কালবৈশাখীর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আসছে অশনি। ইদানিং কালে প্রতিনিয়তই আমরা বিভিন্ন দুর্যোগের সম্মুখিন হই, যা ক্রমান্বয়ে পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আপনি জানেন কি আমাদের আশেপাশের গৃহপালিত প্রাণীগুলো যেকোনো দূর্যোগের পূর্বাভাস আগে থেকে জানতে পারে!
গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালদের শ্রবণ আর ঘ্রাণ শক্তি বেশ প্রবল থাকে। কোনো কিছু টের পেলেই বা বুঝে উঠতে পারলেই বিচলিত ভঙ্গিতে নানা রকম ইঙ্গিত দেয়। তাই বাড়িতে চোর ডাকাতের আনাগোনা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়িতে কুকুর পুষেন। চোর-ডাকাতের সম্ভাবনা বুঝতে পারলেই তারা ঘেউ ঘেউ করে উঠে, অস্থির হয়ে ওঠে। এরকম আরো অনেক ধরনের আচরণ আছে, যার মধ্যে আমরা কিছু আচরণকে ঝড়ের পূর্বাভাস হিসেবে ধরে নেই এবং অনেক সময় সেটা সত্যিও হয়ে যায়। যদিও এ বিষয় বিজ্ঞানসম্মত কোনো প্রকার ব্যাখ্যা বা প্রমাণ নেই। তবে এটা সত্যি যে, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে প্রাণীরা আকারে-ইঙ্গিতে কোনো দুর্যোগের বিষয় প্রকাশ করতে পারে। তবে কিভাবে তারা এই আগাম সংকেত পায়?
আসলে গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালগুলো আগাম সংকেত পাওয়ার একটা প্রধান কারণ হলো তাদের শ্রবণ ও ঘ্রাণশক্তি মানুষের তুলনায় বেশি থাকে। সাধারণ মানুষ যা বুঝতে সময় লাগে বা বুঝতে পারে না, এরা খুব সহজেই এবং মানুষের থেকে দ্রুত সেটা বুঝতে পারে এবং উপলব্ধিও করতে পারে। এরা ক্ষীণ শব্দ শুনে বা সামান্য গন্ধ পেয়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। তাদের কানের এমন গুণ যে দূরবর্তী ঝড়ের শব্দ থেকে তারা ঝড়ের আভাস পায়।
আবহাওয়াবিদের তথ্যানুসারে, দূরে কোথাও ঝড় বা বৃষ্টি হলে ওই এলাকার বস্ত্তকণার গন্ধ বাতাসে ভেসে অনেক দূরে ছড়িয়ে পড়ে। এই গন্ধ কুকুর বা বিড়াল মানুষের থেকে দ্রুত উপলব্ধি করতে পারে এবং সাথে সাথে তাদের আচরণে তাঁর প্রতিফলন ঘটে।
তাছাড়া ঝড় শুরু হওয়ার আগেই কোনো স্থানের তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতায় তারতম্য ঘটে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা এত সামান্য যে মানুষ বুঝে উঠে পারে না, কিন্তু বাসার পোষা কুকুর সেটা খুব সহজেই বুঝে যায়।
ফলে গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালের এমন অস্বাভাবিক আচরণে আমরা বুঝতে পারা যায় বা অনুমান করা যায় যে, ঝড় আসছে এসব ঘটনা থেকে আমরা বলে থাকি, কিছু পোষা কুকুর বা বিড়াল ঝড়ের পূর্বাভাস দিতে পারে। এর মধ্যে কোনো অলৌকিকতা নেই।