ইনসাইড বাংলাদেশ

নানামুখী ষড়যন্ত্র সরকারের বিরুদ্ধে


প্রকাশ: 20/04/2022


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী আজ কৃষক লীগের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সুস্পষ্ট এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণের দাবি রাখে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, সরকারের ভেতরে-বাহিরে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে এবং এই ষড়যন্ত্রের কিছু কিছু জিনিস দৃশ্যমান। ষড়যন্ত্রের কয়েকটি রূপ এবং প্রকরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

১. সরকারের ভেতর থেকে ষড়যন্ত্র: সরকারের ভেতরে কিছু কিছু ব্যাক্তি ঘাপটি মেরে আছে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মাঠ পর্যায়ে। যারা এমন কিছু কর্মকান্ড করছে যেটাতে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে এবং সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। যেমন সাম্প্রতি হাওরের বন্যার কথাই দেখা যাক। এখানে বাঁধ নির্মাণে সুস্পষ্ট গাফিলতি হয়েছে। যখন বাঁধ নির্মাণ করার কথা ছিল তখন বাঁধটি নির্মাণ করা হয়নি। বন্যা হবে জানার পরও অবহেলা করা হয়েছে। তার মানে সরকারের ভেতরে কিছু কিছু লোক সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্টের জন্য কাজ করছে। আবার গতকাল নিউ মার্কেট এবং ঢাকা কলেজ এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে সেটিও সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই অনেকে মনে করছেন। এখানেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু কিছু ব্যক্তি নির্লিপ্ত আচরণ করেছেন, পক্ষপাতিত্ব আচরণ করেছেন। যার ফলে পুরো ঘটনার দায় সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে।

২. বিএনপি-জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধীদের ষড়যন্ত্র: বিএনপি-জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী সরকারকে উৎখাতের জন্য ব্যাপক ষড়যন্ত্র করছে এবং তারা একদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানারকম অপপ্রচার-মিথ্যাচার করছে, অন্যদিকে তারা পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এই সমস্ত অভিযোগগুলোর কারণে এখন বাংলাদেশের সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।

৩. আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের উন্নতি, অগ্রগতি, অগ্রযাত্রা ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে না। ফলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ কেন ভালো করলো? বাংলাদেশ কেন অর্থনৈতিক দিক থেকে ভালো করছে? কেন করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভালো? বাংলাদেশের এই ভালো অবস্থা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোনো কোনো দেশের ইর্ষার কারণ হয়েছে এবং এ কারণেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বিস্তৃত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে মানবাধিকার সংক্রান্ত যে রিপোর্ট, সেটি একপেশে অগ্রহণযোগ্য। এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায় নি। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এইসব ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেরই অংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এই ষড়যন্ত্রের বিস্তৃতি এবং পরিধি আরও বেড়েছে বলেই অনেকে মনে করেন এবং সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের উপর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের আরও চাপ আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা বলছে। যেটিও একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই অনেকে মনে করেন।

৪. সুশীল সমাজের ষড়যন্ত্র: বাংলাদেশের সুশীল সমাজ সবসময় নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে। গণতন্ত্র দীর্ঘস্থায়ী হোক, গণতন্ত্র চলমান থাকুক এটি আমাদের সুশীল সমাজের একটি বড় অংশই চায় না। আর এ কারণেই সুশীল সমাজ এখন অত্যন্ত সক্রিয় হয়েছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে আছে এবং এই সমস্ত প্রচার-প্রচারণাগুলোর কারণে সরকারের বিরুদ্ধে একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে। এটিও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। ঈদের পর এই ষড়যন্ত্রগুলো আরও দৃশ্যমান হবে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রগুলো মোকাবেলা করেই সরকারকে টিকে থাকতে হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭