ইনসাইড পলিটিক্স

সাংগঠনিক দক্ষতার অনন্য নজির স্থাপন করলেন মির্জা আজম


প্রকাশ: 27/04/2022


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীতে ১৪০২টি ইউনিট কমিটি গঠনের মাধ্যমে সাংগঠনিক দক্ষতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। ইউনিটভিত্তিক এত বেশি সংখ্যক কমিটি গঠনের এটি আওয়ামী লীগের ইতিহাসে প্রথম বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। 

সূত্রমতে, ঢাকা মহানগরকে রাজনীতির হৃদপিণ্ড বলা হয়ে থাকে। ঢাকা যার দখলে দেশ তার দখলে থাকে-এমন কথা রাজনীতিতে প্রচলিত। আওয়ামী লীগ টানা দুইবার ক্ষমতায় আসলেও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছিলো না নগর রাজনীতি। ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন জামালপুর-৩ আসনের এমপি, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম। ‘সাংগঠনিক ম্যানেজার’ মির্জা আজমকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকা বিভাগে। হ-য-ব-র-ল সাংগঠনিক ঢাকার দায়িত্ব নিয়েই দল গোছাতে মনযোগী হন মির্জা আজম। প্রথমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন। উদ্যোগ নেন অভ্যন্তরীন কোন্দল নিরসনের। এরপর প্রথমেই ইউনিট কমিটি গঠনে হাত দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সদস্য নবায়ণ ও নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, এই ইউনিটের নেতারাই ‘ভোট ব্যাংক’। ভোটের সময় এই কেন্দ্রভিত্তিক কমিটিই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন।  

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে গত ২০২১ সালের জুনে শুরু করেন ঢাকা মহানগর ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ। চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক টিম গঠনের কাজ শেষ করে। গত ২৯ মার্চ পরিচিতি সভার আয়োজন করেন তারা। এতে দেখা যায় ৮০২টি ইউনিট কমিটি গঠন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও বসে নেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মির্জা আজমের সাংগঠনিক দক্ষতা ও নিদের্শনায় এখন পর্যন্ত ৬০০ ইউনিট কমিটি গঠন করেছে সংগঠনটি। 

আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, এর আগে কখনো ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে এভাবে ইউনিট কমিটি গঠন হয়নি। মির্জা আজমের নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে বলছেন ঢাকা নগর আওয়ামী লীগ নেতারা। 

মাঠের রাজনীতি থেকে উঠে আসা মির্জা আজমকে জাতীয় রাজনীতিতে উঠিয়ে আনা হয় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক করে। দ্রুতই সারা দেশের যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মন জয় করে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিতে থাকেন। ২০০১ পরবর্তী সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নানক-আজম নেতৃত্বাধীন যুবলীগ রীতিমতো আন্দোলনের সমার্থক হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক মহলের সবারই জানা, নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলার একটিতে রীতিমতো কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট, সমর্থক আর ভোটারদের। কিন্তু এখানেও সাংগঠনিক ক্যারিশমা দেখান মির্জা আজম। কর্মীবান্ধব মির্জা আজমের জয়ের ম্যাজিক কী ছিল? এই প্রশ্নে সব সময় তাঁর উত্তর, মানুষের ভালোবাসা। টানা ৬ বারের এমপি মির্জা আজম ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে হুইপ (প্রতিমন্ত্রী) ও পরবর্তীকালে ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সততা, দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব সামলেছেন। মিষ্টভাষী হিসেবে সর্বত্রই পরিচিতি তাঁর।

মির্জা আজমের গোটা রাজনৈতিক জীবনের প্রতিনিয়ত আচরণে মুগ্ধ রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী মহল। এমনটাই সব সময় হয়ে এসেছে। সাহসী এবং দলের প্রয়োজনে যেকোনো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যে সিদ্ধহস্ত তিনি এর প্রমাণও বারবার মিলেছে। 

মির্জা আজম মানেই কি ক্রাউড পুলার? এমন প্রশ্ন ছিল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের কাছে। তাঁদের অকপট স্বীকারোক্তি, নেতা-কর্মী আর সাধারণ জনতাকে যেভাবে আগলে রাখেন মির্জা আজম তাতে জনতা যে তাঁকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করবে তাতে আর বিস্ময়ের কি আছে! 

এমন সংগঠক তো দলের সম্পদ। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনায় জাহাঙ্গীর কবির নানককে সঙ্গে নিয়ে পুরোমাত্রায় নিজের সাংগঠনিক মেধাকে কাজে লাগিয়ে অতি সম্প্রতিও সবার নজর কাড়েন মির্জা আজম। দলীয় সভানেত্রীর দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট নিখুঁতভাবে পালন করে তিনি যখন দলের ভেতর আবারও নিজের দক্ষতাকে আরও একবার প্রমাণ করলেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭