দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে বার্লিন দখলের দিনটিকে নিজেদের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া। ১৯৪৫ সালের ৯মে থেকে ২০২২ সালে ৯মে এই দীর্ঘ সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে রাশিয়া প্রজাতন্ত্র গঠন অনেক কিছুই পাল্টে গেলেও নিজেদের সেই পুরনো গৌরব আবারো ফিরিয়ে আনতে এবারের বিজয় দিবসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়ার জন্য।
সোমবার (০৯ মে) ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম বিজয় দিবসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র।
পুতিন তার ভাষণে ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে অভিযানের কারণ ন্যাটো জোট রাশিয়া ঘিরে ফেলছে এবং তাদের পশ্চিমে অবস্থিত প্রতিবেশী দেশে ঘাঁটি বানাচ্ছে।
হোয়াইট হাউস পুতিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, পুতিন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ইতিহাসের সংশোধিত পাঠ। পশ্চিমাদের আগ্রাসন ঠেকাতে রাশিয়ার সেনারা হামলা করেছে—পুতিনের এই বক্তব্য স্পষ্ট হাস্যকর। ইতিহাসের অপতথ্য উদ্ধৃত করে পুতিন বক্তব্য দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন জেন সাকি।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি আরও বলেন, ৯ মে ইউরোপের শান্তি এবং সংহতি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর পরাজয় দিবস। কিন্তু পুতিন ‘অনর্থক এবং অযৌক্তিক’ যুদ্ধ ন্যায্য প্রমাণ করতে ইতিহাসকে বাধা দিচ্ছেন।