ইনসাইড থট

‘আশ্রয়ণ’ – নতুন সমাজ ধারণার প্রতীকী বাস্তবতা


প্রকাশ: 25/04/2022


Thumbnail

গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি মোবাইল বার্তা আমাকে আগ্রহী ও একইসাথে কিছুটা বিচলিত করে তুলে। তিনি ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প সম্পর্কে আমাকে প্রচুর তথ্য ও আলোকচিত্র পাঠান যা পড়ে আমি অপরাধবোধে ভুগতে থাকি, কারণ আমি জানি এরকম একটি অসাধারণ কাজ দেশে চলমান আছে কিন্তু আমার সামাজিক উন্নয়ন অনুসন্ধান ও অনুধাবন জ্ঞানের দুর্বলতার কারণে আমি এই প্রকল্পের ‘প্রভাব’ নিয়ে কখনও ভাবিনি। আমি জানি তিনি আমাকে স্নেহ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিয়ে এই দেশটাকে শেখ হাসিনা আবার মূল চালনায় গতি দিয়েছেন আমি সব খবর বিস্তারিত বুঝবার সুযোগ পাইনা। তাছাড়া এতো বেশী কাজ হচ্ছে সেগুলো বুঝতে শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে মাপের গবেষণা সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও একাডেমিক পর্যায়ে এখুনি শুরু করা দরকার, এমন আলোচনা ড. আতিউর রহমান-সহ আরও অনেকের সাথে আমি করেছি কারণ সেসবের পরিধি অনেক বিস্তৃত। এমনকি ‘শেখ হাসিনা স্টাডি সেন্টার’ নামে একটা কাজ শুরু করার বিষয়েও নানাজনের সাথে মত বিনিময় করেছি। কিন্তু আমার বিচারে সবচেয়ে জরুরী যে কাজটি তিনি করে চলেছেন, দেশের অবহেলিত ও দারিদ্র্য পীড়িত মানুষজনকে ‘সম্মানজনকভাবে বাঁচার সুযোগ’ তৈরি করে দিচ্ছেন, সেদিন তাঁর বার্তাগুলো পেয়ে ও কিছুদিন পড়াশুনা করে আমার মনে হলো আমাদের সব চিন্তা এখান থেকেই শুরু করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে শিক্ষকের মতো ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প বুঝতে সাহায্য করেছেন, আমি তাঁর সদয় অনুমতিক্রমে তাঁর দপ্তর-সহ প্রকল্পের নানা জায়গায় ঘুরে রূপান্তরিত এক আশ্চর্য জীবন-প্রেরণার সন্ধান পেলাম যা অভাবিত ও বাংলাদেশের গ্রাম সমাজের সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্বে একটি নতুন মাত্রা যোগ সম্ভব হয়েছে অনুধাবন করে এই নিয়ে আমি ইতিমধ্যেই দুটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছি।

আমি দীর্ঘদিন গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যয় কমাতে সামাজিক ও প্রায়োগিক গবেষণার কাজ করি (এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩.৪)। দেশে বিদেশে আমার রামপাল প্রকল্পের দূর-নিরীক্ষণ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয় ও যুক্তরাষ্ট্রের যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমি কাজ করি তারা তৃতীয় বিশ্বের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে আমাদের প্রকল্পকে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘মডেল উদাহরণ’ হিসেবে ব্যবহার করে। ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পে আমার অনুসন্ধান-উপলব্ধি আমার দীর্ঘদিনের গ্রাম উন্নয়ন অভিজ্ঞতাকেও কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে কারণ বেশ কিছু নতুন বিষয় আমাদের সামাজিক ভাবনায় এই প্রকল্পের দর্শন চিন্তায় উপস্থিত হয়েছে।

আমরা জানি নানা কারণে মানুষ ঘরহারা বা ভূমিহারা হয়। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্প কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ/ক্লাস্টার চিহ্নিত করেছে। এখানে প্রাসঙ্গিক পটভূমি পাঠকের জানা দরকার। ১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজার জেলাসহ পেশের কয়েকটি এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হওয়ায় বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ মে সেসব এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি মানুষের দুর্দশা দেখে সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং সকল গৃহহীন পরিবারসমূহকে পুনর্বাসনের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে “আশ্রয়ণ” নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৯৯৭ সাল থেকে  এই পর্যায়ে, প্রথমে ব্যারাকের মাধ্যমে আবাসন সৃষ্টি ও পরে ঘরহারা বা ভূমিহীন মানুষের সামাজিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নিজের জমিতে ঘর তৈরি করে দেয়া, জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্যে বহুতল ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট দেয়া, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের জন্যে বিশেষ ডিজাইনের ঘর, ঘূর্ণিঝড় ও নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার মালিকানায় জমি-সহ একক ঘর দিয়ে মোট তিনটি পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প (১৯৯৭-২০০২, ২০০২-২০১০ ও ২০১০-২০২২) ৫,০৭,২৪৪টি পরিবারকে আবাসন ব্যবস্থা করে দিতে পেরেছে। এসবের মধ্যেই ৩২,৯০৪টি মালিকানাধীন ঘর ২৫ এপ্রিল হস্তান্তরিত হচ্ছে। বর্তমান পর্বের পুনর্বাসিত ভূমিহীন, গৃহহীন, দুর্দশাগ্রস্ত ও ছিন্নমূল পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ভূমির মালিকানা স্বত্বের দলিল/কবুলিয়ত সম্পাদন, রেজিস্ট্রি ও নামজারী করে দেয়া হয়েছে। পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, মসজিদ বা প্রার্থনা কেন্দ্র নির্মাণ, কবর স্থান, পুকুর ও গবাদি পশু পালনের জন্য সাধারণ জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন উৎপাদনমুখী ও আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহারিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বা আর্থিক পুঁজির সুবিধা তৈরি করে দেয়া হয়েছে।

একক গৃহ নির্মাণের জন্যে প্রশাসনযন্ত্রের সবচেয়ে জটিল ও দুরূহ যে কাজটি সম্পাদন করতে হয়েছে তা হলো সারা দেশে সরকারের খাস জমি উদ্ধার। আমি যখন তথ্য সংগ্রহের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাই, এই প্রকল্পের পরিচালক করিৎকর্মা সুদর্শন এক সরকারী কর্মকর্তা আবু সালেহ ফেরদৌস খান মুহূর্তের মধ্যে আমাকে সকল তথ্য সরবরাহ করেন। তাঁর সাথে আমাকে যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া যাকে একজন সজ্জন মানুষ ও ভালো প্রশাসক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ আমি চিনি (এক সময়ে আমার জেলা কুমিল্লার জনপ্রিয় জেলা প্রশাসক ছিলেন)। আমি বুঝতে পারলাম এই প্রকল্পে একটি উদার মনোভাবাপন্ন টীম কাজ করছে যারা ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পকে নিজের মনের মধ্যে গেঁথে নিয়েছেন। সেখানে আর যাদের সাথে দেখা হলো তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সরদার যিনি প্রকল্প পরিচালকের পরামর্শে আমার কাছে সকল প্রকাশনা ও কাগজ-পত্র, তথ্যাদি সরবরাহ করেছেন। জনাব ফেরদৌস আমি কখন কোথায় যাবো তার জন্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সর্বত সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন। আমি বিনয়ের সাথে জানাই আমি নিজেই তথ্য সংগ্রহের জন্যে যাবো ও প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবো।

প্রকল্প পরিচালক ফেরদৌস খান আমাকে জানান, ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের জন্যে সারাদেশে উদ্ধারকৃত খাস জমির পরিমাণ ৫৫১২.০৪ একর যে জমির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা (২৯৬৭.৯ কোটি টাকা)। কোথাও কোথাও জমির সঙ্কটের জন্যে সরকারকে জমি কিনে নিতে হয়েছে যার পরিমাণ ১৬৮.৩২ একর ও এসব জমির জন্যে মূল্য দিতে হয়েছে ১১৫.৩৩ কোটি টাকা। এইসব কেনা জমিতে পুনর্বাসন করা সম্ভব হয়েছে ৭৪৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে।

আমি জনাব ফেরদৌসের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম আশ্রয়হীনের জন্যে সরকারের এই বিনিয়োগ যার মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও নাগরিকের প্রতি আবেগ ও মানবিক সম্মান রয়েছে যা একটি স্থায়ী আবাসনের জন্যে, কিন্তু এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও ফলাফল (রিটার্ন অর্থে) নিয়ে প্রকল্প কিছু ভাবছে কিনা। তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে আমাকে জানালেন, ‘আমি জন্ম থেকে কলেজ পর্যন্ত চট্টগ্রামের গ্রামে বড় হয়েছি, আমি খুব অনুভব করতে পারি গ্রামের ভূমিহীন অসহায় মানুষ যদি একটি মাথা গুজার স্থায়ী ঠিকানা পায় সে তাঁর জীবিকার চেষ্টা কখনও ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়না। তবে আমরা প্রকল্পের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের এই কাজে সম্পৃক্ত করেছি যাতে সরকারের সবগুলো অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আর দশজনের মতো তাঁদের প্রতিও সমান মনোযোগ রাখে শুধু আমরা কিছুদিন মনিটরিং করবো যেন এই জনগোষ্ঠী সাবলীলভাবে সমাজের মূল স্রোতের সাথে মিশে যেতে পারে। তাদের জন্যে সবচেয়ে সঠিক অপরচুনিটিগুলো উপজেলা পর্যায়ে সরকারী অফিসগুলোয় আছে, আর দশজন থেকে তারা তো আলাদা নয়, তাদের অধিকার নিশ্চিত থাকবে’।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রাণার সাথে আমার আলাপ হয়। সমাজ সম্পৃক্ত বিষয়ে তিনি খুব সতর্কতার সাথে তাঁর একটি অনুভাবনা আমার সাথে শেয়ার করেন, এই যে এতো মনোযোগ দিয়ে আমরা এই নতুন সমাজকে মূল সমাজের সাথে মেলাতে চাইছি এখানে মূল সমাজের দায়িত্ব বা ভূমিকাই বেশী সেটা আমরা তাদের বুঝাতে চেষ্টা করছি। তিনি social inclusion theory প্রয়োগের জন্যে চিন্তা করছেন জেনে আমি মুগ্ধ হলাম কিন্তু exclusion theory নিয়ে যদি সমাজের উপরের কাঠামো শক্তি প্রয়োগ করে তখন গরীব মানুষের জন্যে সেটা কোন হুমকি হবে কিনা আমি তাঁর তত্ত্ব-তালাশ শুরু করলাম। আজ থেকে প্রায় ৭৬ বছর আগে (১৯৪৬) রামকৃষ্ণ মুখার্জী তাঁর ‘বাংলার ছ’টি গ্রাম’ গবেষণা বইয়ে এমন একটি আশঙ্কা করেছিলেন যখন পরিবারগুলো বিভক্তির কারণে মানুষ স্থানান্তরিত হচ্ছিলো, কৃষি জমিতে বা অন্য ভূমিতে বসতি স্থাপন করছিল বা গ্রামান্তর হচ্ছিলো। কিন্তু সমাজবিজ্ঞানী একে নাজমুল করীম প্রবল বর্ণের বা উচ্চ ক্ষমতাশালী গ্রামশক্তির চেয়ে সমাজের রূপান্তর পর্যবেক্ষণের প্রতি গুরুত্ব দেন। তিনি তাঁর Changing Society in India Pakistan and Bangladesh বইয়ে যে কোন উদ্যোগী সংস্কারকের অংশগ্রহণমূলক সমাজ পর্যবেক্ষণের প্রতি বেশী জোর দেন।

সোহেল রাণার ধারণা অনুসরণ বিবেচনায় রেখে আমি অংশগ্রহণ পর্যবেক্ষণ গবেষণা কৌশলে বাগেরহাটের রামপালের গৌরম্ভা ‘আশ্রয়ণ’ কেন্দ্রে একদিন সপরিবারে অবস্থান করি ও ঘর পাওয়া মানুষের সাথে দীর্ঘ সময় আলোচনা করি। social inclusion theory সেখানে প্রবলভাবে বিদ্যমান ও গৌরম্ভার অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়েছে ঘর পাওয়া মানুষ সমভাবে জীবন পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে গেছে। শুধু পার্থক্য এই যে রামপালের ল্যান্ডস্কেপ বিস্তৃত ও সুপরিকল্পিত বসতি সৃজনের উদাহরণ সেখানে হয়েছে। আমি বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার রেজাউল করিমের কাছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় জরীপের মাধ্যমে ঘর পাওয়া মানুষের জন্যে যথাসম্ভব বিস্তৃত পরিবেশ রাখার চেষ্টা রয়েছে বলে জানান। তিনি রামপালের স্থানীয় বসতি কাঠামোর সাংস্কৃতিক মূল্যও বিস্তৃত বলে জানান। মূল স্রোতের মানুষ সমাজের মূলেই থাকবে এমন একটি ধারণা নিয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন ‘আশ্রয়ণ’-বাসীদের নিয়ে সমবায়ী কৌশলের অর্থনীতি বহাল রাখা সম্ভব বলে মত দেন।

আমার বিবেচনায় এই ঘর দেয়া কর্মসূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রভাব হয়েছে ভাসমান, বেদে বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে যখন নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হলো। গ্রাম সমাজে অংশগ্রহণ না থাকায় জ্ঞাতি সম্পর্ক স্থাপনে এসব নাগরিকের এতদিন বাধা ছিল, সেই বাধাও অপসৃত হয়েছে যখন সে ঘর পেয়েছে। গ্রামীণ জীবন ব্যবস্থায় এর আরও প্রভাব পড়বে যখন এই নাগরিক মর্যাদা পাওয়া পরিবারগুলো তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠাতে শুরু করবে। সামাজিক বিবাহবন্ধন, আচার-আচরণ ও সংস্কৃতির চর্চা গ্রাম সমাজের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক ও ঘনিষ্ঠ করবে। আমার ধারণা, প্রশাসনিক নেতৃত্ব ও তদারকি থাকায় সমাজের এই দুই অংশকে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রবহমান জীবনযাত্রায় কোনও সাংস্কৃতিক-নৃতাত্ত্বিক দূরত্বের সুযোগও থাকবে না।

একজন পরিব্রাজক সমাজকর্মীর দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে আমি কয়েকটি ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প দেখতে যেয়ে (সমাপ্ত ও নির্মাণাধীন) যেসব তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করেছি তাতে আমি সকল ক্ষেত্রে সরকারী প্রশাসনের যে কর্তব্য নিষ্ঠা লক্ষ্য করেছি তা দেশপ্রেমসঞ্জাত, কেবলমাত্র চাকুরীর অংশ মনে হয়নি। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের সিভিল প্রশাসনের বর্তমান সমন্বিত নেতৃত্ব যে উদাহরণ রেখে যাবেন তা একদিন ইতিহাসের অংশ হবে। সময়ের অভাবে অনেকেই আমাকে সাক্ষাৎ দিতে পারেননি। ভবিষ্যতের ‘প্রসেস ডক্যুমেন্টেশনে তাঁরা যখন কাজ করবেন তখন এই নীতির সমন্বয়ে তাদের অবদান বাংলাদেশের নতুন সমাজ নিশ্চয়ই মনে রাখবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭