢাকা শহরের সকলে মনে করে ডায়রিয়া হলে আইসিডিডিআর’বিতে যেতে হবে, এটি ঠিক না। সারাদেশে সকল হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশের ডায়রিয়া রোগের যে চিকিৎসার ওরাল স্যালাইন যেটা সারা বিশ্বে খায়, এটা বাংলাদেশে কিন্তু আবিষ্কার হয়েছে। সুতরাং ডায়রিয়া হলেই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে স্যালাইন খাওয়া উচিৎ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭