ইনসাইড টক

‘ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিতে যারা আছেন তারা লবণ মিশ্রিত পানি পান করবেন’


প্রকাশ: 26/04/2022


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, গরম হলে তো ক্ষতি হতেই পারে। গরমে তো অনেক কিছু হয়। গরমে শরীরে বেশি গাম দেয়, পানি স্বল্পতা দেখা দেয়, প্রসাব কমে যায়, শরীর দুর্বল লাগে, মুখ শুষ্ক হয়ে যায় ইত্যাদি উপসর্গগুলো হতেই পারে। যারা অনেকক্ষণ ধরে রৌদ্রে কাজ করে বিশেষ করে যারা শ্রমিক, রিকশাওয়ালা ইত্যাদি লোকজন অতিরিক্ত গরমের ফলে হিটস্ট্রোক করে।

অসহনীয় গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি, ডেঙ্গু-ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

গরমের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন অসুবিধা থেকে মুক্ত থাকার উপায় হিসেবে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা করা যাবে না। যারা বাইরে কাজ করে তারা অন্তত মাথায় ছাতা, শেড বা কিছু একটা দিবেন। যাদের রোদে কাজ করতেই হয় তাদের কিছুক্ষণ পরপর ছায়াতে বা গাছের নিচে যেতে। যারা ঘরের মধ্যে আছে তারা ফ্যান, এসি ব্যবহার করে গরমের অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিতে যারা আছেন তারা কিন্তু একটু পরপর পানি খাবেন। তবে ভালো হয় পানির মধ্যে একটু লবণ মিশিয়ে খাওয়া। কারণ এসময় শরীরে লবণও কমে যেতে পারে। ওরস্যালাইনও খেতে পারেন যেন ডিহাইড্রেশন না হয়।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে বাচ্চারা, বয়স্ক, মধ্য বয়সী তারা সব সময় বাইরে যাবেন না। কিছু ইন্ড্রাস্টি আছে খুব গরমের মধ্যে কাজ করতে হয়, তারা কিছুক্ষণ পরপর বাইরে আসবে, একটু নরমাল আবহাওয়ায় থাকবে এবং তারা টাইটফিট জামা-কাপড় পরবে না। টাইট কাপড় পরলে তাপ বের হতে পারে না। একটু ঢিলেঢালা কাপড় পরলে ভালো হয়।

ডেঙ্গু-ডায়রিয়া প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এখন হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে। এখন থেকে মশা নিধনের কাজ শুরু করতে হবে। দেখা যায় যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়, তখন তোড়জোড় শুরু হয়, সারা বছর খবর থাকে না। এটা যেন না হয়। এখন থেকেই সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে মশার প্রকোপ বেশি, প্রজনন হয় সেগুলো ধ্বংস করতে হবে। অন্যদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ আছে। অনেকে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধিও মানেনা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, যে যা খুশি তাই করছে। এসব কারণেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পারতপক্ষে কেউ বাহিরে কিছু খাবে না, পানি বিশুদ্ধ করে ফুটিয়ে খাবে, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার খাবে না, এমনকি বাসার খাবারও যদি অনেকক্ষণ বাহিরে রাখা হয়, সেটাও কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো খেলে সমস্যা হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কারও যদি ডায়রিয়া হয়েই যায়, পানিশূন্যতা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যায় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭