ইনসাইড থট

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন জনসচেতনতা


প্রকাশ: 21/04/2022


Thumbnail

রিক্সায় চড়ে ছোট মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছি। স্কুলে কি কি দুষ্টুমি হয়েছে, কোন শিক্ষক কেমন পড়ালো ইত্যাদি নিয়ে মেয়ের সাথে বিভিন্ন গল্প হচ্ছে। চারিদিকে চলমান গাড়ির হর্ন ও অন্যান্য কোলাহলে ঠিকমত শুনতে না পাওয়ায় একটু উচ্চস্বরে পুনরায় জিজ্ঞেস করায় মেয়ে কানে ব্যাথা পাচ্ছে বলে জানালো। আমি একটু চিন্তিত হলাম। সময় নষ্ট না করে  নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত, মাননীয় এমপি মহোদয়ের শরণাপন্ন হলাম। তিনি চিকিৎসা দিলেন। তিনি জানালেন, শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব। এখন মেয়ে ভাল, আলহামদুলিল্লাহ, তবে চিকিৎসা দুইমাস চলবে।

সকালে মোবাইলের এলার্ম শুনে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে সারাটা দিন ধরে অজস্র শব্দের মাঝে আমাদের বসবাস। আমাদের চারপাশে মাইকের অবাধ ব্যবহার, গাড়ির হর্নের আওয়াজ, উচ্চ ভলিউমে চালিত গানবাজনা, ব্যান্ড পার্টির ঢোলসহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ, বিভিন্ন পর্বে পটকা ফোটানোর আওয়াজ, কলকারখানার আওয়াজ, টেলিভিশনের শব্দ, পুরনো গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ, উড়োজাহাজ উঠানামা ও যুদ্ধ বিমানের তীব্র শব্দ, নিজেদের উচ্চস্বরে কথা বলা প্রভৃতি নিত্যদিনের সঙ্গী। কখন এসব শব্দ দূষণে পরিণত হয় আমরা জানিও না।

চারিপাশের এই বিভিন্ন আওয়াজ বা শব্দতরঙ্গ কানের বাহিরের অংশ (পিনা) থেকে কানের ভিতরের নালীতে (কর্ণকুহরে) প্রবেশ করে। কর্ণকুহরের শেষ প্রান্তে টিস্যু নির্মিত পর্দাকে কর্ণপটহ বা কানের পর্দা বলা হয়। শব্দ তরঙ্গ কানের পর্দাকে স্পন্দিত করে। সেই স্পন্দন স্নায়ুতন্ত্রের (Nervous system) মাধ্যমে শ্রবন প্রক্রিয়া শুরু করে ।

মানুষের বা প্রাণীকূলের কানের পর্দা আওয়াজ সহ্যের সীমা রয়েছে। স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডেসিবেল। শব্দের আধিক্য আমাদের দেহ ও মনের উপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাকেই পরিবেশের ‘শব্দ দূষণ‘ বলে। ‘শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬’ হল একমাত্র আইনি হাতিয়ার, যা অনেক পুরনো। তবুও এটাই একমাত্র লিগ্যাল ইন্সট্রুমেন্ট। এই বিধিমালা অনুযায়ী নীরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, মিশ্র এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, শিল্প এলাকা এরকম জায়গার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দিন ও রাতের জন্য আলাদা আলাদাভাবে শব্দের ‘মানমাত্রা’ বা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল নির্ধারণ করা আছে। তাতে দিনের বেলায় সবচেয়ে কম নীরব এলাকায় ৫০ ডেসিবেল আর সবচেয়ে বেশি শিল্প এলাকায় ৭৫ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ অনুমোদনযোগ্য। ঢাকা শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম রাস্তায় যদি যাই, তাহলে দেখা যাবে সেখানে এই সাউন্ডটা আসলে অনেকগুণ বেশি৷ মানুষের বা প্রাণীর শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী কোনো আওয়াজ সৃষ্টির কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেলের অধিক শব্দ যদি দীর্ঘসময় ধরে থাকে তাহলে সাময়িক বধিরতা আর ১০০ ডেসিবেলের বেশি হলে স্থায়ী বধিরতা (Permament Deafness) হতে পারে।

আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের মতে শব্দের মাত্রা প্রতি ১০ ডেসিবেল বৃদ্ধি পেলে যেকোন বয়সে স্ট্রোকের ঝুঁকি ১৪ ভাগ করে বাড়তে থাকে। আর যদি তা হয় ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষের ক্ষেত্র প্রতি ১০ ডেসিবেল বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৭ ভাগ করে বাড়তে থাকে! শব্দদূষণ এমনকি মায়ের গর্ভের শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিকেও প্রভাবিত করে। 

শব্দ দূষণের কারণে সহনীয় মাত্রার অতিরিক্ত শব্দ ও কোলাহলে অসহ্য শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা অনুভূত হয়। অবিরাম তীব্র শব্দ মানসিক উত্তেজনা বাড়ায় ও মেজাজ খিটখিটে করে। শব্দ দূষণ বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কের জটিল রোগ, অনিদ্রাজনিত অসুস্থতা, ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া, কর্মদক্ষতা হ্রাস, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মাথা ঘোরা ইত্যাদির প্রভাব সৃষ্টি করে।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর উন্নত দেশে আইন বলবৎ রয়েছে। অনেক দেশে এই আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়ে থাকে। রাতে এবং ভোরে যদি বিমান পরিচালনা করা হয়, তখন বিমানবন্দরের আশেপাশের এলাকার মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। বিমান অবতরণ কিংবা উড্ডয়নের সময় মাত্রাতিরিক্ত আওয়াজ সৃষ্টি হয়, শব্দ দূষণ হয়। জাপানের টোকিওতে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এলাকাবাসীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় নারিতা এলাকা থেকে বিমানবন্দরটি স্থানান্তর করা হয়েছে।

উন্নত দেশসমূহে বেশিরভাগ গাড়িই সেল্ফ ড্রাইভ। আমি উচ্চ শিক্ষা অধ্যয়নে জাপানে থাকাকালীন সময়ে ৬ বছর সেল্ফ ড্রাইভ করেছি। সেখানকার গাড়ি ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে মেনে চলাচল করে। বিভিন্ন গতির যানবাহনের জন্য লেন নির্দিষ্ট রয়েছে। যেখানে লেন সংখ্যা কম সেখানে কম গতির যানবাহন অপেক্ষাকৃত বামে চলাচল করে। নির্দিষ্ট গতির গাড়ি নির্দিষ্ট লেনেই চলাচল করে। যেখানে সেখানে ওভারটেক করে না। ওভারটেক করার জন্য নির্ধারিত স্থানই ব্যবহার করে থাকে। ওভারটেক করার সময় যেই গাড়িকে ওভারটেক করলো সেই গাড়ির চালকের সতর্কতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার জন্য শুধুমাত্র একবার ‘বিপ’ শব্দ করে।

বাংলাদেশে বেশিরভাগ গাড়িই বেতনভুক্ত  ড্রাইভার চালিত। ধরে নিলাম সকল চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির পদ্ধতি বিষয়ে আলোচনা না করে আমরা শব্দ দূষণের আলোচনাতেই থাকি। রাস্তায় চলাচল করার সময় লক্ষ করা যায় এখানে গাড়ির হর্ণ বাজানোর প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। ট্র্যাফিক সিগনালে অপেক্ষমান যানবাহনগুলো ট্রাফিক পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বা কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে নিজ বাহনের যাত্রীদের সময় সংক্ষিপ্ততার বিষয়ে অনুধাবন করানোর জন্য অনবরত হর্ণ বাজাতে থাকেন। আবার ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়ার পর সামনের গাড়িকে দ্রুত যাওয়ার জন্য বা সাইড দেওয়ার জন্য সবগুলো যানবাহনই বিভিন্ন ধরনের হর্ণ বাজাতে থাকেন। একবারও ভাবে না, এখানে অপেক্ষমান সকল গাড়ির যাত্রীরই সময়ের মূল্য রয়েছে, সকলেই যাবেন। সবচেয়ে সামনের গাড়িগুলো সামনে এগুলেই তিনি যেতে পারবেন। এছাড়া এখানে সাইড দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ নাই বিধায় হর্ণ বাজানোর প্রয়োজনীয়তা নেই। গাড়িতে বসে থাকা মালিক বা যাত্রীগণও ড্রাইভারকে হর্ণ দিতে বারণ করেন না। আবার যেখানে অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে দ্রুততম বেগে চালানোর সময় সামনের গাড়ীগুলোকে সরে থাকার জন্য লম্বা সময় হর্ণ বাটন চেপে ধরে থাকেন। অথবা ওভারটেক করার সময় একইভাবে লম্বা সময় হর্ণ বাটন চেপে ধরে থাকেন। এই হর্ণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে অন্য গাড়ির চালককে ধন্যবাদ জানানোর জন্য কি না আমি জানিনা।

এছাড়া রয়েছে কিছু কিছু ভিআইপি (?) গাড়ির হর্ণের নির্যাতন। ঐসকল গাড়িতে দুইএর অধিক সংখ্যক উচ্চ আওয়াজের ভিন্ন ধরনের বিশেষ হর্ণ দেওয়ার যন্ত্র ব্যবহার করে থাকে। ইদানিং ব্যক্তিগত গাড়িতেও উচ্চস্বরে ইমার্জেন্সি সাইরেন বাজিয়ে চলার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। এই হর্ণের আওয়াজ সাধারণ মানুষের গাড়ির হর্ণের মত না। মনে হয় উনারা ভাবেন এই বিশেষ ধরনের উচ্চ আওয়াজের হর্ণ শুনে সামনের সকল গাড়ি সরিয়ে নিবে। কিন্তু কিভাবে সরিয়ে নিবে, সামনে তো আরও অনেক গাড়ি রয়েছে। গাড়িতে বসা মালিকরা কিছুই বলেন না। উনারা গ্লাস বন্ধ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে বসে ঐ বিকট আওয়াজের তীব্রতা সম্পর্কে আঁচ করতেও পারেন না। ভোগান্তি হয় পথচারী, রিকশাচালক ও আরোহী, অটোচালক ও আরোহী, মটরবাইক চালক ও আরোহী, ফুটপাতে বসা হকার ও অন্যান্য সাধারণ মানুষের। ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্থ হয় শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী মায়েরা।

পাড়া-মহল্লায় যুবক শ্রেণির ছেলেরা চৈত্র সংক্রান্তিতে ‘সাকরাইন’ বা ‘ঘুড়ি উৎসব’ পালন করতে উচ্চ আওয়াজের ঢোল ও বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে গান-বাজনার আয়োজন করে। বিভিন্ন মসজিদে ইমাম সাহেবগণ এব্যাপারে উচ্চ আওয়াজ সৃষ্টি করে এমন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য বয়ানও করেন। এছাড়া শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ আইনও রয়েছে তথাপি এহেন কর্মকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না। এবারের চৈত্র সংক্রান্তি রাত ১১টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণে জুড়াইন এলাকায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রশিদ সাহেবের ফোন পেলাম। বয়স ৮০ অতিক্রান্ত হয়েছে। এককালে আন্দোলন সংগ্রামে নিয়মিত মিছিল মিটিং এ অংশ নিতেন। অসুস্থতা ও বয়সের ভারে এখন সভা-সমাবেশে যেতে পারেন না। অচল হয়ে পড়েছেন, ঘরেই থাকেন। তিনি জানালেন, ‘আওলাদ ভাই, ঘুমাতে পারছি না’। কেন? কি হলো? শরীর খারাপ? উত্তরে তিনি জানালেন, ‘এই মধ্যরাতে পাশের বাড়ির ছেলেটা বন্ধুদের নিয়ে তাদের ছাদে বিকট আওয়াজে গান বাজনা করছে। আমি অসুস্থ মানুষ। ঘুমাতে পারছি না’। কদমতলী থানার ওসি ও এসি সাহেবের স্মরনাপন্ন হলাম। আমাকে ফোনে রেখেই ওসি সাহেব ওয়ারলেস এর মাধ্যমে নির্দেশ দিলেন।  পুলিশ এসে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করতে হয়েছিল। কিন্তু পুলিশকে কেন হস্তক্ষেপ করতে হলো? পাশের বাড়ির বয়স্ক লোকটা অসুস্থ। এখানে উচ্চ আওয়াজে গান বাজনা করলে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থাকতে পারে, এই বোধটুকু থাকা উচিত ছিল না? এখানে সামাজিক সচেতনতার অভাব।

বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয়সভা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে অনেকদূর পর্যন্ত মাইক ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায়। যদি কেউ ঐ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে চায় বা বক্তার  বক্তব্য শুনতে চায় তবে সে নিজেই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু চারিদিকে যথাসম্ভব দূর এলাকায় মাইক লাগানো হলে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের বিরক্তির কারণ হতে পারে, বয়স্ক বা অসুস্থ লোকের ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে অনুষ্ঠানসমূহ আয়োজন করা যেতে পারে। 

কদমতলী থানাধীন মেরাজনগর এলাকার মসজিদগুলোর সম্মানিত ইমাম ও খতিব মহোদয়গণ স্থানীয় রাজনৈতিক ও অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেখানে রাত দশটার পর সভা-সমাবেশ, গান বাজনা, ধর্মীয় সভা, ইত্যাদি উচ্চ আওয়াজ সৃষ্টিকারী সকল প্রকার অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। শুধু তাই নয় অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে কেউ কোন মাইক ব্যবহার করবেন না, এই মর্মে কার্যকর ভূমিকাও পালন করছেন।

শুধু আইনি ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়-মেরাজনগর এলাকার মত প্রতিটি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রতিজন সাধারণ নাগরিকের শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সামাজিকভাবে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। গাড়ির সম্মানিত মালিক ও আরোহীগন সচেতন হওয়া প্রয়োজন।  আসুন আমরা নিজ বাহনের চালককে অপ্রয়োজনে হর্ণ বাজানো বারন করি, নিজেরা সচেতন হই, অন্যদেরও সচেতন করি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭