কালার ইনসাইড

শোবিজের সিঙ্গেল মাদারদের জীবন যুদ্ধ


প্রকাশ: 08/05/2022


Thumbnail

`সিঙ্গেল মাদার` হলো সেসব মহিলা যারা নিজেদের সন্তানকে নিজেরাই লালন-পালন এবং বড় করে তুলছেন কোন রকম সঙ্গী ছাড়াই। হতে পারে তারা ডিভোর্সি, আলাদা থাকেন কিংবা অবিবাহিত হয়ে কোন বাচ্চা দত্তক নিয়েছেন। শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা মা আছেন যারা একাই তার সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সামাজিক, পারিবারিক নানা বাঁধা-বিপত্তির ভিতর দিয়ে এসব ‘সিঙ্গেল মাদার’ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের টিকে থাকার সংগ্রাম।

মা দিবস উপলক্ষে বাংলা ইনসাইডারের আজকের আয়োজন আমরা শোবিজের সেই সব সিঙ্গেল মাদারদের কথা তুলে ধরবো যারা নিয়মিত তাদের সন্তাকে সাথে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন যুদ্ধ।

অপু বিশ্বাস

ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস শীর্ষনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।  ১১ বছর আগে গোপনে বিয়ে করেছিলেন দুজনে। কিন্তু বেশিদিন এক ছাদের নিচে বসবাস হলো না তাদের, হলো ডিভোর্স। তবে এই দুজনের ভালোবাসার নিদর্শন একমাত্র সন্তান আবরাম খান জয়। সংসার সমাপ্তির পরও অপুর জীবনে আলোকিত করে রেখেছে জয়। তাকে নিয়েই এখন মূলত শাকিবহীন থাকছেন অপু বিশ্বাস। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর বারিধারায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে (এআইএসডি) জয়কে ভর্তি করান অপু বিশ্বাস।

বর্তমানে অপু বিশ্বাস পারিবারিক সব ঝামেলা পিছনে ফেলে চলচ্চিত্রে কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন নিয়ে তার ব্যস্ততা লক্ষনীয়।

নিপুন আক্তার

ভার্সিটিতে পড়া অবস্থাতেই পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় নায়িকা নিপুন আক্তারের। তবে শেষ পর্যন্ত আর এক সাথে থাকা হয়নি তাদের। বিচ্ছেদের পর মেয়ে তানিশাকে নিয়েই নিপুনের সবকিছু। মেয়ে দেশের বাইরে পড়াশোনা করছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি নিপুন `টিউলিপ ফ্যাশন` ও `টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা`  নামের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

আজমেরী হক বাঁধন

২০১০ সালে বিয়ে করেছিলেন লাক্স সুন্দরী বাঁধন। বিয়ের চার বছরের মাথায় সংসারের ইতি টানেন তিনি নিজেই। এরপর স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার বাসায় ওঠেন। এখন মেয়ে মিশেল আমানী সায়রাকে নিয়েই তার পৃথিবী। মেয়ে সায়রা পড়াশোনা করছে সানবিমস স্কুলে। বেশ কিছুদিন শোবিজ থেকে দূরে থাকলেও সম্প্রতি বেশ কিছু কাজ দিয়ে বেশ আলোচনায় উঠে এসেছেন বাঁধন।

সোহানা সাবা

প্রেম করে অভিনেত্রী সোহানা সাবার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নির্মাতা মুরাদ পারভেজের। তবে সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ছেলে স্বরবর্ণের জন্মের ১৭ মাস পরই তারা আলাদা হয়ে যান। এখন ছেলে মায়ের সঙ্গেই থাকে। শুটিংসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের সঙ্গী এখন তার ছেলে স্বরবর্ণ। তবে সাবার সন্তান পালনের ক্ষেত্রে তার মায়ের অবদানই বেশি। যখন শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন তখন নানীর সঙ্গে সময় পার করে স্বরবর্ণ। গর্বিত ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সাবা ভালোই সময় কাটাচ্ছেন ছেলে স্বরবর্ণকে নিয়ে।

শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি

২০০৬ সালে অভিনেতা হিল্লোল সাথে প্রেম করে বিয়ে তিন্নি। কিন্তু তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল মাত্র পাঁচ বছর। এরপর বিভিন্ন কারণে তাদের সংসার ভেঙে যায় ২০১১ সালে। হিল্লোল এরপর বিয়ে করেন নওশীনকে। এদিকে হিল্লোল-তিন্নির ঘর আলোকিত করে এসেছিল কন্যাসন্তান ওয়ারিশা। এখন মেয়ে ওয়ারিশাকে নিয়েই নতুন সংগ্রামে প্রতিনিয়ত ছুটে চলছেন তিন্নি। মাঝে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিন্নি। সর্বশেষ জানা গেছে, তিনি এখন মেয়েকে নিয়ে প্রবাসী হয়েছেন। তিন্নি ও তার মেয়ে ওয়ারিশা বর্তমানে কানাডার মন্ট্রিলে বসবাস করছেন।

সারিকা

২০১৪ সালের আগস্টে ব্যবসায়ী মাহিম করিমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সারিকার। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলে আসে কন্যাসন্তান শাহরিশ আন্নাহ। ২০১৬ এর নভেম্বরে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। ডিভোর্সের পর সন্তানকে নিয়েই পৃথিবী সাজিয়েছেন সারিকা। করছেন অভিনয়। মেয়েকে যথেষ্ট সময়ও দিচ্ছেন। মাঝে মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মিডিয়া থেকে ছিলেন দূরে। তবে মেয়ে বড় হয়ে যাওয়ায় আবারও সরব হয়েছেন নাটক-টেলিফিল্মে। শুটিং শেষ করে বাসায় সন্তানকে সময় দেন।

নোভা ফিরোজ

নির্মাতা রায়হান খানকে ২০১১ সালে বিয়ে করেছিলেন নোভা ফিরোজ। ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই পুত্র সন্তান রাফাজ রায়হানের মা হন। কিছুদিন সংসার করার পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় নোভা-রায়হানের। পারস্পরিক সম্মতিতে নোভা ও রায়হানের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। নোভা বর্তমানে নাটকের পাশাপাশি কাজ করছেন চলচ্চিত্রেও।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭