এডিটর’স মাইন্ড

পপুলার চয়েস বাহাউদ্দিন নাছিম


প্রকাশ: 20/04/2022


Thumbnail

আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের কাউন্সিল অধিবেশন নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই কাউন্সিল অধিবেশন দলের নতুন নেতৃত্ব তৈরি করবে এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন মানেই দলের একজন নতুন সাধারণ সম্পাদক এবং এই সাধারণ সম্পাদক পদটিকে ঘিরেই কাউন্সিলের সকল উত্তেজনা আবর্তিত হয়। এবারের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ নতুন একজন সাধারণ সম্পাদক পাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দুই মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে। কাজেই এবার তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে যে থাকছেন না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে হবেন এ নিয়ে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। অনেকেই এগিয়ে আছেন। অনেককেই বিবেচনা করা হচ্ছে। আবার অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, যাদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তাদের কেউই সাধারণ সম্পাদক হবেন না। সাধারণ সম্পাদক করা হবে এমন একজনকে যিনি আলোচনার বাইরে ছিলেন। যে রকমটি হয়েছিল জিল্লুর রহমান যখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ১৯৯২ সালে সেরকম। কিন্তু সাধারণ কর্মীরা কি ভাবে, সাধারণ কর্মীরা কি চায়?  

আওয়ামী লীগের সাধারণ তৃণমূলের কর্মীরা কাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পছন্দ করেন, কাকে তারা যোগ্য মনে করে এটি একটি বড় প্রশ্ন এবং আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সাধারণ কর্মীদের সাথে কথা বলে দেখা গেছে তৃণমূলের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পছন্দের ব্যক্তি হলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। বাহাউদ্দিন নাছিমকেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন যে সাধারণ সম্পাদক হলেন দলটি এগিয়ে যাবে, বিভক্তি দূর হবে এবং আরো শক্তিশালী হবে। এর কারণ জানতে চাওয়া হলে তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একাধিক কারণ বলেছে। তাদের মধ্যে, 

প্রথমত, অত্যন্ত ত্যাগী, আদর্শবান: বাহাউদ্দিন নাছিম অত্যন্ত ত্যাগী, আদর্শবান এবং দলের নীতি আদর্শের প্রশ্নে কখনোই ছাড় দেন নি। বিভিন্ন সময়ে তিনি নির্যাতিত হয়েছেন। কাজেই আদর্শবাদী একজন নেতা দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত জরুরী। 

দ্বিতীয়ত, স্পষ্টবাদী: বাহাউদ্দিন নাছিম কর্মীদের পক্ষে সুস্পষ্টভাবে কথা বলেন, কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেন এবং যেকোনো কোটারই স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কথা বলেন। এটি তার বড় যোগ্যতা।  
 
তৃতীয়ত, কর্মীবান্ধব: বাহাউদ্দিন নাছিম সব সময় কর্মীদের সাথে কথা বলেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা দেখেন এবং তাদের বিপদ-আপদে সবসময় পাশে দাঁড়ান। বাহাউদ্দিন নাছিম দলের কয়েকজন নেতার অন্যতম যিনি সবসময় কর্মীদের টেলিফোন ধরেন, কর্মীদের সাক্ষাৎ দেন এবং কর্মীদের সমস্যার কথা শুনেন। 

চতুর্থত, শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এবং বিশ্বস্ত: বাহাউদ্দিন নাসিমের আরেকটি বড় যোগ্যতা হলো যে, তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতির আস্থাভাজন এবং বিশ্বস্ত। আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ পালন করার ক্ষেত্রে বাহাউদ্দিন নাসিম কেবল নির্ভরযোগ্যই নন, অন্যতম বিশ্বস্তও বটে।  

পঞ্চমত, সংগঠনের প্রতি ভালোবাসা: বাহাউদ্দিন নাছিম সংগঠনের কোনো বিভক্তিকে প্রশ্রয় দেন না। সংগঠনকে তিনি প্রচণ্ড ভালোবাসেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি সবসময় উদ্যোগী এবং এজন্যই তিনি রাজনীতিতে নিবেদিতপ্রাণ। এটিই তার একটি বড় যোগ্যতা বলেই মনে করেন তৃণমূলের কর্মীরা। আওয়ামী লীগে যে এখন বিভিন্ন নেতার নামে বিভিন্ন গ্রুপ, সেই অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগকে যদি একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থায় রাখতে চায় তাহলে বাহাউদ্দিন নাছিমের মতো একজন নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭