রাজধানীর গুলিস্তানে নিয়মিতই বেচা-কেনা হয় নতুন টাকা। গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের সংলগ্ন ফুটপাত ধরে দক্ষিণমুখী রাস্তায় চলে টাকার বিনিময়ে নতুন টাকা, নতুন টাকার বিনিময়ে ছেঁড়া ও পুরান টাকার বেচা-কেনা। সারা বছর বেচা-কেনা চললেও মূলত ঈদের আগে নতুন টাকার চাহিদা এবং বেচা-কেনা বেড়ে যায় বহুগুণে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার শেষ মুহূর্তের বেচাকেনায় জমে ওঠেছে নতুন টাকার বাজার। অনেকেই চড়া দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষই বাড়তি দামে কিনছেন নতুন টাকার নোট। তবে দাম বেশি রাখায় এবং ১০-১৫ মিনিটের ব্যবধানে দাম বাড়িয়ে দেয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ক্রেতাই। তবে এবার ১০, ২০ এবং ৫০ টাকার নতুন নোটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরাসরি ব্যাংক থেকে নতুন নোট নিতে পারছেন না। ফলে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে নতুন নোট আনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামেই নতুন নোট বিক্রি করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১০ টাকার নোটে হাজারে ৩০০ টাকা, ২০ টাকার নোটে হাজারে ১৫০ টাকা, ৫০ টাকার নোটে পাঁচ হাজারে ৫০০ টাকা, ১০০ টাকার নোট হাজারে ৫০ টাকা এবং ২০০ টাকার নোটে হাজারে ১০০ টাকা বেশি রেখে বিক্রি করা হচ্ছে।
নতুন নোট বিক্রেতা শফিক বলেন, ‘নতুন নোট এখন ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এরপর বেশি চলছে ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট। ব্যাংক থেকে নোট (টাকা) দিচ্ছে না, পর্যাপ্ত নোট না আসায় দাম একটু বেশি। চাঁদরাত পর্যন্ত নতুন নোট বিক্রি হবে।’
১০টাকা এবং ২০টাকার বান্ডিল কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘নতুন নোটের দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। আগে যে নোট ১০০ টাকায় পেতাম সেটা এখন ২০০ টাকায়ও পাচ্ছি না। আমি ১০ টাকার ৪টা ও ২০ টাকার একটি বান্ডিল নিয়েছি, প্রতি বান্ডিলে ২৫০ টাকা করে বাড়তি রেখেছে। এটা তো আসলে খুশির বিষয়, ঈদে সালামি দেওয়ার জন্য কেনা। তা না কিনেও উপায় নেই, কারণ বাচ্চারা নতুন নোট পেলে একটু খুশি হয়।’