ইনসাইড টক

‘চাইলেও আসলে হুটহাট ডিসিশন নিতে পারিনা’


প্রকাশ: 07/05/2022


Thumbnail

ফারিন খানের ক্যারিয়ার দীর্ঘ নয়। তবে অনেকদিনই হলো চলচ্চিত্রে এসেছেন। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘ধ্যাততেরিকি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। এই ছবিতে ফারিনের বিপরীতে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক রোশান। বর্তমানে কাজ করছেন বেশকিছু চলচ্চিত্রে। সমসাময়িক নানা বিষয় ও ঈদ নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হলো এই নায়িকার।

বাংলা ইনসাইডার: ঈদ কেমন কাটলো?

ফারিন: ঈদ সবসময় সাভারেই করি। অনেকেই মনে করেন আমার বাড়ি সাভারে। কিন্তু আমার আসল বাড়ি ইন্ডিয়ার বহরমপুরে। তারপর বাংলাদেশে আসার পর কুষ্টিয়ায় মাঝে মাঝে ঈদ করেছি। ইন্ডিয়াতে তেমনভাবে আমার ঈদ করা হয়নি। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে সেখানে ঈদ করার। এবার ঈদ সাভারেই করেছি। সারাদিন বাসাতেই ছিলাম। গত ছয় মাস ধরে টানা কাজ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কেটেছে। তাই ঈদে বাসায় থেকে পরিবারকে সময় দিয়েছি। সারাদিন পর বিকেলে সবার সাথে একটু বাইরে আড্ডা দিয়েছি।

এই বছর আমার একটু আফসোস রয়েছে, কারণ এ বছর আমার অনেক পছন্দের একজন মানুষ মারা গেছে। সে আমার ছোট খালু। উনার সাথে আমার ঈদের অনেক স্মৃতি আছে। আমার খালু বাংলাদেশ ব্যাংকে জব করতো ওখান থেকে বাসায় ফেরার আগে মানে সন্ধ্যার দিকে আমি তখন রোজ তাদের বাসায় যেতাম। দেখতাম নতুন জামা এনেছে কিনা? খালু রোজ বলতেন অনেক খুঁজেছি কিন্তু ভালো ড্রেস পায়নি। দেখা যেত ঈদের আগের দিন রাতে কল দিতেন বলতেন আমার জন্য সারপ্রাইজ আছে। আমি বাসায় গিয়ে আলমারি থেকে নতুন জামা বের করতাম। প্রতিবছর খালু আমার জন্য রানী টাইপ ড্রেস নিয়ে আসতেন। খালুকে এ বছর অনেক মিস করেছি।



বাংলা ইনসাইডার: ঈদ নিয়ে মজার কোন স্মৃতি?

ফারিন: ছোট বেলায় ঈদে সালামির জন্য নতুন একটা ব্যাগ কিনতাম। আর ঐ ব্যাগ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতাম সালামি নেয়ার জন্য। 

বাংলা ইনসাইডার: হাতে কী কী কাজ আছে?

ফারিন: এবার একটু প্লানিং করে গুছিয়ে কাজ করতে চাই। তখন তো ছোট ছিলাম অনেক কিছুই বুঝতাম না। আসলে খুব একটা পারদর্শীও ছিলাম না। এখন খুব পারদর্শী হয়ে গেছি, সেটাও নয়। তবে শেখার বিষয় সারাজীবনই শিখতে হয়। সারাজীবনই শিখতে চাই, জীবনে ভালো কিছু করতে চাই, এটা হচ্ছে সবথেকে বড় কথা।

হাতে কাজ তো আছেই। সব থেকে বড় কথা হাতের কাজ থেকে আমি কাজ করছি। আমি বেসিক্যালি মুভি থেকেই এসেছিলাম, যেহেতু আমি একটা ভালো প্রোডাকশন হাউজ থেকে লঞ্চ হয়েছিলাম, জাজ মাল্টিমিডিয়া। তারা ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ভালো কাজ করেছে সবসময়, ক্লাসিক কাজ করেছে। তাই আমিও ওটা একটু  মেইনটেইন করার চেষ্টা করি যে এমন কিছু কাজ করার অবশ্যই যাবে না যে আমার সাথে সাথে তাদের রেপুটেশনও নষ্ট হয়। ওই জায়গাটা মাথায় রেখে চেষ্টা করি একটু ভালো কিছু কাজ করার, একটু চুজি হয়ে বেছে বেছে যেসব কাজগুলো করলে মানুষজন এটলিস্ট বলবে যে ফারিন ঠিকঠাক কাজগুলো করছে। আমি ঠিক সেভাবেই কাজগুলো করছি। আমি এই বছর ঈদের আগে দুইটা ছবি শেষ করলাম। ফেসবুক এবং কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ নামে দুইটা ছবি শেষ করেছি এবং দুটোই শাপলা মাল্টিমিডিয়ার ছিল।



ঈদের পর একটা নতুন মুভি করছি, তবে এখনই নাম বলবো না। তবে ঈদের পরে শুটিং শুরু হয়ে যাবে। আমাদের প্রি-প্রোডাকশন চলছে অলরেডি।  দুই তিনটা ছবির কাজের পরিকল্পনা চলছে। আমি অলরেডি প্রায় ছয়টা টিভিসির কাজ করেছি।  বাংলালিংক, মারস মিল্ক, প্যারাশুট, এমআই ফোন। শেষে বিজ্ঞাপন করলাম মোজোর। প্রত্যেকটাই খুব ভালো ব্র্যান্ডের ছিল এবং একদম ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল যে কখনও টিভিসি করলে এই ব্র্যান্ডগুলোরই করবো। বলতে পারেন এটা আমার একটা স্বপ্ন পূরণের মতো ব্যাপার। বলতে পারেন, প্রতিটা টিভিসিই খুব প্রমিনেন্ট ডিরেক্টরদের সাথে করা, যারা টিভিসি ইন্ডাস্ট্রিতে খুব ভালো অবস্থানে আছে। অভিজ্ঞতা খুব ভালো ছিল, টিভিসি করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ডিরেক্টর থেকে শুরু করে সবাই খুব স্মার্ট এবং গোছানো কাজ করে। আমি খুবই ইম্প্রেসড। সে জায়গা থেকে বলবো যে টিভিসি করে আমি খুব আনন্দিত। বর্তমানে আমি প্রাচ্যনাট করছি ৪২তম ব্যাচে। পরীক্ষাও দিয়েছি। সামনে হয়তো আপনার আমার ফাইনাল পারফরম্যান্সও দেখতে পারবেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭