ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদেশ সফর নিয়ে কঠোর অবস্থানে প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশ: 11/05/2022


Thumbnail

করােনার প্রকোপ কমার পরপরই সরকারের মন্ত্রী, কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের হিড়িক পড়েছে। এই হিড়িক রীতিমতো ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। গত ৬ মে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনের কনসার্টে যোগদানের জন্য মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কর্মকর্তা এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ ৫৫ জনের একটি বিশাল বহর নিউইয়র্কে গিয়েছিল। এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জেনেভায় যাচ্ছেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের ৪৩ জন কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তাদের তালিকার মধ্যে অর্ধেকের বেশি রয়েছে প্রতিমন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন। কথায় কথায় বিদেশ যাওয়া এবং এই বিদেশ সফরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোকজনকে নেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং এই বিদেশযাত্রার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর না করার ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। 

উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনেভাতে। এই শ্রম সম্মেলনে যোগদানের জন্য ৪৩ জনের একটি প্রতিনিধিদল যাচ্ছে। এই প্রতিনিধি দলে য়ারা রয়েছেন, তাদের বেশিরভাগেরই সেখানে কোনো প্রয়োজন নেই। তারপরও তারা কেন যাচ্ছেন এ নিয়ে নানারকম আলোচনা হচ্ছে। গত দু'বছরে করোনার কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ যাওয়াটা অনেক কম ছিলো এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদেশ যাওয়াই হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নানা অজুহাতে আবার বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এবং এই বিদেশ যাওয়ার প্রবণতায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তারা। কাজ থাকুক না থাকুক বিভিন্ন অজুহাতে তারা বিদেশ যাচ্ছেন। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এই সমস্ত বিদেশ সফর কতটা প্রয়োজনীয় সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

বিদেশ সফর নিয়ে এর আগেও বিতর্ক হয়েছিল। কখনো প্রকল্প দেখার জন্য, কখনো ঠুনকো কারণে বিদেশ যাওয়ার জন্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছিলো। যদিও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে বলছে যে, এ বিদেশ যাওয়াটা জরুরি। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদেশ যাওয়াটাকে একটা প্রমোদ বিলাশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কারণ এই সমস্ত সফর না করলেও সরকারের কোনো ক্ষতি হতো না। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এরকম বেশ কয়েকটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী নাকচ করে দিয়েছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭