ইনসাইড টক

'প্রথমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে জীবন শেষ হয়ে যাবে না'


প্রকাশ: 25/04/2022


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এবার তো সিট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব ইউনিভার্সিটিতে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় অর্ধেক করা হয়েছে সিট। এবার সিট খালি থাকবে না। বিভিন্ন লোক বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকে। ভর্তি হয়ে ফাস্ট ইয়ারটা পড়েই না। সাইন্সের স্টুডেন্টরা ফাস্ট ইয়ারটা ফেলই করে কারণ তারা যে ফিজিক্সে ভর্তি হলো, ক্যামিস্টিতে ভর্তি হলো এডমিশন টেস্টের জন্য কোচিং করতে থাকে, মেডিকেলে ভর্তি হওয়া জন্য। যে ছেলেটা এবার পাশ করলো আর যে ছেলেটা এক বছর ধরে কোচিং করলো এই ভর্তির কোচিং তাদের দুই জনের যদি এক সঙ্গে পরিক্ষা নেওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে যে ছেলেটা আগে থেকে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে সে অনেক লাইন ঘাট বুঝে, এটা সেটা বুঝে সে তখন আগায়ে যায়। অর্থাৎ খারাপ ছাত্রগুলো আগায়ে যায়, আর ভালো ছাত্র যে ফ্রেশ স্টুডেন্ট সে পিছিয়ে যায়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ভর্তি, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না দেওয়াসহ নানা বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, এটা একটা বৈষম্যমূলক নীতি। আমাদের দরকার তো যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে সেগুলোতে ভালো ছাত্র দিয়ে ভরাট করা।  নতুন যারা পাশ করছে এর যথেষ্ট ছাত্র পাওয়া যাবে ভরাট করার জন্য। আরেকটা সিট খালি হয় অর্থাৎ দেখা গেল সে জগন্নাথে ফিজিক্সের পড়ছিল কিন্তু সে না পড়ে এর পরের বছরে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। সেখানেও সে ফেল করে আর ওখানেও ফেল করে। এরকম অসংখ্য সিট খালি হয়। আরেকটা হচ্ছে যদি সে জগন্নাথে চান্স পেয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে এর পরের বার ফার্সিতে চান্স পেয়েছে সে ফিজিক্স, ক্যামিস্টি বাদ দিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। এরকম হয়। সেজন্য এটা চার পাঁচ বছর আগে বহু রকম চিন্তাভাবনা করে আমিই প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জগন্নাথে। এটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, আর বন্ধ করে দিলে ছাত্রের কোন অসুবিধা হবে না। 

তিনি বলেন, এখন এমন না যে কেউ প্রথমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে তার জীবন শেষ হয়ে যাবে। একশ’র উপরে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। ওদের তো সমস্যা নাই। তাহলে এরকম মনে করার কোন করণ নাই যে, এটা একটা বিরাট মানবিক ছাত্ররা বঞ্চিত হয়ে যাবে।  প্রত্যেকটা জেলায় এখন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে। কিন্তু মনে করি এটা একটা যথাথ সিদ্ধান্ত। এটা ওভাবে চিন্তাভাবনা করে নেয়া হয়েছিল। তারপরও তো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেগুলোতে দিবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে বোধ হয় এবার দুই বছর পরীক্ষা দিতে পারবে। কিন্তু পরে আবার যখন ভর্তি করাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বলবে যে আমরা ভর্তি করবে না। যেমন জগন্নাথে দ্বিতীয়বার ছাত্র ভর্তি সুযোগ হরে বলে আমার মনে হয় না। 

তিনি বলেন, আমরা আরও পাঁচ বছর আগে থেকে বন্ধ করেছি। এখানে যেটা হবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যদি পরীক্ষা হয় সেক্ষেত্রে গুচ্ছে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে পারবে কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি করাবে না আবার কোন কোন বেগম রোকেয়া, বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জ ওরা ছাত্ররা যেখানে কম আছে সেখানে হয়তো দ্বিতীয় বছরে দিতে পারে। আমি মনে করি না তারা ভালো ছাত্র থেকে বঞ্চিত হবে। যে পরিমাণ ভালো ছাত্র এবার পাশ করছে এগুলো ভর্তি করাতে পারলে তো জায়গা নাই। আর যারা কোচিং করে করে ঠিক চিহ্ন ভরাট করে যারা এখন ভালো করলেই যে ভালো এটা কোন প্রমাণ হয় না । কারণ যারা নতুন তারা তো কোচিং করার সময় পাবে না। কারণ পরীক্ষা তো আগেই হয়ে যায়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭