ইনসাইড থট

দেশের জন্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ বয়ে আনলেন অভূতপূর্ব সম্মান


প্রকাশ: 20/04/2022


Thumbnail

ইমিরিটাস অধ্যাপক আবদুল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক। এটি নিয়ে তিনি গর্ব করেন, এটি সত্যিই গর্ব করার বিষয়ও বটে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাকে অত্যন্ত আদর করেন ছোট ভাইয়ের মতো। একাধারে অধ্যাপক আবদুল্লাহ একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলা একাডেমী কর্তৃক এবং রাষ্ট্র কর্তৃক। তিনি প্রফেসর ইমিরিটাস, এছাড়াও তিনি ইউজিসি'র অধ্যাপক। এগুলি সবই তার জন্য সম্মানজনক এবং এই সম্মান পাওয়ার পরে আমি একটি লেখা লিখেছিলাম যে, 'আমি একজন চ্যাম্পিয়নের বড় ভাই'। আমি এটাও লিখেছিলাম যে, 'দোয়া করি তিনি ভবিষ্যতে আরও উপরে যাবেন'। এই প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই, ১৯৬৩ সালে যখন আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছাত্র হিসেবে ঢুকি, তখন আমরা এনাটমি, ফিজিওলজি এইসব নিয়ে লেখাপড়া করি। কিন্তু আমরা জানি যে, আর দুই বছর পরে তৃতীয় বর্ষে উঠলেই আমরা মেডিসিন সার্জারি পড়বো এবং মেডিসিনের বই বলতে ডেভিডসনের মেডিসিনের বই তখন শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী ছিল সকলের টেক্সট বুক। এটা সকলেই পড়েছে তখনকার দিনে। পরবর্তীতে আরও কিছু কিছু বই বের হয়। কিন্তু ডেভিডসনের মেডিসিন যেমন সামগ্রিকভাবে তখনকার বহুল ব্যবহৃত এবং এখন পর্যন্ত সকলের একদম বেসিক বই হিসেবে এবং মেডিসিনের মূল বই হিসেবে মূল্যায়িত হয়, সেইভাবে আর কোনো মেডিকেল সাইন্সের মেডিসিনের বই ওই পর্যায়ে যেতে পারেনি। 

এরা সম্প্রতিকালে বিশ্বের অন্যান্য অনেক অঞ্চলে (এটা করতেই হবে এমন নয়) যদি এমন কেউ থাকে যিনি নাকি আন্তর্জাতিক মানের সম্মান পাওয়ার মতো, তাহলে তাকে উপদেষ্টা সম্পাদক করে। এটা অনেক সময় খুবই লিমিটেড থাকে এবং বাংলাদেশ থেকে আজ পর্যন্ত এই লেভেলের কোনো চিকিৎসককে তারা পায়নি, যাকে নাকি এই সম্মান দেওয়া যায়। এইবারই প্রথম অধ্যাপক আবদুল্লাহকে তারা এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্পাদকমন্ডলীর উপদেষ্টা হিসেবে সদস্য করলো। এর সাথে ভারত থেকে একজন এবং আরও দুটি দেশ থেকে সম্ভবত আরও দুইজনকে করা হয়েছে। সেই হিসেবে যদি বলি, তাহলে বিশ্বের ইংরেজী ভাষাভাষি যারা মেডিকেল রিলেটেড, তার মধ্যে কিন্তু বাংলাদেশের একটি পজিশন হলো। এটা যখন হলো তখন আমরা মুজিববর্ষ পালন করছি, যখন আমরা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বপ্নকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছি।

যখন করোনার এই মহামারির সময় তার নেতৃত্বে (রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন) দেশ এক শক্ত ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে। কখন কোন বলটা হিট করতে হবে সেটা তিনি ঠিকই জানেন। তিনি শুধু ক্রিকেট ভালোবাসেন না, আমার মনে হয় তার থেকে শিক্ষাও গ্রহণ করেন। কারণ একজন ভালো ব্যাটসম্যান সব বল হিট করেন না। তাহলে তো দুইটা ছয় মারার পরে তৃতীয় বলে সে আউট হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় এক ওভারে একটা বলও হিট করেন না। সেইভাবে তার সঙ্গে যাদের থাকার সৌভাগ্য হয় (আমারও আল্লাহ'র রহমতে হয়েছে এবং এখনও হয়) সে হোক রাজনীতিবিদ, একাডেমিশিয়ান, সাইন্টিস্ট অথবা আমলা, যারই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাথে থাকার সৌভাগ্য হয়, সে তার অবচেতন মনেও তার যে মানসিকতা, তার যে দার্শনিক জ্ঞান, সেখান থেকে জ্ঞান লাভ করেন। এরকম একটি ম্যাগনেটিক ক্যারেকটার আল্লাহ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে দিয়ে দিয়েছেন। 

অবশ্য তিনি এটা পেয়েছেন তার পিতা-মাতার কাছ থেকে। সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব দুজনই এমনকি তার দাদা পর্যন্ত যেসকল কথাবার্তা রাজনীতি বিষয়ে বলেছেন, সেগুলি অনেক দার্শনিকরাও চিন্তা করে না। সেই জায়গায় তার সঙ্গে থাকার ফলে দিন দিন যে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আরও উপরের দিকে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই সুযোগ তো তিনি অনেককেই দেন। কিন্তু অধ্যাপক আবদুল্লাহ'র মতো তিনি আমাদের যে শিক্ষা দিলেন সেটা আমরা সকলে সমানভাবে গ্রহণ করতে পারি না অথবা তার প্রতিফলন দিতে পারি না। এটি অধ্যাপক আবদুল্লাহ করে দেখিয়েছেন। সেই জন্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ ছোট ভাই হিসেবে শুধু গর্ব অনুভব করি না, তিনি যে সময় এই সম্মানটি দেশের জন্য আনলেন এই সময়কেও আমি ক্যালেন্ডারের মার্ক করে রাখতে চাই। কারণ আমাদের ইতিহাসে থাকবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশ এই সম্মান পেয়েছে। এরকম আমরা যেমন ইতিহাস ঘাটি যে, সেনাবাহিনী কবে হয়েছে, নেভি কবে হয়েছে, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিল (বিএমআরসি) কবে হয়েছে? শুধুমাত্র গঠন করা নয়, তার টোটাল শেইফ চিন্তা করা যায়। ৭২ এ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিল (বিএমআরসি) গঠন করলেন। আজকে ২০২২ সালে এসেও বঙ্গবন্ধুর যে মূল জিনিষগুলো করেছেন তার একটি দাড়ি কমা কেউ পরিবর্তন করতে পারে নি। 

এটা যদি চিন্তা করি যে, এত বছর আগে কি করে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিলের মাধ্যমে (বিএমআরসি) যে মেডিকেল সাইন্সকে উন্নতি করতে হবে, সেটা একটি ডিফেক্টলেস অবস্থায় করা এটা আমরা মনে হয় দ্বিতীয় কোনো উদাহরণ নেই। সুতরাং আমি দোয়া করি যে, আমার অনুজ অধ্যাপক আবদুল্লাহ'র জন্য। যেমন সৈয়দ বোরহান কবীর আমার অনুজ। যেটা কোনোদিন পরিবর্তন হয় না। এটা পরিবর্তনশীল নয়। আমি সাধারণত যাদের ছোট ভাই মনে করি, তারা কেউ কখনো পরিবর্তন এখন পর্যন্ত হয়নি, ভবিষ্যতে হবে কিনা আমি জানি না। কারণ যতই বলি, তাদের সাথে দেখা হোক না হোক সাময়িকভাবে অনেক সময় ভুলবোঝাবুঝি যে হয় না তাও না, কিন্তু তারা তবুও তারা ছোট ভাইই থাকেন। আমাকেও তারা বড় ভাই আসন থেকে অন্য কোথাও বসান না। এ কারণে আমি বিরাট সৌভাগ্যবান এবং আমি এই সৌভাগ্য নিয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চাই। আমি মনে করে এটা অধ্যাপক আবদুল্লাহ তার নিজের জন্য নয়, এটি দেশের জন্য এনেছেন এবং এই করোনার সময় তিনি যেরকম দেশের জন্য কাজ করেছেন, আমি বিশ্বাস করি এই সম্মানটা নিশ্চয়ই তিনি দেশের জন্য, বিশেষ করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে মনে রাখবেন যে, তার সময়ই পেয়েছেন এবং ইনভিজিবল ওয়েতে আমাদের যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করে চলেছেন তার একটি বাস্তব প্রমাণ দিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ। অধ্যাপক আবদুল্লাহ'র দীর্ঘায়ু কামনা করি। একই সাথে দীর্ঘায়ু কামনা করি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। যে দার্শনিক ভিত্তি নিয়ে তিনি দেশ চালাচ্ছেন তিনি যেনো (যেটা স্বাভাবিক কথায় বারবার বলে) বারবার ক্ষমতায় থাকেন। যে কারণে বলা হয়, বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার। আসলে এর কোনো বিকল্প আমাদের দেশের নেই।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭