ইনসাইড টক

'মানুষ না খেয়ে যতটা না মরে, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ খেয়ে মরে'


প্রকাশ: 27/04/2022


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, ধর্মীয়ভাবে যদি আমরা দেখি, তাহলে রমজান তো হলো সংযমের। খাদ্য, অভ্যাস, জীবনযাপন সব ক্ষেত্রেই।  মানুষের মন এবং শরীরের মধ্যে একটা নিয়ন্ত্রণ আছে। এটা হচ্ছে রমজানে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। সেখানে আমরা যেন নিয়ন্ত্রণটা রক্ষা করে চলি। মানুষ না খেয়ে যতটা না মরে বা অসুস্থ হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ খেয়ে মরে। পরিমিত খাবার খাওয়া যে অভ্যাসটা রমজান মাসে হয় সেটা আমাদের সবাইকে রক্ষা করতে হবে। আর যেটা আমরা লক্ষ্য করি ঈদের দিনে অতিরিক্ত খাবার হয়ে যায়। পাকস্থলীর যে সক্ষমতা আছে তার চেয়ে অনেক খাবার হয়ে যায়। এটা ঠিক নয়।

এক মাসের সিয়াম সাধনার পরে মানুষের খাদ্যাভ্যাস, পরিমিত খাবার খাওয়ার তাগিদসহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান। 

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিয়ে খুব একটা সমস্যা হয় না। যদি পচাঁ খাবার না খায়। রমজানের সময় যেটা প্রধান সমস্যা হয়, খাবারের সময়টা নিয়ে। যেটা পর্রামশ সেটা হলো যে, রমজানের খাদ্যাভ্যাসের যে সময়টা আমরা নির্ধারণ করি সে হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই খাবার টেন্ডেনসিটা কমে যায় এবং পেটের ভেতরে খাবারে যে জায়গাটা, সেটা কিছুটা সংকচিত হয়ে যায়। আমরা যেন রমজানের পর বেশি বেশি খাবার না খাই। বেশি খেলে হয় কি হজমের একটা সমস্যা হয়। পেটের ভেতরে যখন খাবারটা ঢুকে তখন একটা সিস্টেম আছে কিছু এনজাইম, কিছু এসিড, কিছু খাদ্য রস আসে, খাদ্য পরিমাণের বিরোধীতা করে কারণ পরিমাণ অনুসারে খাদ্য রস আসে। সেখানে একটা অনুপাত থাকে, হঠাৎ করে যদি বেশি করে খেতে শুরু করে তাহলে সে রসটা ব্যাতয় ঘটতে পারে। সেজন্য খাবারের পরিমাণটা যেন আগের মতো রাখে এবং আস্তে আস্তে করে বাড়ায়।

তিনি বলেন, আরেকটা বড় সামাজিক সমস্যা হলো যেখানেই যাবেন সেখানে কিছু না কিছু খেতে হবে। না খেলে মাইন্ড করে ঈদের দিনে। যেখানেই যান ঈদের দিন ঘিরে পারিবারিক বা সামাজিক সম্পর্ক ঝালাই হয়, কুশল বিনিময় হয়। বিশেষ করে মিষ্টি, কিছু না খেলেও মিষ্টি খেতেই হয়। না খেলে সমস্যা। তারা মাইন্ড করে, আবার পেট যে ভরেই আছে সে জায়গায় সমস্যা হয়। সেজন্য অল্প অল্প খেতে হবে। আর যেহেতু এখন গ্রীষ্মের দিন সেহেতু শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। 

তিনি আরও বলেন, ঈদে মানুষের খাওয়া-দাওয়ার খাদ্যভ্যাস আবার পরিবর্তন হবে। এই ক্ষেত্রে জটিলতা হতে পারে। এমন হওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেহেতু রোজার পরে খাবার পরিমাণ টা যেন আগের মতো থাকে সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। অভ্যাস বা জীবনযাপন সব ক্ষেত্রেই এটা করতে হবে। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭