ইনসাইড টক

‘জঙ্গিরা কোনো ধর্ম মানে না’


প্রকাশ: 28/04/2022


Thumbnail

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, নামাজ পড়া এটা তো সাম্প্রদায়িকতা না, এটা তো মৌলবাদীতা। জঙ্গিরা তো শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠেও হামলা করেছিল, জঙ্গিরা কোন ধর্ম মানে না কোন কিছু মানে না। সেজন্য একটা তো আশঙ্কা থাকবে। আশা করি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। বিশেষ করে খোলা মাঠে নামাজের ব্যবস্থা হবে। দিনাজপুরে এবার ঈদের সবচেয়ে বড় জামায়াত হবে। সেখানে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। সেহেতু আইনশৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাস বন্ধ হবে না। এই হুঁমকি সন্ত্রাস, নির্যাতন, লাঞ্চনা, ভিন্ন মত, ভিন্ন জীবনে যারা বিশ্বাসী বা বাঙালি সংস্কৃতির মতো যা কিছু সবকিছুই হুঁমকির মধ্যেই থাকবে।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, জঙ্গি হামলার আশঙ্কাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য শাহরিয়ার কবির এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।

শাহরিয়ার কবির বলেন, গোটা সমাজেরই তো মৌলবাদীকরণ, সাম্প্রদায়িকীকরণ জেগেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা ঢুকে গেছে। সেখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এই মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছে। হ্যাঁ, বোমা হামলা হয়তো আগের মতো হচ্ছে না। কিন্তু তাদের যে বক্তব্যগুলো, এই যে সাম্প্রতিককালে যেসব ঘটনাগুলো ঘটলো। নওগাঁর স্কুলে কিংবা গোলাপগঞ্জের স্কুলে কিংবা মুন্সিগঞ্জের স্কুলে, এখানে লতা সমদ্দার এগুলাে কোনোটাই তো স্বস্তিদায়ক ঘটনা নয়।

তিনি আরও বলেন, যে মোল্লা ধর্মীয় সমাবেশে ফতোয়া দিলো যে হিন্দু মেয়েদের শাঁখা-সিঁদুর পড়তে দেওয়া হবে না, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তাহলে এই হুঁমকিগুলো বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাস বন্ধ হবে না। এই হুঁমকি সন্ত্রাস, নির্যাতন, লাঞ্চনা, ভিন্ন মত, ভিন্ন জীবনে যারা বিশ্বাসী বা বাঙালি সংস্কৃতির মতো যা কিছু সবকিছুই হুঁমকির মধ্যেই থাকবে।

শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা বার বার বলছি, হেফাজত আমাদের সংবিধানের বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে। সর্বোপরি হেফাজতের অবস্থান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারা ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশকে মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাবে পাকিস্তানের আদলে। এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে না, বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ থাকবে না। ব্লাসফেমি আইন চালু করতে হবে। তাদের এসব ঔদ্ধত্য কর্মকাণ্ডগুলোর বিষয়ে সরকারও ওয়াকিবহাল। হেফাজতের বিষয়ে আমাদের কোনো বিভ্রান্তি নেই, কখনো ছিলও না।

হেফাজত আর জামায়াত একই একই জিনিস দাবি করে তিনি বলেন, একই এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। একাত্তরেও তারা একই এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেছে। হেফাজতের প্রতিষ্ঠারা একাত্তরে নেজামে ইসলাম করতো। মুজাহিদ বাহিনী করে গণহত্যা চালিয়েছিল। মানবতাবিরোধী কাজ তারা একাত্তরে করেছে। পরবর্তীকালেও বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন যতগুলো হয়েছে, যেমন হরকাতুল জিহাদ, এগুলো আসলে হেফাজতের নেতারাই করেছে।তাদের এজেন্ডা তো গোপন কোনো বিষয় না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭