ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘রিয়ালের ফাইনালে ওঠার কোনো অধিকার নেই’


প্রকাশ: 06/05/2022


Thumbnail

ডেনিশ ফুটবলে পিটার স্মাইকেল খ্যাপাটে চরিত্র। ইংলিশ ফুটবলেও নয় কি? ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দিনগুলোয় ডিফেন্ডাররা ভুল করলে ছেড়ে কথা বলতেন না। ১৯৯৯ সালে ইউনাইটেড অধিনায়ক হিসেবে তাঁর ‘ট্রেবল’ জয় যেমন আলোচিত তেমনি ঠোঁটকাটা হিসেবে বলা সব কথাও স্মরণীয়। খেলেছেন ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবেই। ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটি থেকেই গ্লাভস তুলে রাখেন ডেনমার্কের কিংবদন্তি এই গোলকিপার। তাই স্বাভাবিকভাবেই সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়বে, আর স্মাইকেল মুখে কুঁলুপ এঁটে বসে থাকবেন, তা তো হয় না!

তবে স্মাইকেল যা বলেছেন তাতে রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকেরা আবার উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারেন। ডেনমার্কের হয়ে ইউরোজয়ী সাবেক এই গোলকিপার কথা রিয়াল সমর্থকদের মোটেও ভালো লাগবে না। সংবাদমাধ্যম ‘সিবিএস স্পোর্টস’কে স্মাইকেল বলেছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করার মতো যোগ্যতা নেই মাদ্রিদের ক্লাবটির।

বৃহষ্পতিবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩–১ গোলে হারায় রিয়াল। প্রথম লেগ ৪–৩ গোলে জিতে সিটিই এগিয়ে ছিল ফিরতি লেগের আগে। রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেও ম্যাচের ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১–০ গোলে এগিয়ে ছিল সিটি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে এবং যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রদ্রিগোর গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। এরপর যোগ করা সময়ের পাঁচ মিনিটে করিম বেনজেমার গোলে প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ গল্প লিখে দুই লেগ মিলিয়ে ৬–৫ ব্যবধানের জয়ে ফাইনালে ওঠে কার্লো আনচেলত্তির দল।

সংবাদমাধ্যমটিকে ৫৮ বছর বয়সী সাবেক এই গোলকিপার বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের ফাইনালে ওঠার কোনো অধিকার নেই। দুটি ম্যাচেই তারা ছিল সবচেয়ে বাজে দল।’

স্মাইকেল সিটিতে এক মৌসুমই খেলেছেন। ইউনাইটেডে আট মৌসুমে পাঁচবার প্রিমিয়ার লিগ ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী এই গোলকিপার ১৯৯৯ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি ছেড়ে স্পোর্টিং লিসবন ও অ্যাস্টন ভিলা ঘুরে ২০০২ সালে যোগ দেন সিটিতে। পরের বছর এই ক্লাব থেকেই ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন লেস্টার সিটি গোলকিপার ক্যাসপার স্মাইকেলের বাবা পিটার। দুই লেগেই বাজে খেলার পর রিয়াল কীভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠে তা বুঝতে পারছেন না পিটার।

ফিরতি লেগে ম্যাচের ৮৯ মিনিট পর্যন্ত রিয়াল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল না বলেই মনে করেন পিটার স্মাইকেল। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘৯০ মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েই গোল করেছে রিয়াল। দ্বিতীয় সুযোগ থেকে পেয়েছে দ্বিতীয় গোল এবং তৃতীয় সুযোগেও তারা গোল করেছে। ইংল্যান্ডে (প্রথম লেগের পর) খেলা দেখে ভেবেছিলাম, রিয়াল ফাইনালে উঠবে। কিন্তু তারা খুব বাজে খেলেছে। ভালো খেলেছে শুধু চেলসির বিপক্ষে। মাঝে–মধ্যে ফুটবল বুঝতে পারি না।’

রিয়ালের ফাইনালে ওঠায় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ক্লাবটির সমর্থকদের ভূমিকা দেখেন স্মাইকেল। ফিরতি লেগে গগনবিদারী সমর্থনে বেনজেমা–ভিনিসিয়ুসদের উজ্জীবিত রাখেন রিয়াল সমর্থকেরা। স্মাইকেল বলেন, ‘ম্যাচটা ম্যানচেস্টার সিটির নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু একটা স্টেডিয়াম কীভাবে “দ্বাদশ খেলোয়াড়” হয়ে উঠতে পারে সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’

তবে স্মাইকেল স্বীকার করেন বেনজেমা–রদ্রিগোদের সামর্থ্য নিয়ে কখনো সন্দেহ করা উচিত নয়, ‘রিয়ালের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য নিয়ে কখনো সন্দেহ করা উচিত নয়। সব সময়ই বলা হয় চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা জয়ের উদগ্র বাসনাটা দেখিয়েছে। এই খেলোয়াড়েরা এর আগেও এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তারা কখনোই ভীত হয়নি, একে–অপরের ওপর আস্থা রেখেছে, এমনকি কোচও...পাগলাটে ব্যাপার।’


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭