আগামী ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা এখন ডিসেম্বরে কাউন্সিল, সেই হিসেব করে প্রস্তুতি শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, ঈদের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ ঘোষিত হতে পারে। কাউন্সিলকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে, কে সাধারণ সম্পাদক হবে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারা আসবে, প্রেসিডিয়াম কমিটিতে কারা আসবে ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কল্পনা, চিন্তা, আলাপ-আলোচনায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার অফিস ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় সরগরম থাকছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখেমুখে এখন কাউন্সিল কেন্দ্রিক আলোচনাই প্রাধান্য পাচ্ছে। আর এই আলোচনায় অনেকগুলো বিষয়ের পাশাপাশি একটি বিষয় খুব গুরুত্ব পাচ্ছে। তা হলো আওয়ামী লীগে কেন্দ্রীয় কমিটিতে কাদের পদোন্নতি হবে। আওয়ামী লীগের অনেকেই আছেন যারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়েছেন বা পেয়ে আসছেন। এই পদোন্নতির ধারায় এবার কারা কারা থাকবেন, কাদের কাদের আওয়ামী লীগে পদোন্নতি হবে সেটা একটি বড় প্রশ্ন। ২০১৯ সালের কাউন্সিলে জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এবার পদোন্নতির তালিকায় কারা থাকছেন এটি আওয়ামী লীগে একটি বড় প্রশ্ন। এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ভেতরে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা আছে। নেতাকর্মীদের আলোচনায় যে নামগুলো ঘুরেফিরে আসছে তাদের মধ্যে রয়েছেন-
১. মাহবুবউল আলম হানিফ: মাহবুবউল আলম হানিফ তিনবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার তিনি সাধারণ সম্পাদক অথবা প্রেসিডিয়ামে চলে যাবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, আবার তার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সাধারণ সম্পাদক যদি তিনি না হন, তাহলে প্রেসিডিয়ামে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২. এস এম কামাল: এস এম কামাল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি রাজশাহী অঞ্চলে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল একজন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এসএম কামাল হোসেন এবার সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পাবেন বলে নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।
৩. মির্জা আজম: আওয়ামী লীগের তুমুল জনপ্রিয় নেতা মির্জা আজম। ধাপে ধাপে উন্নতি করছেন। এর আগে তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ২০১৯ সালের কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন এবং ঢাকা জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়ে তিনি চমক দেখিয়েছেন। বিভিন্ন কোন্দল, বিরোধ মেটানো এবং তৃণমূল পর্যন্ত কমিটি গঠন করে তিনি আওয়ামী লীগকে ঢাকা মহানগরীতে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এজন্য তারও পদোন্নতির সম্ভাবনার কথা আলোচিত হচ্ছে। তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে যুগ্ম-সম্পাদক পদে আসতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন।
৪. বিপ্লব বড়ুয়া: বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তিনিও ধাপে ধাপে উন্নতি করেছেন। গতবার তিনি ছিলেন সহ-দপ্তর সম্পাদক। ২০১৯ সালে কাউন্সিলে পূর্ণাঙ্গ দপ্তর সম্পাদক হন। এবারও তার পদোন্নতির কথা আলোচনা হচ্ছে। ক্লিন ইমেজের অধিকারী অত্যন্ত কর্মীবান্ধব এবং সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। এজন্য আগামী কাউন্সিলে তার পদোন্নতির কথা ভাবা হচ্ছে।
৫. আবদুস সোবহান গোলাপ: আবদুস সোবহান গোলাপ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। তিনিও ধাপে ধাপে আওয়ামী লীগে পদোন্নতি পাচ্ছেন। এবারও তিনি পদোন্নতি পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।