একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, আমরা হেফাজতের এবং সন্ত্রসী যত সংগঠন আছে তাদের নেতাদের দুষ্কর্মের বিবরণ দিয়েছি। কিন্তু দুদক হেফাজত নেতাদের আর্থিক ব্যাপারে তদন্ত করছে। আমাদের শ্বেতপত্রে জঙ্গি নেতাদের আর্থিক অনিয়মের বিষয়গুলোও আছে। আমরা দুদককে বলেছি আমাদের এই শ্বেতপত্র তাদের তদন্তের সহায়ক হবে। তদন্তটা দুদক করছে শুধু আর্থিক অনিয়মের ক্ষেত্রে। আমাদের এখানে শুধু আর্থিক অনিয়ম না, তাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততা, তাদের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড, তাদের সংবিধান তৎপরতা এইগুলো সব আছে।
হেফাজত এবং সন্ত্রসী যত সংগঠন আছে তাদের নেতাদের দুষ্কর্মের বিবরণ, তাদের সম্পর্কে তথ্য এবং তাদের ব্যাংক একাউন্ট চেক করতে দুদকের কাছে আবেদনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য শাহরিয়ার কবির এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
শাহরিয়ার কবির বলেন, হেফাজত নেতাদের তো মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। লোকদের কাছ থেকে ঠকিয়ে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করছে, কোনো ভ্যাট দিচ্ছে না, কোনো ইনকাম ট্যাক্স দিচ্ছে না, কোন একাউন্টিবিলিটি নেই রাষ্ট্রে কাছে। এই চরিত্র তো রাষ্ট্রের কাছে একটা ভয়ানক দুর্নীতি। এটা তো এক্সপ্লোর করতে হবে। হেলিক্টারে করে তারা ওয়াজ করে বেড়াচ্ছে এই টাকাগুলো কোথা থেকে আসছে। দ্বিতীয় কথা এর জন্য তারা কোন ট্যাক্স দিচ্ছে কিনা। এগুলো জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। আমাদের একজন মন্ত্রীও জবাবদিহির উপরে নয়। প্রধানমন্ত্রীও জবাবাদিহির উপরে নয়। তাহলে হেফাজত নেতাদের আকাউন্ট কেন চেক করা হবে না বা তাদেরকে জবাবদিহিতায় আনা হবে না।
হেফাজতের কিছু নেতাদের আকাউন্ট চেকের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তো দুদক এক বছর ধরে করছে। আমরা দুদকে এটাও বলেছি এটা দ্রুত আপনারা জনসমুক্ষে প্রকাশ করুন। অন্যদের বেলায় তো তারা সব প্রকাশ করে ফেলে। তাহলে হেফাজতের ব্যাপারে গড়িমসি কেন?
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, আমরা বার বার বলছি, হেফাজত আমাদের সংবিধানের বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে। সর্বোপরি হেফাজতের অবস্থান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারা ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশকে মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাবে পাকিস্তানের আদলে। এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে না, বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ থাকবে না। ব্লাসফেমি আইন চালু করতে হবে। তাদের এসব ঔদ্ধত্য কর্মকাণ্ডগুলোর বিষয়ে সরকারও ওয়াকিবহাল। হেফাজতের বিষয়ে আমাদের কোনো বিভ্রান্তি নেই, কখনো ছিলও না।