বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, সিলেবাস এবং সময় দুইটার সাথে সমন্বয় করাটাও একটা স্কিল। যারা পরীক্ষার প্রশ্ন করবেন তাদের উপর নির্ভর করে। যেমন উদাহরণ হিসেবে ধরি আমাদের ইউনিভার্সিটিতে কোনো সিলেবাস নেই। টপিক আছে, পাচঁটি বা দশটি। সিলেবাস কতটা বড় না ছোট সেটা কোনো ব্যাপার নয়। নির্ভর করে যিনি পরীক্ষা নিবেন তার দক্ষতা উপর।
এইচএসসি পরীক্ষার সময় এবং পরীক্ষার মার্ক কমিয়ে দেওয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক আবদুল মান্নান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমাদের বিষয় আছে। একটা বিষয় নিয়ে একটা কোর্স হতে পারে। আবার সব বিষয়ে নিয়ে একটা কোর্স হতে পারে। যেমন ল-তে যারা পড়ে, ল কন্টাক্ট একটা বিষয় হতে পারে। আবার সেটা একটা চ্যাপ্টারও হতে পারে। ইট ইজ সামথিং ডিপেন্ট দ্যা থিং পারসন হু ইজ টিচিং দ্যা কোর্স এন্ড হু ইজ কন্ডাক্টিং এক্সাম। সে কারণে এটার কোনো ক্ষতি আমি দেখি না। যারা ভর্তি পরীক্ষা নিবে তাদেরও এটা খেয়াল রাখতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা তো ফেস করবে এই ছাত্ররাই। সুতরাং তাদের সেভাবে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস দুই বছরের জন্য করা হয়। দুই বছরের মধ্যে তাঁরা এক বছরের মতো সময় পেয়েছে। বাকি এক বছর তো তাঁদের অনলাইন, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি মিলিয়ে বিভিন্নভাবে পড়া হয়নি। দুই বছরের পড়া পড়ার জন্য তো তাঁরা পুরো সময় পায়নি। দুই বছরের পড়া তো এক বছরে পড়া যায় না। তাই সময় কমানোর বিষয়টি খারাপ নয়। কারণ, তাঁদের যদি বলা হয় এক বছরে তুমি দুই বছরের পড়াশোনা করে পরীক্ষা দাও, তাহলে তো তাঁদের ওপর অনেক বেশী চাপ পড়ে যাবে।