এডিটর’স মাইন্ড

মির্জা আজম: এখনো বাচ্চা


প্রকাশ: 22/04/2022


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা কে? এই প্রশ্নটির এক কথায় উত্তর দেয়া সম্ভব হবে না। বেশ কয়েকটি নাম আসবে। তবে প্রথম দিকে যে নামগুলো আসবে তার মধ্যে অন্যতম হবে মির্জা আজম। ছয়বারের এমপি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, এখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। জনপ্রিয়তায় তার সমকক্ষ আওয়ামী লীগের নেতা খুব কমই পাওয়া যাবে। সদা হাস্যজ্জল, কর্মীবান্ধব। সারাক্ষণ কর্মীদের নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। রাজনীতিতে সবকিছু সঁপে দেওয়া এই মির্জা আজমকে অনেকে মনে করেন যে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একজন যোগ্য প্রার্থী। তিনি যেভাবে কর্মীদেরকে আগলে রাখেন, কর্মীদের সমস্যার সমাধান করেন এবং আওয়ামী লীগের কোন্দল, বিভক্তি, কমিটি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন সেজন্য অনেকে মনে করেন যে মির্জা জনের মতো কেউ যদি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতো তাহলে হয়ত আওয়ামী লীগের যে ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো আছে সেগুলো কাটিয়ে ওঠা যেত।

মির্জা আজমের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হলো তিনি সার্বক্ষণিক একজন রাজনীতিবিদ। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তিনি রাজনীতির অন্তপ্রাণ। তিনি যে একজন ভালো সংগঠক সেটি তিনি প্রমাণ রেখেছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায়, আবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে তিনি দল গোছানো, দলের কোন্দল নিরসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু মির্জা আজমকে যে সমস্ত আওয়ামী লীগের উৎসাহী তরুণরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায় তাঁরা খুব দ্রুতই আশাহত হয়ে যান। কারণ, দলের সিনিয়রদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে মির্জা আজম এখনো তরুণ।

মির্জা আজমের বয়স ৬০ পেরিয়েছে। তার বন্ধুবান্ধব যারা সচিব পর্যায়ে ছিল তারা সবাই অবসর গ্রহণ করেছেন। তিনি ছয়বার এমপি হয়েছেন। আওয়ামী লীগের খুব কম নেতাই ছয়বার এমপি হওয়ার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। কিন্তু তার চেহারা শিশুতোষ, সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল। এখনো তাকে উদ্দীপ্ত তরুণই লাগে। সেজন্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের চোখে তিনি এখনো বাচ্চা। বয়স যাই হোক না কেন, যতবারই এমপি হোক না কেন, মির্জা আজম এখনো আওয়ামী লীগের প্রবীণ-পৌড়ের তকমা লাগাতে পারেননি। তিনি এখনো আওয়ামী লীগের মধ্যে তারুণ্যের প্রতীক হয়েই আছেন। আর সে কারণেই দলের ভিতর বিপুল জনপ্রিয় হওয়ার পরও সাধারণ সম্পাদক পদে তিনি আলোচনায় নাই।

তবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় থাকুক না থাকুক, আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রাণশক্তি যে মির্জা আজম এটা দলের নেতাকর্মীরাই ভালোমতো উপলব্ধি করেন। এই প্রাণশক্তির কারণেই তিনি সারাক্ষণ শক্তির কারণে তিনি আওয়ামী লীগের ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে বিবেচিত হন। এবার না হোক আগামীবার। তবে দলের তরুণরা মনে করেন যে, সাধারণ সম্পাদক হোক না হোক মির্জা আজম আগামী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের হয়তো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন এবং আওয়ামী লীগের সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে মির্জা আজম অন্যতম। আর মির্জা আজমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো যে, শিশুতোষ তারুণ্য থেকে বেরিয়ে একটি প্রবীণ রাশভারী ইমেজ দাঁড় করানো। সেটা কি পারবেন মির্জা আজম?


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭